শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • রাজনীতি
  • ‘কান্নাকাটি করে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন খালেদা’

‘কান্নাকাটি করে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন খালেদা’

‘কান্নাকাটি করে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন খালেদা’

নোয়াখালী, ২৭ অক্টোবর, এবিনিউজ : আদালতে গিয়ে কান্নাকাটি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সহানুভূতি আদায় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য খালেদা জিয়া আদালতে গিয়ে মায়াকান্না করছেন।

আজ নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বাসভবনে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহিলা সমাবেশে যোগদানের প্রাক্কালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের শত শত মানুষকে তিনি পুড়িয়ে মেরেছেন। শত শত মানুষের কান্নার রোল এখনো বাংলার আকাশে ভেসে আসছে। আদালতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তা জনগণকে দেখিয়ে তথাকথিত সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করছেন। পুত্রহারা মাকে সান্তনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নিষ্ঠুর আচরণের মুখোমুখি হয়েছেন, তা বিশ্বের কোনো সভ্যতার মধ্যে পড়ে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া আদালতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সম্পর্কে যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন তা রাজনৈতিক ভাষা নয়, এটা রাস্তার ভাষা। তিনি আদালতে গিয়ে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করেছেন, সেটা রাজনৈতিক বক্তব্য। যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসম্মানজনক ও অপমানজনকভাবে আদালতে নেওয়া হয়েছে। অথচ সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধাসহ বাড়ি বরাদ্দ করে সাব-জেল তৈরি করে সেখানে নেওয়া হয়। অথচ খালেদা জিয়া আদালতে বলেন, শেখ হাসিনাকে নাকি কখনো আদালতে যেতে হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ত্রাণ দিতে গিয়ে ত্রাণ সরবরাহের পথ রুদ্ধ করবেন না। ত্রাণ সরবরাহ করা না গেলে ৬ লাখ মানুষ কষ্ট পাবে। ত্রাণ দেওয়ার নামে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মহাসড়কে যাওয়া-আসার সময় রাস্তায় সভা করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্রাণের নাম করে তিন দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অচল করে রাখবেন। এতে ত্রাণ সরবরাহের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি মানবিক হলেও তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক।’

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত