
ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি। ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে আছেন তিনিও। তিনি একটি দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেছেন সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকার অংশটি হুবহু তুলে ধরা হলো
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আইপিইউর ১৩৬তম সম্মেলন। এ সম্মেলনের বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
প্রতি বছর আইপিইউর দুটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত। এর একটি হয় সাধারণত জেনেভায়, অন্যটি জেনেভার বাইরে। এবারই প্রথম দুটি সম্মেলনই হয়েছে জেনেভার বাইরে। প্রথমটি হয়েছে গত মার্চে রাশিয়ায়, দ্বিতীয়টি গত অক্টোবরে বাংলাদেশে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশের জন্য বড় বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। সম্মেলনে বাংলাদেশ ও আরো একাধিক দেশ মিলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যখন একটি যৌথ প্রস্তাব দেয়া হলো, তখন আমরা দেখলাম, রাশিয়ার যারা বিরোধী সংসদ সদস্য, তাদের সমর্থন আমরা পেয়েছি। এটি অনেক বড় একটি বিষয়। আনুষ্ঠানিক যে কূটনৈতিক ম্যাকানিজম আছে, সেখানে রাশিয়া আমাদের সমর্থন করেনি। কিন্তু জনপ্রতিনিধি যারা আছে, তাদের সমর্থন আমরা পেয়েছি। এটা সংসদীয় কূটনীতির একটা বড় সফলতা।
সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশে আইপিইউ কীভাবে ভূমিকা রাখছে?
আইপিইউ একটা সংসদকে দেখে সমাজের দর্পণ হিসেবে। একটি সমাজে যে দল বা গোষ্ঠী আছে, তাদের প্রতিনিধিত্ব আমরা সংসদে দেখতে পাই। বিষয়টিকে আমরা বলি প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ। সংসদ যদি সব দল বা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব না করে, তাহলে সংসদে যে সিদ্ধান্ত হবে, তার মধ্য দিয়ে সার্বিক মঙ্গল নিশ্চিত হবে না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৫ বছরের কম বয়সীরা এখন বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি। সারা পৃথিবীতে বর্তমানে আইপিইউর সদস্য দেশ ১৭৮টি। সংগঠনটিতে ৪৫ হাজার সংসদ সদস্য রয়েছেন, যারা সাড়ে ৬০০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা আইপিইউ থেকে এদের বয়স নিয়ে একটি সমীক্ষা করলাম। তাতে দেখলাম, ৩৫ বছরের কম বয়সী সংসদ সদস্যের সংখ্যা ২ শতাংশেরও কম। এক্ষেত্রে তো আমরা বলতে পারি, সমাজের সঠিক প্রতিফলন সংসদে হচ্ছে না। কথাটা রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আর বাংলাদেশের গত সংসদ নির্বাচনের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, তখন একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন করতে হয়েছিল। এখানে একটা রাজনৈতিক দল নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। যদিও প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তার পরও এ বিষয়ে আইপিইউর অবস্থান হবে আগামীতে যে নির্বাচন হচ্ছে, তাতে অবশ্যই যেন সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধিত্বের বিষয় বলতে আমরা বুঝি, জনগণকে আপনি অনেকগুলো দল থেকে একটিকে বেছে নেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। যে বাছাই প্রক্রিয়ায় যত বেশি দল থাকে, ভোটে জনগণের প্রার্থী বাছাইয়ের সুযোগ যত বেশি থাকে, সেটা তত সমৃদ্ধ হয়।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সংসদ কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে?
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সংসদের ভূমিকা ব্যাপক। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, এমনকি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও জবাবদিহিতা ও নজরদারির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। এখানে একটি বিভাগ যদি দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে সার্বিকভাবে চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের বিষয়টাও দুর্বল হয়ে যায়। এই চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের বিষয়টি যখনই দুর্বল হয়ে পড়বে, তার একটা নেতিবাচক প্রভাব সুশাসনের ওপর আসবে।
সংসদের একটি কাজ হচ্ছে আইন পাস করা। সে আইন সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা, সেটি দেখার দায়িত্বও সংসদের।
সংসদ সদস্যদের আরেকটি কাজ হচ্ছে প্রতিনিধিত্ব করা। মানুষের কথা বলা। তাদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে, সে কথা বলা। এছাড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি কাজ রয়েছে, সেটি হলো জবাবদিহিতা। বাংলাদেশে আমরা দেখি, একটি খাতে কত টাকা বরাদ্দ দেয়া হলো আর তার বিপরীতে আমরা কত খরচ করলাম। তদারকি বলতে আমরা শুধু এটাকেই বুঝি। বিষয়টিকে আমরা শুধু কোয়ান্টিটিভ টার্মসেই দেখি। কিন্তু যদি আমরা দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে চাই, তাহলে যে গুণগত দিক আছে, সেটিও দেখতে হবে। এ গুণগত বিষয়টি সুশাসনের সঙ্গে অবশ্যই জড়িত।
উন্নয়নের দিক থেকেও অগ্রগতি ব্যাপক। এ ধরনের উন্নয়ন অতীতে কখনো হয়নি। তবে আমরা যদি সুশাসনের বিষয়টা আরো নিশ্চিত করতে পারতাম, তাহলে মানুষ সুফলটা আরো পরিপূর্ণভাবে পেত। এখানে ব্যালান্সের একটা বিষয় আছে। শুধু উন্নয়ন করব আর সুশাসনের দিকে তাকাব না, সেটা ঠিক হবে না। দুটোকেই সমান গুরুত্ব দেয়া উচিত। আমাদের উন্নয়ন যে গতিতে এগিয়ে গেছে, সুশাসন এখনো সে গতিতে এগোয়নি। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা দেয়া হয়। একটি ব্যাখ্যা হলো, উন্নয়ন যদি নির্দিষ্ট একটি পর্যায়ে না পৌঁছে, তাহলে সুশাসন আসবে না। তবে আমি মনে করি, দুটোকে সমান্তরালভাবে চালাতে হবে। আমরা এ পর্যায়ে গেলে তারপর সুশাসন আসবে, সুশাসনের জন্য আমরা অপেক্ষা করব, আমার মনে হয়, সেটা হয়তো সঠিক না।
জাতীয় সংসদকে কীভাবে আরো কার্যকর করে তোলা সম্ভব?
জাতীয় সংসদের সদস্যদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সরকারের কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করা। এখানে বিরোধী দলের তুলনায় সরকারি দলের ভূমিকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমরা একটা দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করি, ফলে দলের বিষয়টা আমাদের দেখতে হবে। তবে দলকেও কিন্তু আমরা কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারি। সেটি হচ্ছে নির্বাচনের আগে আমার যে ইশতেহার ছিল, সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্বও আমার দলের নেতাদের। সেটি একটি বিষয়। আরেকটি বিষয় হলো বাজেট। বিষয়টি আমাদের অর্থাৎ সংসদ সদস্যদের কাছে একেবারে শেষ পর্যায়ে আসে। তখন সেটি নিয়ে এদিক-ওদিক করার সুযোগ খুব সামান্যই থাকে। সেটিতে খুব একটা পরির্বতন হয় না। বেশকিছু বছর আগে আমি একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমাদের অর্থবছর জুলাই থেকে জুনের পরিবর্তে এপ্রিল থেকে মার্চ করার। তখন অর্থমন্ত্রী বিষয়টির বিরোধিতা করেছিলেন। আমার ভাষ্য ছিল, অর্থবছর জুলাইয়ে শুরু হলে অর্থ বরাদ্দ হতে হতে নভেম্বর-ডিসেম্বর হয়ে যাচ্ছে। তারপর দুই মাস কাজ করতে করতে বর্ষা মৌসুম চলে আসে। আমরা যদি অর্থবছর এপ্রিল থেকে করতে পারতাম, তাহলে সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পুরোদমে কাজ করতে পারতাম।
এছাড়া জাতীয় সংসদের শুনানিগুলো নিয়ে আরো ব্যাপকভাবে চর্চা করা উচিত। বেশি মানুষকে বলার সুযোগ দিতে হবে।
বিষয়টিকে অন্য যেভাবে আরো কার্যকর করা যেতে পারে, সেটি হলো কাঠামোগত। আমাদের যে স্থায়ী কমিটিগুলো আছে, সেগুলো মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত। কিন্তু ওয়েস্টমিনস্টার বা হাউজ অব কমন্সে তাদের স্ট্যান্ডিং কমিটি আমাদের মতোই। এছাড়া তাদের সিনেট কমিটি আছে। সিনেট কমিটি হলো ইস্যুভিত্তিক। যেমন নারীর ক্ষমতায়ন। সেটি নিয়ে একটা কমিটি আছে। কারণ বিষয়টি ক্রস কাটিং। সেটি একটি মন্ত্রণালয়ে সীমাবদ্ধ নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বললে কৃষি থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার সব ক্ষেত্রেই এটি আসে। ওই আলোচনাটা আমাদের এখানে হয় না। আমরা শুধু একটা মন্ত্রণালয় তার কার্যক্রম ও শুদ্ধাচারের বিষয়টি দেখি। এর কার্যপরিধি বেশ সীমিত। আমার মনে হয়, বিষয়টি এখন আরো বড়ভাবে দেখা উচিত।
জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটির বিভিন্ন সুপারিশ অনেক সময় মন্ত্রণালয়গুলো পাশ কাটিয়ে যায়। বিষয়টিতে কীভাবে আরো তদারকি বাড়ানো যেতে পারে?
সংসদীয় কমিটি সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইতে পারে, কেন কাজটা মানা হলো না। কিন্তু আমরা তা করি না। আবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ডাকলে উপস্থিত হতে বাধ্য করার বিষয়টিও নেই। এখানে কার্যপ্রণালি বিধিতে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। এর ওপর নির্ভর করে আমরা কাজটা কীভাবে করব। দেখেন, একটা আইনের খসড়া আগে ক্যাবিনেটে যায়, তারপর সংসদে আসে। ক্যাবিনেট একবার এতে অনুমোদন দেয়, তারপর সেটি সংসদে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন সময় দেয়। খসড়া আইন পর্যবেক্ষণের যে বিষয়টি, তাতে খুঁটিনাটি বিষয় দেখা অনেক সময় সম্ভব হয় না। স্বাভাবিকভাবে নির্বাহী বিভাগ বা সরকারের কেউই নজরদারিতে থাকতে পছন্দ করে না। সংসদীয় গণতন্ত্রের বিষয়টা এমনভাবে স্থাপিত যে, কিছুটা চিন্তা আপনার থাকবে। আমি মনে করি, এটি গণতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর।
সংসদ সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে আরো কী কী উদ্যেগ নেয়া যেতে পারে? নারী সংসদ সদস্যদের ভূমিকা সম্পর্কে বলুন।
আইপিইউ ইউএনডিপির সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে দুই বছরে। সেখানে দেড়শটির বেশি পার্লামেন্ট অংশ নিয়েছে। দুটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এর একটি হলো জবাবদিহিতা নিশ্চিতবিষয়ক। অন্যটি হলো সংসদ সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধি। কোনো সংসদ সদস্যের যদি সক্ষমতা না থাকে, ইস্যু বোঝা ও তা তুলে ধরার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে সেটি কোনো ভালো বিষয় না। এটা ব্যক্তিগত পর্যায়ের সক্ষমতা হলেও সামগ্রিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এর প্রভাব পড়ে।
জাতীয় সংসদ সদস্যদের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে আইপিইউ থেকে আমরা একটি সেলফ অ্যাসেসমেন্ট টুল ঠিক করেছি। বাংলাদেশসহ সব সংসদকে এটি দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশ সংসদ সে সুযোগটা কাজে লাগাবে।
আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গণতন্ত্রের যে ডায়নামিকস, সেখানে একজন সারা জীবন সংসদ সদস্য থাকবেন না। দেখা যায়, প্রতিবারই ৩০-৪০ জন নতুন সংসদ সদস্য আসছেন। তাদের আবার নতুন করে সবকিছু বোঝাতে হয়। এটি একটি চলমান কাজ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা দেখছি যে, আগামী নির্বাচনে ৩৫ বছরের কম বয়সী প্রার্থী থাকবে প্রায় ৭০ শতাংশ। অনেক তরুণ সংসদ সদস্যও আসবেন। শুধু এলে হবে না, তাদের টিকে থাকতে হবে।
বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে সেটি কি বৃহত্তর গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক হবে?
আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপি যেন অজুহাত দেয়ার সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব আছে। নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনে আরো ক্ষমতা দিতে হবে। যতটুকু সম্ভব লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে। তারপর মানুষ যাকে ভোট দেবে, সে নির্বাচিত হয়ে আসবে। তবে বিষয়টি তো দুদিক থেকে হতে হবে। সরকারকে কিছু জায়গায় বিএনপির মতামত আমলে নিতে হবে। আবার বিএনপিকেও বুঝতে হবে, ওরা যা চাইবে সরকার তা-ই দিয়ে দেবে, তা না করলে নির্বাচন বর্জন করবে, সেটা কিন্তু স্বাস্থ্যকর কোনো মানসিকতা না। আমরা যদি নির্বাচনে মানুষকে পছন্দ করার সুযোগ বাড়িয়ে দিতে পারি, তাহলে সেটি আওয়ামী লীগ, বিএনপি তথা সারা দেশের সবার জন্যই ভালো হবে।
উত্তরের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আপনার নাম আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনি কী ভাবছেন?
আপনার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলব, এখন আমি আমার নির্বাচনী এলাকা নিয়ে ভাবছি। সেটি আমার কমিটমেন্টের প্রথম জায়গা। প্রায় ২১ বছর ধরে তারা আমার সঙ্গে আছে। সুতরাং প্রথমে আমি যেটা বলব, আমার প্রায়োরিটি হচ্ছে সে জায়গা। তারা আমার প্রতি যেভাবে লয়্যাল ছিল এবং আছে, সেটির মূল্য আমার কাছে অনেক বড়। সুতরাং ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা সুযোগ এলে আমি অন্য কিছু ভাবব। নীতিগতভাবে আমি এটার পক্ষে না। এটা হচ্ছে আমার মূল পজিশন। কারণ যারা আমার সঙ্গে ছিল, আমাকেও তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। বর্তমানে আমার মেয়াদ আছে আরো এক বছর। এ সময়টা আমি পুরোপুরি তাদেরই দিতে চাই। আমি এমন কোনো পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে চাইব না, যাতে আমাকে তাদের ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। এখন পর্যন্ত আমার যেটা আছে, সেখানে আমি কোনো পরিবর্তন দেখছি না। (বণিক বার্তা)
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ