![সিলেটে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/17/litu_88664.jpg)
সিলেট, ১৭ জুলাই, এবিনিউজ : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের পল্লব ও পাভেল গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে আরো ৬-৭ জন আহত হয়েছেন।
নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম খালেদ আহমদ লিটু (২৩)। লিটু ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে। তিনি পৌরশহরের নয়াগ্রাম রোডে একটি মোবাইল দোকানের মালিক। তার বাড়ি পৌরসভার পণ্ডিতপাড়া গ্রামে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, কলেজের শ্রেণিকক্ষ থেকে বহিরাগত ছাত্রলীগকর্মী খালেদ আহমদ লিটুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিটি কোথা থেকে হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, শ্রেণিকক্ষের ভেতর না বাইরে থেকে গুলি করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে কী কারণে লিটু কলেজের ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি বলেও জানান ওসি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের সোমবারের সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে কলেজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে কলেজের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে লিটুকে মাথায় গুলি করে বিরোধী পক্ষ। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এছাড়া সংঘর্ষে আরও ৬/৭জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য কলেজের প্রধান ফটকে দায়িত্বে ছিলেন। গুলির শব্দে তারা শ্রেণিকক্ষে গিয়ে লিটুর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তবে এ সময় সেখানে আর কাউকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী বলেন, লিটু ছাত্রলীগের কর্মী। যারা এ ঘটনায় জড়িত তারা কখনো ছাত্রলীগ করতে পারে না। তদন্ত কমিটি গঠন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, খালেদ আহমদ লিটুর মাথায় গুলি লেগেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যাম্পাস এখন শান্ত। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি