
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, এবিনিউজ : কাজী আনিস আহমেদ, সাদাফ সায্ এবং আহসান আকবার ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক। ঢাকা আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের শুরু থেকেই তিনজন একসঙ্গে যুক্ত আছেন এর সঙ্গে। এবারের উৎসবের নানা দিক নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
বাংলাদেশকে চিনুক বিশ্ব : কাজী আনিস আহমেদ
এবারের ঢাকা লিট ফেস্ট নিয়ে কী ভাবছেন?
গত ছয় বছরের আয়োজনে এটি যথেষ্ট পরিণত ও পরিপকস্ফ রূপ পেয়েছে। সপ্তমবারের মতো এ আয়োজনের পরিধি অনেক বেড়েছে। এবার আরও বেশি দেশের সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে আয়োজনটি বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে। মোট ২৪টি দেশের দুই শতাধিক শিল্পী-সাহিত্যিকের সমাগম ঘটেছে এবারের উৎসবে। দর্শক ও সাহিত্যপ্রেমী মানুষদের বিপুল সাড়া ইতিমধ্যে আমাদের মুগ্ধ করেছে। অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় অধিক আশাবাদী আমি। পশ্চিমা বিশ্ব সব সময় আমাদের দুর্ঘটনা, দারিদ্র্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে এসেছে। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে জঙ্গিবাদ। কিন্তু আমরা চাই, আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিচিতি বিশ্বের সামনে সমহিমায় উপস্থাপিত হোক। নতুন বাংলাদেশকে চিনুক বিশ্ব।
এটি একটি আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ সময়ের শ্রেষ্ঠ লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে এবং উত্তরোত্তর বড় পরিসরে এটি করা সম্ভব হচ্ছে। উৎসবটি এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় সাহিত্য আয়োজন হিসেবে সমাদৃত।
বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়োজনকে কীভাবে দেখছেন?
এখানে একটি বিষয় হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের লেখক-চিন্তাবিদরা আসছেন। তারা কী ভাবছেন, আমরা জানতে পারছি। অন্য মূল বিষয়টি হচ্ছে, বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি ও কৃষ্টি অন্যদের কাছে তুলে ধরা। আমাদের বিখ্যাত অনেক লেখকের কালজয়ী রচনাবলি বাংলার বাইরে প্রচারিত হয়নি। সোমালিয়া বা আলবেনিয়ার মতো অনেক ছোট বা সংকটময় দেশের লেখকরাও আন্তর্জাতিক মর্যাদা পান। তাহলে বাংলা লেখা উপেক্ষিত থেকে গেল কেন? সাবলীল সহজ অনুবাদ বেশি হওয়া দরকার, যেটা আবার বিদেশি সমঝদারদের হাতেও পৌঁছে দেওয়া দরকার। লিট ফেস্টের মাধ্যমে সেসব কাজ আমরা শুরু করতে পেরেছি বলেই আমার বিশ্বাস।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা
গত বছর প্রথমবারের মতো সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ভি এস নাইপল বাংলাদেশে এসেছেন। পুলিৎজারজয়ী কবি ভিজেই সেশাদ্রি ও ম্যানবুকারজয়ী অনুবাদক ডেবোরা স্মিথ এসেছেন। এবার এসেছেন আরেক স্বনামধন্য বিশ্ববিখ্যাত কবি আদোনিস। এবং এবারের অংশগ্রহণকারী বিদেশি সাহিত্যিকদের তালিকা অন্যান্যবারের তুলনায় আরও বৈচিত্র্যময়। আমাদের বিশ্বাস, এভাবে এক সময় দেশ-বিদেশের সাহিত্যিকদের এই আদান-প্রদান আরও নিবিড় ও সাবলীল হবে।
আমরা খুবই খুশি : সাদাফ সায্
কেমন মনে হচ্ছে এবারের আয়োজন?
আমরা খুবই খুশি যে, বাংলাদেশে এমন একটি আয়োজন করতে পেরেছি। গত বছর দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনাগুলো এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে একটি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছিল, তাকে টেক্কা দিয়ে আমরা উৎসবকে অন্যবারের তুলনায় আরও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ করতে পেরেছিলাম। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। বরং এবার আরও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও অতিথির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৭। এটি খুবই আশাব্যঞ্জক।
উৎসবের অভিজ্ঞতা বলুন
প্রত্যেকবারের মতো এবারও নানা রকম চ্যালেঞ্জ ছিল। সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেই এবার আমরা বিগত বছরগুলোর তুলনায় আরও বেশি অতিথি সাহিত্যিকদের যুক্ত করতে পেরেছি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের এক উল্লেখযোগ্য অংশের অংশগ্রহণে এবারের উৎসবটি আলোকিত হয়ে উঠেছে। প্রবীণদের পাশাপাশি নানা ক্ষেত্রের তরুণ প্রতিভাশীলদের অংশগ্রহণে মুখরিত হয়েছে এবারের আয়োজন।
আর অভিজ্ঞতা বলতে, এবার উৎসবটা অনেক বেশি শিক্ষণীয়। প্রতিটি সেশনের আলোচনার বিষয়বস্তু থেকে শুরু করে অতিথি বৈচিত্র্য- সবকিছুতেই জমজমাট এক সৃজনযজ্ঞ হয়ে উঠবে বলে আশা করছি। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার আরও বেশি দর্শকের অংশগ্রহণ উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তুলবে। সব মিলিয়ে এ আয়োজন সম্পন্ন করতে পারা বিশ্বসাহিত্য তো বটেই; সর্বক্ষেত্রেই বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ইতিবাচক সাড়া ফেলবে। আর সবচেয়ে আনন্দময় অভিজ্ঞতাটা হলো ভি এস নাইপলের সান্নিধ্য।
ঢাকা লিট ফেস্ট এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার মতামত কী?
সত্যি কথা বলতে কি, শুধু বইমেলা নিয়েই এ যুগের সাহিত্যটা হয় না। আমরা অন্য যে কোনো বিষয় নিয়ে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি; সাহিত্যেও সে কাজটা চালিয়ে যেতে হবে। সে জন্যই এ উৎসব একটি জায়গা তৈরি করে দেবে। আমাদের বাংলা ভাষায় এত বিশাল কাজ হয়ে গেছে, এত বড় বড় সাহিত্যিক তাদের কিংবদন্তিতুল্য সৃষ্টি রেখে গেছেন; তাহলে কেন শুধু একটি বৈশ্বিক যোগাযোগের অভাবে আমরা পিছিয়ে থাকব! বাংলাদেশের সমসাময়িক লেখকরাই বা কেন 'বাংলাদেশি লেখক' হিসেবে বিশ্বসাহিত্য-জগতে যথাযোগ্যভাবে দাঁড়াতে পারবেন না!
এবার ২৪টি দেশের প্রচুর সংখ্যক বিদেশি সাহিত্যিক এসেছেন এ উৎসবে। ভবিষ্যতে বিশ্বের নানা অঞ্চলের সাহিত্যিকদের সঙ্গে এ আদান-প্রদান অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে বছরব্যাপী সারাদেশে এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করার চিন্তা রয়েছে। শিশুদের নিয়ে আমরা আরও কিছু কাজ করব বলে ভাবছি।
যেহেতু বাংলাদেশের সাহিত্যকে ঘিরে সাহিত্যের এমন একটি আয়োজন পরিচালনা করছেন; বিশ্বসাহিত্য-জগতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাহিত্যচর্চাকে কীভাবে দেখছেন?
আমাদের যে সাহিত্যের ইতিহাস, সেটাকে তো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং অবশ্যই তা এই সময়ের মতো। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের লেখা পড়তে হবে, আমাদের লেখাও তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সব মিলিয়ে পরের প্রজন্মের কাছে সাহিত্যচর্চার এই ধারাবাহিকতা ধরিয়ে দিয়ে যেতে হবে। দিন তো অবশ্যই বদলে যাচ্ছে। সেই বদলের সঙ্গে সাহিত্যচর্চার ধরনও বদলাবে। একই সঙ্গে আমরা আমাদের ধ্রুপদী সাহিত্যের চর্চাও বজায় রাখব। সব মিলিয়েই হবে আমাদের সাহিত্যিক ভবিষ্যৎ। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে সাহিত্যচর্চার জন্য পর্যাপ্ত নয়; আমাদের ছেলেমেয়েদের এত বেশি বিপর্যয়; সেখানে সাহিত্যকে আমরা কীভাবে উৎসাহ দেব, উদযাপন করব? এর একটি উপায় হচ্ছে বইমেলা, আরেকটি হচ্ছে এই সাহিত্য উৎসব।
এবার অনেক দেশের সাহিত্যিক এসেছেন উৎসবে। ইউরোপ-আমেরিকাকেন্দ্রিক যে সাহিত্য-ঘরানা, এর বাইরের সাহিত্যিকদের নিয়ে আপনাদের ভাবনা কী? বিশ্বসাহিত্যিকদের আমন্ত্রণের ব্যাপারে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাটা কেমন?
এটি সত্যি, সবই শুধু লন্ডন আর নিউইয়র্ককেন্দ্রিক হলে হবে না। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সাহিত্যিকদের ও তাদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও পরিচিত হতে হবে। এ উৎসব সে সুযোগও করে দিচ্ছে। আমাদের স্বপ্নও আছে এ ব্যাপারে- আমরা আরও বেশি আন্তর্জাতিক করে তুলব এ উৎসবকে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে তো অতিথি সাহিত্যিক এনেছি এর আগে। কিউবা, কেনিয়া, ফিলিস্তিন থেকে সাহিত্যিকদের এনেছি। এবার আদোনিস এসেছেন। কবিতা, কথাসাহিত্য, থিয়েটার, চলচ্চিত্র এমন নানা ক্ষেত্রের শিল্পী-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণ আয়োজনকে আলোকিত করেছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে আরও বড় বড় সাহিত্যিককে আমরা ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব। তা ছাড়া সাহিত্যের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার ইচ্ছা আছে আমাদের। উৎসবটা তো বছরে একবার তিন দিনের এক আয়োজন। তার পর একে ঘিরে সারাবছরের নানা রকম সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার উদ্যোগ নিতে চাই।
পৃথিবীকে আমরা আমাদের মেধার পরিচয় দিতে চাই :আহসান আকবার
উৎসবের অন্যতম পরিচালক হিসেবে স্বনামধন্য কবি আদোনিসের উপস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
আদোনিসের মতো বিশ্ববিখ্যাত কবিকে ঢাকায় আনতে পেরে আমার দুই সহকর্মীর মতো আমিও দারুণ আনন্দিত। তবে স্যার ভি এস নাইপল ও প্রমীলা নাইপলের দৃঢ় সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। এ কারণে আমরা তাদের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এটি শুধু লিট ফেস্টের সামর্থ্যকেই বৃদ্ধি করে না; এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা পারস্পরিক সম্পর্ক, উৎসাহ ও সাহিত্যিক ঋদ্ধতাকেও প্রকাশ করে। কবি আদোনিসের ৮৭ বছর চলছে। জীবনের বেশিরভাগ সময়ে প্যারিসেই থেকেছেন। সাহিত্য উৎসবে তার উপস্থিতিও দুর্লভ ঘটনা। কোনো আয়োজনে যাওয়ার বদলে তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে লিখতেই পছন্দ করেন।
আয়োজনের অন্য পরিচালক কাজী আনিস আর আমি গত বছর প্যারিসে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাকে রাজি করানোর সেটাই ছিল একমাত্র উপায়। এত দূর থেকে আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি- এটি তার খুব ভালো লেগেছিল এবং তিনি খুশি হয়ে আমাদের কথা দিয়েছিলেন। আমার সামনেই তিনি তার মেয়েকে বলছিলেন, 'আমাদের ঢাকা যেতে হবে। আনিস আর আহসান আমাকে দেখতে এসেছে, তাই আমাকেও তাদের দেখতে যেতে হবে।' এই ৮৭ বছর বয়সে, এত দূরের পথ পাড়ি দিয়ে তিনি তার কথা রেখেছেন। এটা আমাদের কাছে সত্যিই আনন্দের এবং অবশ্যই গর্বের।
আন্তর্জাতিক শিল্প-সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে অনেক অতিথি আসছেন এবার। এ সম্পর্কে কিছু বলুন-
আমরা খুব সচেতনভাবে প্রতি বছরই এটি করছি। এটি হলো শিল্পের বৈচিত্র্যকে উদযাপন করা। এর মধ্য দিয়ে বহুত্ববাদী একটি জায়গা তৈরি হয়। যেমন বিশ্বের একজন প্রথিতযশা নাট্যকার হিসেবে পরিচিত ডেভিড হেয়ার তার স্ত্রী নিকোল ফারিসহ এবারের উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন। শিল্পমাধ্যম হিসেবে মঞ্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সৃজনশীল অভিব্যক্তি হিসেবে 'ফ্যাশন ডিজাইনিং'ও আধুনিক দুনিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। কিন্তু এসব বিষয়-আশয় নিয়ে নতুনতর কথাবার্তা চলছে। এতে নতুন নতুন চিন্তার সঙ্গে শিল্পের সমন্বয় ঘটবে। এসবের প্রচলিত ধরনগুলোর সঙ্গে নতুন নতুন ধারণা যুক্ত হবে। ডেভিড হেয়ার মঞ্চের নতুন দিনের ধারণাগুলো নিয়ে কথা বলবেন। সাত বছর এ আয়োজন করার পর আমরা অনেক কিছুই আগের চেয়ে ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছি। আমাদের দর্শক-শ্রোতারা কী চাচ্ছেন, কোন কোন বিষয় তারা বেশি পছন্দ করছেন- এসব বুঝে নিয়ে সে অনুযায়ী আমরা সাজাতে চেষ্টা করেছি। আর এ পদ্ধতিটা আয়োজনকে শক্তিশালী করে তুলবে বলে আমরা আশাবাদী।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পী-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণ এ আয়োজনকে বৈচিত্র্য দান করেছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন-
হ্যাঁ, এবার ২৪টি দেশের দুই শতাধিক বক্তা, শিল্পী-সাহিত্যিক এ অয়োজনে অংশ নিচ্ছেন এবং এটি গত বছরের তুলনায় এক উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন। গতবার ১৮টি দেশের অতিথিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে আয়োজনের এমন পরিবর্ধন অবশ্য এর খরচকেও বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। সে দিকটা আমাদের ভাবিয়ে তোলে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে এটি নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির অবদান অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশের শিল্পী-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণ নিয়ে কিছু বলুন। নিজেদের সাহিত্যের বিকাশে উল্লেখযোগ্য কী থাকছে?
বাকি পৃথিবীকে আমরা আমাদের মেধার পরিচয় দিতে চাই। আমরা অবশ্যই আমাদের প্রতিভাশীল শিল্পী ও সাহিত্যিকদের এবং তাদের কাজগুলোকে সীমানার বাইরে পৌঁছে দেওয়ার একটি সুযোগ তৈরি করতে চেষ্টা করছি। এবং এটিই এ আয়োজনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। প্রতি বছরই আমরা বাংলাদেশি সাহিত্যিকের বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ করে আসছি। এবার উৎসবে ইমদাদুল হক মিলনের দুটি উপন্যাসের অনুবাদ প্রকাশ করা হবে। বিখ্যাত এবং আমার অত্যন্ত প্রিয় কবি হেলাল হাফিজ স্বকণ্ঠে নিজের কবিতা আবৃত্তি করবেন এবার। তা ছাড়া সাহিত্য ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিক-বক্তাবৃন্দ উৎসবের বিভিন্ন পর্বে তাদের মূল্যবান বক্তব্য ও বিতর্ক রাখবেন।
সাহিত্যের বাইরে এবার বিভিন্ন মাধ্যমের সৃজনশীলদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এমন আর কী কী নতুনত্ব থাকছে এবার?
আমরা এবার সাহিত্য পুরস্কারের আয়োজন করেছি এবং সেই সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় সাহিত্যের 'ডিএসসি' পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। হলিউডের বেশ কিছু নাম থাকছে এবারের অতিথি তালিকায়। এসব ব্যাপার এর আগে ছিল না। (সৌজন্যে : সমকাল)
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ