শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • রাজনীতি
  • রংপুরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

রংপুরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

রংপুরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

রংপুর, ২১ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোট শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত এই ভোট হয়। নির্বাচন কমিশন মোট ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলেও শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সকাল থেকে নারী ভোটারদের আধিক্য থাকলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তারা সবাই সুশৃঙ্খলভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে কোনো কোনো কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ভোটারের অপেক্ষায় বসে থাকতেও দেখা গেছে। পরীক্ষামূলকভাবে বেগম রোকেয়া কলেজ কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোট নেওয়া হয়।

সেখানে ভোট দিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা। পড়ালেখা না জানা ভোটাররা মেশিনে ভোট দেওয়া নিয়ে একটু বিরক্তি প্রকাশ করলেও কাগজ-কালি না লাগায় খুশি বলে জানান। আর শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দ্রুত ভোট দিতে পেরে তাদের সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ভোট শুরুর পরপরই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টু, বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ভোট দেন।

এছাড়া রংপুরের ভোটার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

তারা সবাই ভোট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নিজের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে দুপুরের পরে বিএনপির প্রার্থী বাবলা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, তাদের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি, অনেককে কেন্দ্র থেকে ক্ষমতাসীনরা বের করে দিয়েছেন।

তাদের এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ভোটে জিততে পারবে না জেনেই, বিএনপি এমন অভিযোগ করছেন।

আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বিএনপির অভিযোগ নাকচ করে সাংবাদিকদের বলেন, রসিকে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবধরনের আয়োজন নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বিঘ্নে ভোট উৎসব শেষ করতে প্রশাসনের প্রতি কঠোর নির্দেশ ছিলো ইসির। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে লড়াই হয়েছে মূলত নৌকা, লাঙ্গল আর ধানের শীষের মধ্যে। নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করতে পুরো নগরীতে দায়িত্ব পালন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ১৯৩টি কেন্দ্রে নেয়া হয় ভোট। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রশাসনের চিহ্নিত করা ১০৮টি কেন্দ্রের আশপাশে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন করে পুলিশ ও ১৪ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। আর সাধারণ কেন্দ্রে আট জন পুলিশ ও ১৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়া প্রতি ওয়ার্ডে থাকে র‌্যাবের একটি করে দল।

নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল), বিএনপির কাওসার জামান বাবলা (ধানের শীষ), বাসদের আবদুল কুদ্দুস (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম আখতার (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (হাতি)।

এছাড়া ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন ও সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৫ জন নারী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয়।

এই সিটিতে ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৬ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯৩টি, ভোটকক্ষ ১১৭৮টি।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত