![কাকরাইলে বাসার ভেতরে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/11/01/kakrail-deadbody-found_108560.jpg)
ঢাকা, ০১ নভেম্বর, এবিনিউজ : রাজধানীর কাকরাইলে একটি বাসা থেকে মা ও ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় কাকরাইলের তমা সেন্টারের গলির কাছে একটি বাড়ি থেকে ওই লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয় বলে রমনা থানা সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রমনা থানাধীন কাকরাইলে রাজমনি প্রেক্ষাগৃহের পশ্চিম পাশে ৭৯/১ বাসভবনের পাঁচতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন আবদুল করিম। আজ তার স্ত্রী ও ছোট ছেলের গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে তারা।
ওই বাড়ির দারোয়ান পুলিশে খবর দিলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
নিহত যুবকের নাম শাওন (১৭) বলে জানিয়েছেন পাশের ভবনের এক বাসিন্দা। শাওনের বাবা আব্দুল করিম ওই ভবনের মালিক বলেও জানান এই প্রতিবেশী। তিনি বলেন, করিম ‘সিনেমার ব্যবসা’ করেন। নিহত অন্যজন আবদুল করিমের স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬)।
ঘটনাস্থলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, নিহত দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শাওনের মাথার কাছে একটি ছুরি পড়ে ছিল বলে জানান তিনি।
শাওন, তার মা শামসুন্নাহার ছাড়াও তখন ঘরে ছিলেন গৃহকর্মী রাশিদা।
রাশিদা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ কেউ রান্নাঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়।
রাশিদা বলেন, ‘চিৎকার করে বলেছিলাম, আম্মা দরজা বন্ধ করলেন কেন, দরজা খোলেন। কিন্তু কারও কোনো সাড়া পাইনি, দরজাও কেউ খোলেনি। এর মধ্যে চিৎকার শুনি। কিছুক্ষণ পর বাড়ির দারোয়ান এসে ছিটকিনি খুলে দেয়।’
দারোয়ান পুলিশকে জানিয়েছেন, ওপর থেকে একজন লোক নিচে এসে বলে, ‘ওপরে যান, সেখানে মারামারি লাগছে’। তখন দারোয়ান উপরে উঠে পাঁচ তলার সিড়িতে শাওনের লাশ ও ভেতরে শামসুন্নাহারের লাশ দেখতে পান।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাড়িটির বেডরুমে মায়ের গলাকাটা মরদেহ এবং সিঁড়িতে সন্তানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। শাওনের লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ভবনের সিঁড়িতে পাওয়া গেছে।
ভবনের নিচ তলার একটি অফিসের কর্মচারী স্বপন বলেন, ‘আমরা নিচেই কাজ করছিলাম। কোনো ধরনের হৈ-হুল্লোড় শুনিনি। শুধু দারোয়ান বলেছিল, উপরে মারামারি লাগছে।’
ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার নাবিদ কামাল বলেন, ‘কীভাবে ঘটনা ঘটছে, আমরা তদন্ত করছি।’
পুলিশের রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মইনুল এবং ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. শফিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে করেছেন।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনা সম্পর্কে জানতে বাসার দারোয়ান ও কাজের মেয়েকে থানায় নেওয়া হয়েছে। পুলিশের আশা, শিগগিরই এই হত্যার পেছনে কারা তা উদ্ঘাটিত হবে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি