রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo

ধানের দাম ওঠানামায় কৃষকের লাভ-লোকসান

ধানের দাম ওঠানামায় কৃষকের লাভ-লোকসান

কিউ আর ইসলাম, ৩০ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : কৃষকদের বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, তোলার পরে ফসল কী দামে বিক্রি হবে। আর ধান আবাদি কৃষকদের সমস্যা হলো, তোলা শুরু হলে এ ফসলের দাম পড়ে যায়। অন্যান্য পণ্য বাজারজাতে এ ধরনের ঝুঁকি সাধারণত কম থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বাড়লে বাংলাদেশে ধান আবাদি কৃষকরা এর সুবিধা পান না। অন্যদিকে স্থানীয় বাজারে বেশি দামে চাল কিনে ভোক্তাদের খেসারত দিতে হয়। আবার চালের মূল্য কমে গেলে ভোক্তারা এর সুবিধা পায় না, আর ধান আবাদি কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। উল্লেখ্য, চালের আন্তর্জাতিক বাজারদর ২০১৬ সালের প্রথম দিকে বৃদ্ধি পায়। ওই বছর মার্চে ঢাকা শহরে প্রতি কেজি মোটা চাল ৩০ টাকার নিচে বিক্রি হতে থাকে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারদর পড়ে গেলেও পরবর্তী বছর একই সময়ে ঢাকায় কেজিপ্রতি ৩০ টাকার উপরে থাকে। একইভাবে মাঝারি ও সরু চালের দামও তুলনামূলক বেশি থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত কৃষক ও ভোক্তারাই ধান ও চালের অভ্যন্তরীণ মূল্য নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালের অভ্যন্তরীণ মূল্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। যেমন— জাপান ও কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারদর থেকে এ মূল্য কয়েক গুণ বেশি। মাথাপিছু উচ্চ জিডিপি এবং আমদানি ও স্থানীয় চাহিদার অনুপাত বৃদ্ধির সঙ্গে চালের অভ্যন্তরীণ মূল্যের সম্পর্ক থাকে। অনেক দেশে আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা থেকে জাতীয় চালের বাজার প্রভাবমুক্ত রাখতে সরকার হস্তক্ষেপ করে। যেমন— বিশ্ববাজারদর হ্রাস বা বৃদ্ধিতেও অভ্যন্তরীণ চালের মূল্য স্থিতিশীল থাকে। মানুষের পুষ্টি সরবরাহ ও খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ধান-চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হস্তক্ষেপ করে। অনেক দেশে চাল সরবরাহে বেসরকারি খাত মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে প্রক্রিয়াজাতের পর বাজারে চাল সরবরাহ করে। বেসরকারি খাতে চাল রফতানিও করা হয়। যেমন— ভিয়েতনামে ভিনাফুড ধান ক্রয়ে ব্যাপকভাবে জড়িত এবং চাল রফতানি নিয়ন্ত্রণ করে।

সামাজিক কল্যাণ, দরিদ্রতা ও খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ধান-চালের মূল্যের গুরুত্ব উপলব্ধির জন্য নিট বা নিরঙ্কুশ ধানচাষী এবং এ খাদ্যশস্যের নিট ভোক্তা বা ক্রেতার মধ্যে পার্থক্য পর্যালোচনা করা যেতে পারে। নিট ধানচাষী ধান বা চাল ক্রয়ের তুলনায় বেশি বিক্রি করেন। অন্যদিকে নিট ভোক্তার ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ বিপরীত। চালের মূল্য বৃদ্ধি পেলে সাধারণত নিট ভোক্তারা দুশ্চিন্তায় পড়েন আর নিট ধানচাষীরা লাভবান হন। কোনো খানা বা পরিবার নিট ধানচাষী নাকি চালের নিট ভোক্তা, সেটা নির্ভর করে বাজারদরের ওপর। মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তারা চাল ক্রয়ে সংকটে পড়তে পারে, অন্যদিকে কৃষকরা বেশি উত্পাদনে উত্সাহিত হন। মূল্য কম হলে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চালের অধিক মূল্যে দরিদ্র নিট ভোক্তারা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। কারণ তাদের আয়ের বড় একটা অংশ চাল ক্রয় বাবদ ব্যয় করতে হয়। আমাদের দেশে চালসহ দানাজাতীয় খাদ্যগ্রহণ হার কমছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের ভিত্তিতে ভাত থেকে মাথাপিছু ক্যালরি বা খাদ্যশক্তি প্রাপ্তি কমে গেছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে গড়পড়তা মাথাপিছু প্রতিদিন গ্রামে ৪৮২ গ্রাম এবং শহরে ৪১৬ গ্রাম চালের ভাত খাওয়া হতো। এ খাদ্যগ্রহণ গত দশকে গ্রামে ৮ শতাংশের ওপর এবং শহরে ১৭ শতাংশের ওপর কমে যায়। এভাবে গত ২৫ বছরে গ্রাম ও শহরে ভাত খাওয়ার পরিমাণ যথাক্রমে এক-পঞ্চমাংশ ও এক-চতুর্থাংশের কাছাকাছি কমে গড়ে মাথাপিছু প্রতিদিন গ্রামে ৩৮৬ ও শহরে ৩১৭ গ্রামে চলে এসেছে। অদরিদ্র ও দরিদ্রদের মধ্যে চলতি দশকে মাথাপিছু প্রতিদিন যথাক্রমে ৫৫ ও ৩৭ গ্রাম কমেছে। বাংলাদেশে দারিদ্র্য হারও কমে গেছে। সরকারের নিয়মিত প্রকাশনা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে দরিদ্র সংখ্যা মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের কাছাকাছি থেকে এক-চতুর্থাংশের নিচে চলে এসেছে। একই সময়ে মানুষের আয় ও ব্যয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। গ্রামে ভোগ্যব্যয় হারও শহরের তুলনায় বেশি বেড়েছে। খানাপ্রতি ভোগ্যব্যয় ২০০০ সালে গ্রামে ৪ হাজার টাকার কাছাকাছি থেকে গত বছর প্রায় ১৪ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। একই সময়ে শহরে ৭ হাজার টাকার ওপর থেকে সাড়ে ১৯ হাজারের কাছাকাছি এসেছে। মাথাপিছু আয় ও ভোগ্যব্যয় বৃদ্ধি, নিম্নমুখী চালের চাহিদা ও দারিদ্র্য হার হ্রাস বিদেশ থেকে চাল রফতানি বন্ধ করে কৃষকদের যথাযথ মূল্যে ধান বিক্রয়ে সহায়তা প্রদানে গুরুত্ব দেয়ার সুযোগ তৈরি করেছে। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে দরিদ্রদের ক্রয়ক্ষমতাসাপেক্ষে সহনীয় দামে চাল সরবরাহের বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে। একসময় এ দেশে প্রায় সবার জন্য রেশন ব্যবস্থার আওতায় কম দামে চালসহ অন্যান্য খাদ্য ক্রয়ের সুযোগ ছিল।

দেশে মোট খানা বা পরিবারের সংখ্যা তিন কোটির ওপর। এর প্রায় অর্ধেক কৃষি পরিবার। প্রতি বছর আউশ, আমন ও বোরো— এ তিন মৌসুমে সাকল্যে আবাদি জমির পরিমাণ পৌনে চার কোটি একরের ওপর। এর তিন-চতুর্থাংশে কৃষকরা ধান উত্পাদন করেন। ফলে দেশের বেশির ভাগ কৃষকই ধান আবাদে জড়িত। এসব কৃষক পরিবার ধান আবাদ থেকে উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে কৃষকরা ধানের ফলন বৃদ্ধিতে সর্বতোভাবে সচেষ্ট থাকেন। পারিবারিক পুঁজি ও শ্রম বিনিয়োগে আগ্রহী হন। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে আসেন। উল্লেখ্য, বোরো মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ধানের ফলন বহুল উত্পাদিত উফশী জাতের থেকে গড়পড়তা ৫০০ কেজি বা ২০ শতাংশের বেশি হয়। অধিক সেচ, সার ও পরিচর্যার জন্য এর উত্পাদন খরচও বেশি। তুলনামূলকভাবে লাভজনক হওয়ায় গত দশকের শেষ দিকে বোরো মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ ২০ লাখ একরের ওপর পৌঁছে যায়। দেশের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কৃষি পরিবার বোরো মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদে নিয়োজিত হয়ে পড়ে। এ হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদি এলাকা কমে ২০১৩ সালে ১৫ লাখ একরের কাছাকাছি চলে আসে। এর পরের বছর বৃদ্ধি পেলেও গত বছরও ১৭ লাখ একরের নিচে থেকে যায়। উত্পাদন ব্যয় বেশি এবং বিক্রয়মূল্য আশাব্যঞ্জক না হওয়ায় এ ধান আবাদ করে কৃষকরা হয়তোবা আর পোষাতে পারছেন না।

ধানের দাম বাড়লে কৃষি পরিবারের উপার্জন বেশি হয়। এতে এক একরের নিচে আবাদি জমির স্বত্বাধিকারী কৃষি পরিবারগুলো অধিকতর উপকৃত হয়। ক্ষুদ্র কৃষক পরিবার হিসেবে উল্লিখিত এদের সংখ্যা মোট কৃষি পরিবারের অর্ধেক বা ৭৫ লাখের ওপর। ধানের মূল্য ১ টাকার পরিবর্তনে ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারের উপার্জন ৫ শতাংশের কমবেশি হতে পারে। উল্লেখ্য, মোট ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারগুলোর অর্ধেকেরও বেশি পরিবার পিছু পাঁচ শতক থেকে আধা একর বা ৫০ শতকেরও কম জমির মালিক। ধানের মূল্যবৃদ্ধি ও উদ্বৃত্ত ধান উত্পাদনে অধিক জমির মালিক বড় কৃষক পরিবারের উপার্জন বর্ধিত হয়। এতে এদের অকৃষি ভোগ্যব্যয় বৃদ্ধি পায়। গ্রামের শ্রমিকদের অধিকতর কর্মসংস্থান ও মজুরি প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি হয় যদি আমদানির পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ উত্পাদন থেকে বাড়তি চাহিদা পূরণ হয়। উল্লেখ্য, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নিম্ন আয় শ্রেণীর এবং এদের ভোগ্যব্যয়ের পরিমাণ হলো সব খানা বা পারিবারিক ভোগ্যব্যয়ের ৩০ শতাংশ। উচ্চ আয় শ্রেণীর ভোগ্যব্যয়ের পরিমাণ হলো, সব খানা ভোগ্যব্যয়ের ৭০ শতাংশ। ধানের মূল্যবৃদ্ধিতে নিজ শ্রম বিনিয়োগে এ ফসল আবাদি কৃষকরা লাভবান হন। শ্রমিকবাজারেও ধানের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেখা যায়। গ্রামে কৃষি শ্রমিকের চাহিদা ও মজুরি বৃদ্ধি পায়। শ্রমিক পরিবারের উপার্জন বর্ধিত হয়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বিশ্লেষণে ২০১০ ও ২০১৬ সালের মধ্যে ধানের গড় মূল্যবৃদ্ধি হারের তুলনায় গড় শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির হার বেশি দেখা যায়। একই সময়ে গ্রামে সার্বিক আয় বেড়েছে শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির হারের তুলনায় কম।

কৃষকদের স্বার্থে ধানের যথাযথ মূল্য নিশ্চিত করা এবং দরিদ্রদের স্বার্থে ভর্তুকি দিয়ে চাল সরবরাহ প্রশাসনিক এবং রাজস্ব ব্যয়ের দিক থেকে সরকারের পক্ষে কঠিন হতে পারে। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদে ধানের মূল্য নির্ধারণ করা অর্থনৈতিক দিক থেকে যুক্তিসঙ্গত নাও হতে পারে। আবার বৃহত্তর পরিমাণে গুদামজাত করে প্রয়োজন মতো সরবরাহ করাও ব্যয়বহুল। বিশেষ করে পরিবহন খরচ বাবদ। এছাড়া দীর্ঘ সময় গুদামজাতের ফলে ধান ও চালের মান বিনষ্ট হতে পারে। এগুলো বিবেচনাসাপেক্ষে এবং ২০০৮ সালে বিশ্ব চাল সংকটের অভিজ্ঞতা থেকে দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে ধান উত্পাদনের জন্য কৃষি গবেষণা ও অবকাঠামো নির্মাণে অধিকতর বিনিয়োগ এবং ধানের যথাযথ মূল্য নিশ্চিত ও স্থিতিশীল করার গুরুত্ব পর্যালোচনা করা যেতে পারে। এটাই তুলনামূলকভাবে ব্যয়সাশ্রয়ী হতে পারে। অর্থনীতি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে যদিওবা স্থিতিশীল মূল্য এবং অর্থনীতিতে ধান-চালের গুরুত্ব কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তার পরও কৃষকরা হয়তো লাভবান হতে পারেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নে পল্লী এলাকায় বড় রকমের পরিবর্তন শুরু হয়েছে। গ্রামের যুবকরা চাকরির সন্ধানে শহরে ও বিদেশে যাচ্ছেন এবং উপার্জিত অর্থ গ্রামেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এতে ধান আবাদি এলাকায় শ্রমিকের ঘাটতির সঙ্গে মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জমি চাষ এবং ধান বপন, রোপণ, কর্তন ও মাড়াইয়ে যান্ত্রিকীকরণ শুরু হয়েছে। আগাছা পরিষ্কারে কৃষকরা নিড়ানির পরিবর্তে হার্বিসাইড ব্যবহার করছেন। চারা রোপণ না করে সরাসরি বীজ বপনে আগ্রহ বাড়ছে। গ্রামের অর্থনীতিতে নারীদের ভূমিকা বাড়ছে। ধানের যথাযথ মূল্যপ্রাপ্তি গ্রামের অর্থনীতিকে জোরদার করে তুলতে সহায়ক হবে।

বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের খাদ্যশক্তির প্রধান উত্স ভাত। বছরে উত্পাদিত মোটামুটি ৭১ কোটি টন ধান থেকে ৪৮ কোটি টন চাল আসে। এ চালের বেশির ভাগ আবাদি দেশের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন হয়। একটা অংশ বিশ্ববাজারে কেনাবেচা হয়। বিশ্ববাজারে চাল রফতানিকারক দেশগুলোর তুলনায় আমদানিকারক দেশের সংখ্যা বেশি। বিশ্ব চালের বাজারে কেনাবেচার পরিমাণ ষাটের দশকে এক কোটি টনের নিচে থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে চার কোটি টনের কাছাকাছি পৌঁছেছে। অনেক দেশ আমদানি বৃদ্ধি করেছে। শুধু চীন ও নাইজেরিয়া বিশ্ববাজারে মোট বিক্রীত চালের যথাক্রমে ১১ ও ৯ শতাংশ ক্রয় করে থাকে। বিশ্ববাজারে চালের দাম ২০০৮ সালের সংকটের পর দ্বিগুণ হয়ে যায়। যদিওবা পরবর্তীতে কমে যায়। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান ও আমেরিকা বিশ্ববাজারে মোট চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ চাল সরবরাহ করে। এ দেশগুলোর যেকোনো একটিতে উত্পাদনে ঘাটতি হলে বিশ্ববাজারে চালের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। আমদানিকারক দেশে উত্পাদন কমে গেলে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ ঊর্ধ্বগতিতে দেশের কৃষকরা মোটেও লাভবান হন না। অন্যদিকে সাধারণ চাল ক্রেতারা সংকটে পড়ে। ধানের মূল্য অনিশ্চিত এবং উত্পাদন অলাভজনক হলে আবাদি জমির মালিকরা উদ্বৃত্ত উত্পাদন থেকে বিরত থেকে শুধু পারিবারিক চাহিদা পূরণে ঝুঁকে পড়তে পারেন। ধান উত্পাদন বৃদ্ধি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমদানির পরিবর্তে উদ্বৃত্ত চাল বিশ্ববাজারে সরবরাহের মাধ্যমে কৃষকদের অধিকতর উপার্জনে সহায়তার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। (বণিক বার্তা)

লেখক : উন্নয়ন গবেষক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত