![বাংলা একাডেমিতে কবি মারুফুল ইসলামের ‘কাব্যগ্রন্থ’র প্রকাশনা উৎসব](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/03/kobita-abnews_118484.jpg)
ঢাকা, ০৩ জানুয়ারি, এবিনিউজ : কবি মারুফুল ইসলাম স্বাতন্ত্র্যে সমুজ্জ্বল। তাঁর কবিতায় বাংলাদেশের প্রকৃতি, মানুষের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য চিন্তাভাবনা, বোধ অনুভূতি, প্রেম-বিরহ, প্রতিদিনের ছবি, মানুষে মানুষে সম্পর্ক-এইসব বিষয় মূর্ত হয় ঠিকই, কিন্তু তিনি এইসব প্রকাশে নিজস্ব একটি পথ অনুসন্ধান করছেন, তাঁর একান্ত স্বাক্ষরটি কবিতায় বসিয়ে দিতে চাচ্ছেন, যা তাঁকে অন্য কবি থেকে আলাদা করবে নিঃসন্দেহে।
২০১৬ সালে যখন তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁইজি’ বের হয়, তখনই কবিতাপ্রেমিকরা উপলব্ধি করে যে, বাংলা কবিতায় তিনি একটি নতুন পথ খুঁজে পেয়েছেন। ওই কাব্যগ্রন্থে তিনি লালনের বাউল-ভাবনাকে আধুনিক চিন্তা, যুগচেতনা, মনস্তত্ত্ব এবং দেহতত্ত্বের আলোতে সাজিয়েছেন। এর ফলে কবিতাগুলোতে লোকদর্শনের সঙ্গে নাগরিক দর্শনের একটি সমন্বয় ঘটেছে, এবং কবিতাগুলো একইসঙ্গে মানুষের ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমানের একটি সংযোগ ঘটিয়েছে।
মারুফুল ইসলামের ছন্দের হাত ভালো। তাঁর সাস্প্রতিক কাব্যগ্রন্থ ‘নতুন করে পাব বলে’-তে ছন্দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চলনের নিশ্চিতি, মেজাজের বলিষ্ঠ প্রকাশ। সাঁইজির পেছনে ছিলেন লালন, ‘নতুন করে পাব বলে’-এর পেছনে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলির বিষয়বৈচিত্র্য ব্যাপক। বেশির ভাগ কবিতা লিরিকধর্মী। ‘নতুন করে পাব বলে’-এর প্রতিটি কবিতায় একটি পঙ্ক্তি ঠাকুরের; কবিতাটি অনুপ্রাণিত সেই পঙ্ক্তির ভাব ও দ্যোতনায়; এই পঙ্ক্তির অনুরণন কবির মনে। তাঁর কবিতায়। বলা যায়, বাংলা কবিতার অভিযাত্রায় এ এক অজানা অভিঘাত, নয়া অভিজ্ঞতা।
আজ ৩ জানুয়ারি, ২০১৮, বুধবার, বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল মারুফুল ইসলামের নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘নতুন করে পাব বলে’-এর প্রকাশনা উৎসব। এতে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনা করেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ও কবি তুষার দাশ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পাক্ষিক অন্যদিন-এর সম্পাদক এবং অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম।
এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর