![ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে লালনগীতির প্রথম হিন্দী অনুবাদ প্রদান অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/06/04/abnews-24.bbb_81452.jpg)
ঢাকা, ০৪ জুন, এবিনিউজ : কিংবদন্তী মরমি সাধক লালন শাহ ফকিরের বাংলা গীতির প্রথম হিন্দী অনুবাদ গ্রন্থ ‘লালন শাহ ফকির কি গীত’ এবং হিন্দীতে গাওয়া গানের ডিভিডি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর হাতে তুলে দেয়া হয়। গতকাল ০৩ জুন সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় কূটনীতিবিদ ও অধ্যাপক মুচকুন্দ দুবে অনুদিত এ গ্রন্থ এবং লালন গীতির নিবেদিতপ্রাণ শিল্পী ফরিদা পারভীনের গাওয়া সংগীতের ডিভিডি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর হাতে তুলে দেন গ্রন্থটির প্রকাশক সাহিত্য আকাদেমির প্রেসিডেন্ট ড. বিশ্বনাথ প্রসাদ তিওয়ারি ও ডিভিডি প্রকাশক ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক লোকেশ চন্দ্র। গ্রন্থ এবং ডিভিডি গ্রহণকালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী লালনকে একজন মহান সাধক, গীতি কবি এবং সমাজ সংস্কারক বলে অভিহিত করেন। প্রণব মুখার্জী তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অধ্যাপক এমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান, গ্রন্থকার ও শিল্পীসহ গ্রন্থটির প্রকাশক সাহিত্য আকাদেমির প্রেসিডেন্ট ড. বিশ্বনাথ প্রসাদ তিওয়ারি ও ডিভিডি প্রকাশক ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স (আইসিসিআর)-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক লোকেশ চন্দ্রকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও লালন গীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার বক্তৃতায় লালনচর্চায় পৃষ্ঠপোষকতার জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, লালন গীতির হিন্দী অনুবাদ একটি অসা¤প্রদায়িক, সন্ত্রাসমুক্ত ও বৈষম্যহীন দক্ষিণ এশিয়া গড়ার পথের দিশারি হিসেবে কাজ করবে। এ অনুবাদের ফলে ১৫০ কোটি হিন্দী ভাষাভাষি লালনকে জানবার সুযোগ পেল এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রচিত হলো এক চিরন্তন মৈত্রীবন্ধন। তথ্যমন্ত্রী এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সাথে সাথে যে অসা¤প্রদায়িক বোধের স্ফুরণ ঘটে তা ছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় প্রেরণা। মন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে লালনচর্চাকে সাংস্কৃতিক ঘাটতি, সা¤প্রদায়িক সহিংসতা ও বৈষম্য দূর করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলে বর্ণনা করেন হাসানুল হক ইনু। লালনশিল্পী ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে বাংলা ও হিন্দী লালনগীতি পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
এবিএন/খায়ের/জসিম/তোহা