বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

সংগ্রামী চেতনার কবি সুকান্ত

সংগ্রামী চেতনার কবি সুকান্ত

বিশ্বজিৎ সিংহ, ০৩ নভেম্বর, এবিনিউজ : কবি চাঁদকে যেমন ঝলসানো রুটি ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারেন নি, তেমনি সূর্যকেও এক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড ছাড়া অন্য কিছূ কল্পনা করেন নি।

যে অগ্নিপিণ্ড আমাদের নিরুত্তাপ রৌদ্র পিপাসু স্যাঁতস্যাঁতে দেহে উত্তাপ দেবে, শীতের দিনে রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটাকেও গরম করবে।

রবীন্দ্রনাথ–নজরুল–সুকান্ত। বাংলা কাব্য সাহিত্যে এক সুনিয়ন্ত্রিত ধারাবাহিকতা। বলা যেতে পারে রবীন্দ্রনাথ যেন ভগীরথ– সুউন্নত আত্মসমাহিত সংস্কৃত শিবের শিরোপরি জটাজলের বন্ধন থেকে কাব্য মন্দাকিনীতে নিজের সাধনার বলে মুক্ত করলেন; নজরুলের কাব্যে সেই মন্দাকিনী গিরিবক্ষের উপলভঙ্গে উদ্যমবেগে বয়ে চলল; আর মন্দাকিনী গঙ্গা হয়ে সুকান্তের কাব্যে গাঙ্গেয় উপত্যকার সমতল ভূমিতে ছড়িয়ে পড়ল।

প্রাক্‌ রবীন্দ্রযুগে বাংলার কাব্য সাহিত্যের ভিত্তি ছিল রোমান্টিকতা। সংস্কৃত সাহিত্যের রোমান্টিক চিন্তাধারায় বাংলা কাব্য সাহিত্যে প্রবাহিত ছিল। রঙ্গলার, হেমচন্দ্র, মধুসূদন প্রমুখ দিকপালদের সাহিত্যে এই রোমান্টিকতা পরিপূর্ণভাবে প্রকাশিত। ধীরে ধীরে বাংলা সাহিত্যের ক্রমশঃ রূপান্তর ঘটতে লাগল, আর সেই সঙ্গে কবিরাও নেমে এলেন কঠিন মাটির ওপর। ইনসর্গিক চিত্রের বর্ণনা ছেড়ে সাধারণ মানুষের সুখ–দুঃখ, আশা–আনন্দ, হর্ষ বিবাদের কথা তাঁদের কাব্যে ফোটে ওঠতে লাগল। এই ধারাবাহিকতায় জন্ম দিল সুকান্তের। রবীন্দ্রনাথের প্রার্থনা ছিলণ্ড

“এসো কবি অখ্যাতজনের

নির্বাক মনের।

মর্মের বেদনা যত করিয়ো উদ্ধার।”

বিশ্ব কবি উত্তরাধিকারদের কাঁধে যে দায়িত্ব দিলেন সুকান্ত তা পালন করার জন্যে এগিয়ে এলেন। তিনি বলে উঠলেনণ্ড

“যে শিশু ভূমিষ্ঠ হলো আজ রাত্রে

তার মুখে খবর পেলুম

সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,

নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার

জন্মমাত্র সুদীর্ঘ চীৎকার।”

‘ছাড়পত্র’ কবিতায় নূতন মানব শিশুর স্পর্ধিত কান্নার মধ্য দিয়ে রেখে গিয়েছেন আগামী যুগ যুগান্তরের জন্যে। কঠিন প্রত্যয়ভরা মন নিয়ে বলেছেনণ্ড

“এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি

নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার।”

বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে একটা নূতন ধারা প্রবর্তন করে গিয়েছেন।

এটাই কবি প্রতিভার বৈশিষ্ট্য।

দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কঠোর রাজনৈতিক সংগ্রামের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে নিয়েছেন। এই সংগ্রামে কবির ভূমিকা চারণ কবির ভূমিকা।

“ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছনই জানি আমি ভাবী বনস্পতি,

বৃষ্টির মাটির রথে পাই আমি তারিতো সম্মতি।

সেদিন ছায়ায় এসে, হানো যদি কঠিন কুঠারে,

তবুও তোমায় আমি হাতছানি দেব বারে বারে।

ফুল দেব, ফল দেব, দেব আমি পাখিরও কূজন,

একই মাটিতে পুষ্প তোমাদের আপনার জন।”

জনতার সঙ্গে একাত্ম হয়ে কবির কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছেণ্ড

“শুধু আমরা দৈনন্দিন ইতিহাস লিখি।

তবু ইতিহাস মনে রাখবে না আমাদের

কে আর মনে রাখে নবান্নের দিনে কাটা ধানের গুচ্ছকে?

কিন্তু মনে রেখ তোমাদের আগেই খবর পাই

মধ্যরাত্রির অন্ধকারে

তোমাদের তন্দ্রার অগোচরেও।”

জনতা নির্জীব চেতনাহীন জড়পিণ্ড নয়। একদিন হয়তো আমরা প্রত্যেকেই এক একটা জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হব।

শুধু তা নয়ণ্ড

“আমার দিন পঞ্জিকায় আসন্ন হোক

বিস্ফোরণের চরম পবিত্র তিথি।”

কবির অজস্র কবিতায় উচ্চারিত মানুষের মর্মবেদনা। ‘সিগারেট’, ‘দেশলাই কাঠি’, ‘বিবৃতি’, ‘সেপ্টেম্বর ৪৬’, ‘ঐতিহাসিক’, ‘বোধন’ ইত্যাদি কবিতায় জনতার নব চেতনার সাড়া সুপরিস্ফুট। এমনি করেই তিনি এগিয়ে চলেছেন আগমনের পথে। সমস্ত বিদ্রোহ শিশু মানুষের প্রার্থনা, আলো এবং উত্তাপের জন্যে। যে উত্তাপে রাস্তার উলঙ্গ ছেলেটাও আবার নূতন করে বেঁচে ওঠবে।

তাইতো বলেছেনণ্ড

“হে সূর্য!

তুমি আমাদের স্যাঁত স্যাঁতে ভিজে ঘরে

উত্তাপ আর আলো দিও।

আর উত্তাপ দিও

রাস্তার ধারে এই উলঙ্গ ছেলেটাকে।”

কবি অতি সহজভাষায় পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কথা ব্যক্ত করেছেন। যে কবিতাটিতে তিনি লিখেছেন, ‘পূর্ণিমা’ চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’। ‘হে মহামানব’ কবিতাটির মধ্যে তারই আভাষ পাওয়া যায়।

“অবশেষে সব কাজ সেরে

আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে

করে যাব আশীর্বাদ,

তারপর হব ইতিহাস।”

সুকান্ত তাই আজ বাঙালীর ইতিহাস।

কবি ‘ছাড়পত্র’ নিয়ে এক নূতন বিশ্বে আবির্ভূত হয়েছিলেন। “এসেছে নূতন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান। জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ। তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ প্রাণপণে, পৃথিবীর সবার জঞ্জাল। একদিন হয়তো এই পৃথিবীতে থাকবো না। তবুও সার্থক করে গেলাম। …. এই আমার আজকের সান্ত্বনা। ” নজরুল যেভাবে কাব্যজগতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন, সুকান্ত ছিলেন ব্যতিক্রম। চমক জাগানো কোনো কথা তিনি ব্যবহার করেন নি। কবিতার ধ্বনি মাধুর্যের সাহায্য নিয়ে স্বচ্ছন্দগতিতে যেভাবে কাব্য রচনা করেছেন তার নিদর্শন বাংলা ভাষায় খুবই বিরল। অত্যাচারিত, নিপীড়িতদের প্রতি ক্ষুব্ধ অনুভূতি ‘চারাগাছ’ কবিতার প্রতি ছাত্রে ছাত্রে পরিস্ফূট হয়ে ওঠেছে। কয়েকটি পংক্তি উদ্ধৃতি দেওয়া হল–

“ভাঙা কুড়ে ঘরে থাকি

পাশে এক বিরাট প্রাসাদ

প্রতিদিন চোখে পড়ে

সে প্রাসাদ কি দুঃসহ স্পর্ধায় প্রত্যহ

আকাশকে বন্ধুত্ব জানাই

আমি তাই চেয়ে চেয়ে দেখি।

চেয়ে চেয়ে দেখি আর মনে মনে ভাবি

ঐ অট্টালিকার প্রতি ইটের হৃদয়ে

অনেক কাহিনী আছে অত্যন্ত গোপনে,

ঘামের রক্তের আর চোখের জলের।”

কবির লেখা একটা চিঠিতে দেখা যায়, ‘বাস্তবিক আমি কোথাও চলে যেতে চাই, নিরুদ্দেশ হয়ে মিলিয়ে যেতে চাই…কোনো গহন অরণ্যে কিংবা অন্য যে কোনো নিভৃততম প্রদেশে, যেখানে মানুষ নেই, আছে কেবল সূর্যের আলোর মতো স্পষ্টমানা হিংস্র আর নিরীহ জীবেরা আর অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ।’

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুসন্ধান করেও তিনি তৃপ্তি পানদ্দ (পত্রগুচ্ছ)। রোমান্টিক কবিদের মতো নিরুদ্দেশ যাত্রা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। কেবল মানুষের হিংসা থেকে সাময়িকভাবে উপভোগ করতে চায় কবির মন…।

কবি চাঁদকে যেমন ঝলসানো রুটি ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারেন নি, তেমনি সূর্যকেও এক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড ছাড়া অন্য কিছূ কল্পনা করেন নি। যে অগ্নিপিণ্ড আমাদের নিরুত্তাপ রৌদ্র পিপাসু স্যাঁততস্যাঁতে দেহে উত্তাপ দেবে, শীতের দিনে রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটাকেও গরম করবে। তাই লিখেছেনণ্ড

“শুনেছি তুমি এক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড,

তোমার কাছে উত্তাপ পেয়ে পেয়ে

একদিন হয়তো আমরা প্রত্যেকে এক একটা জ্বলন্ত

অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হবো,

তারপর সেই উত্তাপে যখন পুড়বে আমাদের জড়তা,

তখন হয়তো গরম কাপড়ে ঢেকে দিতে পারবো

রাস্তার ধারের এই উলঙ্গ ছেলেটাকে।

আজ কিন্তু আমরা তোমার অকৃপণ উত্তাপের প্রার্থী।

সত্য ও সুন্দরকে কবি অনুভব করেছেন বলেই বলতে পেরেছেনণ্ড

“আমার সোনার দেশ,

ভালবাাসি এ দিগন্ত, স্বপ্নের ছোঁয়া মাটি।”

মানুষের দুঃখ দুর্দশায় কবি অসহ্য যন্ত্রণায় ছফফট করেছেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী জনতা লাঞ্ছিত, নিপীড়িত ও অত্যাচারিত। আধুনিকতার যন্ত্রণা, বিষাদ এবং বিদ্রোহ সবই তাঁর কবিতায় উপস্থিত। উপবাসী উদরের মর্মছেদী হাহাকার তাঁকে বেদনা ব্যাকুল করে তুলেছিল বলেই দৃষ্টি ছিল সমাজমুখী। মন সদা জাগ্রত, লেখনী বজ্রকঠোর। ‘রানার’ কবিতাটি সমপ্রাণতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মানবিক বঞ্চনা ও রিক্ততার এমন আচার্য নিবিড় আলেখ্য বাংলা কবিতার সুবিরল। রাত্রির নিঃসঙ্গ নৈঃশব্দকে প্রকম্পিত করে পৃথিবীর সংবাদ ‘মেলে’ তোলে দিচ্ছে ক্ষুধার্ত রানার। ‘কত সুখে, প্রেমে, আবেগে, স্মৃতিতে কত দুঃখে শোকে প্রিয়জনকে চিঠি লেখে মানুষ।’ সে খবর বহন করে যে রানার, তার জীবনের দুঃখের কাহিনী ‘জানবে পথের তৃণ’–

“ক্লান্তশ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ, মাটি ভিজে গেছে ঘামে,

জীবনের সব রাত্রিকে ওরা কিনেছে অল্প দামে।

অনেক দুঃখে, বহু বেদনায়, অভিমানে, অনুরাগে,

ঘরে তার প্রিয় একা শয্যায় বিনিদ্র রাত জাগে।”

(রানার)

রানারের অভিশপ্ত জীবনের মর্মান্তিক ট্রাজেডি সারা বিশ্বের বঞ্চিত মানুষের পীড়িত আত্মার আকুল আর্তনাদ। যেদেশ আকাশ বাতাস কিশোর কিশোরী লীলার কোমল কান্ত পদাবলীতে প্রতিধ্বনিত, সেই দেশের কবি সুকান্তকে দুঃখেই বলতে হয়েছেণ্ড

“এ দেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম,

অবাক পৃথিবী! সেলাম, তোমাকে সেলাম।”

(অনুভব)

চির বসন্তের কবি রবীন্দ্রনাথের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার যাঁর পরম গৌরব সুকান্ত, তাঁকে গভীর বেদনায় উচ্চারণ করতে হয়েছেণ্ড

“আমি এক দুর্ভিক্ষের কবি,

প্রত্যহ দুঃস্বপ্ন দেখি, মৃত্যুর সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি,

আমার বসন্ত কাটে খাদ্যের সারিতে প্রতীক্ষায়,

আমার বিনিদ্র রাতে সতর্ক সাইরেন বেজে যায়,

আমার রোমাঞ্চ লাগে অযথা নিষ্ঠুর রক্তপাতে

আমার বিস্ময় জাগে নিষ্ঠুর শৃংখল দুই হাতে।”

ভেজার, গোপন খবর, বিয়ে বাড়ির মজা, রেশনকার্ড, খাদ্য সমস্যার সমাধান ছড়ার মধ্যে কিশোর জগৎকে সমস্যা আর সংকটের মধ্যে এনে দিয়ে তাদের মনকে আন্দোলিত করেছে। ‘ভেজালে’ বলেছেন–

“ভেজাল, ভেজাল, ভেজালরে ভাই, ভেজাল সারা দেশটায়।

ভেজাল ছাড়া খাঁটি জিনিষ মিলবে নাকো চেষ্টায়।”

‘বিয়ে বাড়ির মজাতে’ সুকান্ত এমন এক অসামাজিক চিত্র এঁকেছেন যেখানে দুর্ভিক্ষ, যেখানে খাদ্যাভাব সেখানে বিলাসীদের বাড়ির বিয়েতে অপচয়, আর তারই দুয়ারে দাঁড়িয়ে দুর্গতদের দল আশায় চেয়ে আছে যদি কিছু পায়।

“আসুন, আসুন–বসুন সবাই, আজকে হলাম ধন্য,

যৎসামান্য এই আবেদন, আপনাদেরই জন্য।

মাংস, পোলাও, চপ–কাটলেট, লুচি আর মিষ্টি

খাবার সময় এদের প্রতি দেবেন একটু দৃষ্টি।”

“বললে পুলিশ : এই কি কর্তা, ক্ষুদ্র আয়োজন?

পঞ্চাশজন কোথায়? এই যে দেখছি হাজার জন।

এমনি করে চাল নষ্ট দুর্ভিক্ষের কালে?

থানায় চলো কাজ কি এখন এইখানে গোলমালে

কর্তা হলেন কাঁদো–কাঁদো, চোখেতে জল আসে

গেটের পাশে জড়ো হওয়া কাঙালীরা হাসে।”

( বিয়ে বাড়ির মজা)

এই ছড়া থেকে মনে হয় কিশোর বয়সে কবি সমাজের মুখোসধারীদের চিনতে পেরেছেন। তাঁর প্রত্যেকটি লেখায় সংবেদনশীল মন গভীরভাবে ভরপুর হয়ে ওঠেছে। ‘কলম’ কবিতায় ধিক্কার দিয়ে লিখেছেন–

“কলম শুধু বারংবার,

আনত করে ক্লান্ত ঘাড়

গিয়েছো লিখে স্বপ্ন আর পুরানো কত কথা,

সাহিত্যের দাসত্বের ক্ষুদিত বশ্যতা।

ভগ্ন নিব, রুগ্নদেহ জলের মতো কালি

কলম, তুমি নিরপরাধ তবু গালাগালি

পেয়েছো আর সয়েছো কত লেখকদের ঘৃণা,

কলম, তুমি চেষ্টা করো, দাঁড়াতে পারো কিনা।”

কবির সবচেয়ে বড় অবদান, আধুনিক বাংলা কবিতাকে তিনি লোকমানসের সঙ্গে সংযুক্ত করে শিকড়ে সত্যিকারের মাটি সন্ধান দিয়েছিলেন।

রোগশয্যায় শায়িত অবস্থায় তাঁর চোখে যেন ভেসে ওঠেছে–

“আজ রাতে যদি শ্রাবণের মেঘ হঠাৎ উড়িয়া যায়

তবুও পড়িবে মনে,

চঞ্চল হাওয়া যদি ফের হৃদয়ের আঙ্গিনায়,

রজনীগন্ধা বনে

তবুও পড়িবে মনে।”

তার বেদনাহত জীবনের মর্মবাণী প্রকাশ পেয়েছে “আমার মৃত্যুর পর’ কবিতায়।

“আমার মৃত্যুর পর থেমে যাবে কথার গুঞ্জন, বুকের স্পন্দনটুকু মূর্ত হবে ঝিল্লীর ঝংকারে জীবনের পথপ্রান্তে ভুলে যাবে মৃত্যুর শঙ্কারে, উজ্জ্বল আলোর চোখে আঁকা হবে আঁধার অঞ্জন।”

যে কিশোর কবি একদিন আমাদের মনের কাছাকাছি এসেছিলেন। মৃত্যু তাঁকে হরণ করে নিলেও পাঠকের হৃদয়কুঞ্জে এখনও চিরজাগ্রত।

(সংগৃহীত)

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত