বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

বিলম্বিত সন্ধ্যায় শাস্ত্রীয় সংগীতে মন রাঙালেন মেঘোদীপা

বিলম্বিত সন্ধ্যায় শাস্ত্রীয় সংগীতে মন রাঙালেন মেঘোদীপা

ঢাকা, ০৯ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : সাত সুর ও ২২টি শ্রুতির সমন্বয়ে আরোহন অবরোহন বিন্যাস, বাদী ও সমবাদী স্বরের প্রয়োগ এবং মীড়, গমক ও অন্যান্য সাঙ্গীতিক কৌশলের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত রাগসমূহ। বিলম্বিত সন্ধ্যায় পরিবেশন করা হয় ‘খাম্বাজ রাগ’। শিল্পী করলেনও তাই। খাম্বাজ রাগের ঠুমরীতে গাইলেন ‘শ্যামভাই ঘনশ্যাম না আয়ে’।

ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী মেঘদীপা গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিবেশনায় গতকাল শুক্রবারের বিলম্বিত সন্ধ্যায় করতালিতে মুখর রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তন। শাস্ত্রীয় সংগীতের স্বর লহরি মনকে রঞ্জিত করার পাশাপশী দর্শকদের মুগ্ধ করছিলো শিল্পীর সংগীত উপস্থাপনার শৈলীও। কণ্ঠ থেকে প্রতিটি শব্দ উচ্চারণের পর তা যেন শিল্পী নিজ হাতেই বাতাসে নিজের মনের মতো করে ভাসিয়ে পৌঁছে দিচ্ছিলেন শ্রোতা-দর্শকদের কাছে।

বিলম্বিত সন্ধ্যায় শাস্ত্রীয় সংগীতে মন রাঙালেন মেঘোদীপা

সে শব্দের সঙ্গে তবলা, তানপুরা আর হারমোনিয়ামে মাধুরী মেশাচ্ছিলেন ভারতীয় শিল্পী সোমনাথ ব্যনার্জী, বাংলাদেশের দেবজানী দাস ও টিংকু শীল। ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি) আয়োজিত ‘হিন্দুস্তানী ক্ল্যাসিক্যাল ভোকাল মিউজিক’ পূর্ণতা পায় তাদের সকলের সম্মিলিত আয়োজনে।

পরিবেশনায় শিল্পী মেঘোদীপা গঙ্গোপাধ্যায় নিবেদন করেন মারু বিহাগ রাগের বিলম্বিত একতাল, দ্রুত তিনতাল, রাগ্রেশী’র মধ্যলয় তিনতাল, দ্রুত একতাল ও মাঝ খাম্বাজের ঠুমরী।

পরিবেশনা শেষে শিল্পী মেঘোদীপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের এটা আমার প্রথম পরিবেশনা। আমি কলকাতার হলেও দেশভাগের আগে আমার পরিবার বাংলাদেশি। সে সুবাদে এ দেশের প্রতি আলাদা একটা টান অনুভব করি। বাংলাদেশিরা ভীষণ সংগীত প্রিয়। এমন সংগীত প্রেমীদের আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করতে পেরে ভালো লাগছে।

শিল্পী মেঘোদীপা গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমান সময়ে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে উজ্জল নক্ষত্র। তিনি সংগীতের তালিম পেয়েছেন বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছ থেকে। বিভিন্ন পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন বিভিন্ন দেশে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত