![সুনামগঞ্জে বখাটের ছুরিকাঘাতে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/17/munni-killed-by-stabbed-abn_115764.jpg)
সুনামগঞ্জ, ১৭ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে বখাটের ছুরিকাঘাতে সুমাইয়া আক্তার মুন্নী (১৯) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত আটটার দিকে দিরাই উপজেলার দিরাই পৌর শহরের মাদানী মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার রাতে মুন্নীর ঘরে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বখাটে তরুণ ইয়াহিয়া সর্দার (২২)। পরে তার মৃত্যু হয়। আজ রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মুন্নীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত মুন্নী দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা হিফজুর রহমান ইতালিতে থাকেন। তাদের বাড়ি দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে। দিরাই শহরের মাদানী মহল্লা এলাকায় ভাড়া থাকেন হিফজুর রহমানের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের সাকিতপুর গ্রামের জামাল সর্দারের ছেলে ইয়াহিয়া সর্দার মুন্নীদের ঘরে ঢুকে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।
আত্মীয়-স্বজনরা জানান, বখাটে ইয়াহিয়া সর্দার মুন্নীকে উত্ত্যক্ত করার কথা তারা দুই মাস আগে র্যাব-৯’এর সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়কের কাছে অভিযোগ জানান। র্যাবের পক্ষ থেকে তখন দুই পক্ষকেই ডাকা হয়। ওই সময় ইয়াহিয়া আসেনি। কেবল জামাল সর্দার এবং মেয়ের মা রাহেলা বেগম আসেন। র্যাব-৯’এর সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক তখন ছেলের বাবাকে শাসিয়ে দেন এবং তার ছেলেকে ভালো পথে নিয়ে আসার দায়িত্বও দেন।
র্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কমান্ডার ফয়সল আহমদ জানান, ছেলেটির বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রী মুন্নীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকেই সুনামগঞ্জে ডাকা হয়। ছেলের বাবা এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ছেলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। পরবর্তীতে উত্ত্যক্ত করলে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল।
জেলা পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ্ খান বললেন, মুন্নীর পেটে ও বুকের বামপাশে আঘাত রয়েছে। আইজিপি ও ডিআইজি নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব খুনিকে গ্রেফতার করতে। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দিরাইয়ে অবস্থান করছেন এবং খুনিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি