![বক্ষরথে ষষ্ঠপদী](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/02/vaggodhon-barua_113394.jpg)
ঢাকা, ০২ ডিসেম্বর, এবিনিউজ :
বক্ষরথে ষষ্ঠপদী
ভাগ্যধন বড়ুয়া
ক।
ভালোবাসা মাপা যাবে যতো গভীর চোখের চাপ
কম্প বাড়ে ভরাপ্রেমে ,দিনগুলো সব দৌঁড়ঝাঁপ!
একটু আরও বেশি দেখা,আরও একটু বেশ কথা
আরও বলা বাকি থাকে, অদেখায় বুক ব্যথা…
শিশির হয়ে জমে কথা প্রহর ভাঁজে শেষ রাতে
স্বপ্নমনে ভাব বিনিময় সদা কথা তোর সাথে…
খ।
শিশির উবে সূর্যতাপে তবুও জড়ায় দূর্বাঘাস
মন তো চলে বাধাহীনে স্রোতের মতো স্ব–সাহস
বক্ষজাত ভালোবাসা জানবে সে তো যার তরে
তবুও বলি বারেবারে ভালোবাসি মন ভরে…
বুকে যদি ছন্দ থাকে প্রকাশ হবে নিরন্তর
বুঝে নিও তোমার তরে নিবেদিত এই অন্তর
গ।
সমতালে যৌথযাপন সুখে–দুঃখে শ্রেষ্ঠ
পূর্ণমানে ভালোবাসার একটা দিন যথেষ্ট!
পরস্পরে দেখে যখন হৃদপিণ্ড দোল দেয়
সমরূপী কম্প নিয়ে ঘূর্ণিপ্রেমে রূপ নেয়!
নিয়ম–কানুন বেশি হলে বেতাল লাগে মনের বীণ
ভালোবাসা চলুক তবে যুক্তিহীন–চুক্তিহীন!
ঘ।
টান বাড়ে গো দিক কমে পুলক জাগে মরমে
অন্ধ বুকে মোলাকাতে অস্থিরতার ভাব কমে
চোখের ভাষায় পাই ভরসা টানতে বুকে দ্বিধাহীন
আমল দিই না অন্যদিকে ভালোবাসি বাঁধাহীন
যতো সময় কাছে থাকো হৃদয়পুরে মহোৎসব
বাদ্যি বাজে পুস্প সাজে চারিদিকে কুহুরব…
ঙ।
ঢেউখেলানো কোঁকড়াচুলে তরঙ্গিত দেহ–মন
বুকের পালে সুখের বৈঠায় কাব্য–গানে এই ভ্রমণ
নিরবধি হাসির স্রোতে দিন কেটে যায় সাবলীল
চেয়ে থাকা, আদর–ছোঁয়ায় ভরা থাকে আমার দিল
হেমন্তের এই সকাল–সন্ধ্যা তোমার ছোঁয়ায় উষ্ণ হয়
সরল প্রাণের ভালোবাসায় দৈনিক জীবন শান্তিময়
চ।
ধরায় যেমন তিনভাগ জল দুঃখ থাকে চারের তিন
সুখের সময় দ্রুত ফুরায় বাজে শুধু দুঃখের বীণ!
তাইতো থাকি বিচলিত সুখের দেখা যখন পাই
এখন বুঝি বজ্রপাতে ভন্ডুল হবে আমেজটাই!
তাইতো কিছু সুখমুহূর্ত সাজাই বুকের দেয়ালে
দেখে দেখে স্মরণ করি তুমি গভীর খেয়ালে…
(সংগৃহীত)
এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি