বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

আফসোস-আমি লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নিয়েছি

আফসোস-আমি লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নিয়েছি

ফজলুল হক, ২২ জানুয়ারি, এবিনিউজ : আমি কখন কিভাবে লেখালেখি শুরু করেছি, শুরুর ঘটনা আমি একেবারে ভুলে গিয়েছি তা নয়। সুন্দর কল্যাণ ও মানবতা এগুলি খুঁজেছি, খুঁজলে সব পাওয়া যায় না। আধ্যাত্মবোধ– সংগোপনে আমাকে অনুসরণ করছে– বুঝতে পারতাম। এটি মানুষের অন্তর্গত বিষয়। আধুনিক মানুষ একে পাশ কাটাতে চায় কিনা, আমি জানিনা। হয়ত ভাবতে পারে যে এটি মানুষের চর্চার বিষয় নয়। এই পৃথিবী– অশান্ত। দেখতেই পাচ্ছেন। ফ্রাস্ট্রেশন, ডিপ্রেশন থেকে দূরে থাকা কঠিন। এটা বস্তুবাদী সমাজ। আরো সুন্দর নামে একে ডাকি– ‘কনজ্যুমার সোসাইটি’ বা পণ্য ভিত্তিক সমাজ। শান্তি একান্ত প্রয়োজন। ভোগ ও প্রাপ্তি– শেষ কথা বলে আপাতত মনে হলেও এটা জটিল একটি বিষয়। ভোগ– শূন্যতার সৃষ্টি করে। ভোগ– ভোগের আকাঙক্ষা বাড়ায়। ভোগ– মানুষকে তৃপ্ত করতে পারে না। ভোগ এবং প্রাপ্তির ভেতরে অসামঞ্জস্য অনেক। পৃথিবী রহস্যে ঘেরা। পৃথিবীর ভেতরে লুকানো হাহাকার এবং শূন্যতা– টের পেতে দেরী হয়না। যারা খারাপ কাজ করে আল্লাহ তাদের জন্য কেবল পরকালে জাহান্নাম বানিয়ে রেখেছেন, এটা ভেবে একে দুরবর্তী ব্যাপার বলে, কেউ ইতস্তত ভাব মনে আনতে পারেন, কিন্তু এখানে, এই পৃথিবীতে ফাঁদ পাতা আছে। শূন্যতা ও হাহাকার আপনাকে পেয়ে বসলে বুঝতে পারবেন। পৃথিবীর ভেতরে লুকানো হাহাকার, রূপান্তরের খেলা আমাকে শৈশব থেকেই আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলেছে। লেখক হওয়ার চিন্তা এভাবে মাথায় আসে। আমার বেলায় লেখক হওয়া আকস্মিক ঘটনা নয়। আমি লেখক নই– একথা বলে কেউ আমাকে নাকচ করেনি, কেউ স্বীকৃতিও দেয়নি। রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানের মতো। আমি লেখক নই, আবার আমি একজন লেখকও বটে। আমি লেখালেখি করি, এটা আমার মনেই থাকেনা। আমার কোন উচ্চাকাঙক্ষা নাই। চিরস্মরণীয় হবো এমন চিন্তা কখনো আমার মাথায় আসেনি। অধিকাংশ সময় আমি ভুলে থাকি– যে গত পরশু আমি একটা উপসম্পাদকীয় প্রবন্ধ রচনা করেছি। প্রতি সপ্তাহে দু’তিনটা প্রবন্ধ লিখি। গতকাল সেটি প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকায়। এটিও আমার মাথায় থাকে না যে, অনেক পাঠক আমাকে ফোন করে। অনেক স্বতঃস্ফুর্ত হয়ে ফেসবুকে আমার লেখা আপলোড করে। যখন মনে থাকে না– তখন আমি নিজেকে ‘অ– লেখক’ ভাবি। ‘অ–লেখক’ তো বটেই। কবিত্ব, লেখকত্ব মানে স্বাধীনতা, স্পষ্টবাদিতা। লেখা মানে– স্পৃহা। যে চেতনা আমাকে কণ্ঠস্বর দেয়, দেয় স্বাধীনতার চেতনা। বিদ্রোহে মানুষ একাত্ম হয়। পুরাতন ধ্যান ধারণা ভেঙে ফেলে। মানুষের স্বাধীনতার চেতনাকে সমাজের একটা অংশ ধ্বংস করতে চায়। লেখক সব সময় সমাজের সে অংশের বিপক্ষে। যখন একজন মানুষের স্বাধীনতার ও মুক্তির চেতনা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, সে মানুষটির লেখক সত্তা মরে যায়। আমার লেখক সত্তাও মরে যায়। দৈনন্দিন মরে। আমি ডাস্টবিন হয়ে যাই। আমার বাগানে জমে আগাছা। আমি ভাগাড়। আমার হৃদয়ে অন্তহীন শূন্যতা।

আমি আবার আমার নিজ শক্তিতে জেগে উঠি। বিষন্নতা ঝেড়ে ফেলি। উঠে দাঁড়াই। আমার ভেতরে জেঁকে বসে এক অজানা শক্তি। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাশ, লতা মুঙ্গেশকর, মোহাম্মদ রফি, মার্ক টোয়েন, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে। শক্তি যোগায়। কাগজ কলম হাতে নিই। কী– বোর্ড চাপি। এত এত উপসম্পাদকীয় কি করে এসে ধরা দিল জানি না। লিখছি। সময়টা মন্দ লাগছে না। প্রকৃতি উৎসাহ যোগাচ্ছে। আমার অন্য কোন লিঞ্ঝা নাই। আমার জীবনের বৈচিত্রময় তরঙ্গগুলো আমি ধরতে চাই। ভোরে– প্রভাতের আলো নামে, আমি স্বপ্ন দেখেই চলি। যেন একটা মানসিক অভিযানে নেমেছি। এটা হতে পারে– আবেগ। আমার লেখায় রূপক আছে, আছে চিত্রকল্প। পত্রিকা অফিস থেকে টেলিফোন পাই। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে, বলে– একসেপ্ট করুন। উনার পেপারে লিখতে বলে। অনেক অনলাইন পত্রিকা, সাময়িকী লিখতে বলে। লিখতে চাই না। মনের উপর জোর খাটাই না। যেটা মন থেকে আসে সেটাই লেখা। আমার সাহস কম। উল্টো করে বলি, আমি ভীষণ ভীষণ ভীতু। কেউ মদ খেয়ে রাস্তায় মাতলামি করলে, চোখের সামনে কাউকে ধর্ষিতা হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে– দেখলে, ভয়ে জড়সড় হই, চুপ থাকি। পাশের বাড়ির নারীর চিৎকার শুনে দরজা জানালা বন্ধ করি, ভীতুতো– আসলে আমার করা উচিৎ ছিল ধর্ষকের হাত ভেঙে দেয়া, পাশের বাড়ির দেয়াল ভেঙে নারীর চিৎকার থামাতে সরব হওয়া, কেউ রাস্তায় মদ খেলে, বা ইয়াবা বেঁচে রাতারাতি কোটিপতি হলে– তার টুটি চেপে ধরে তাকে উঁচু তাল গাছে ঝুলিয়ে দেয়া। লেখা সাহস থেকে আসে। ভীতু লেখক– লেখক নন। যে যুবক এক বীরঙ্গনাকে ধুলোবালি থেকে তুলে দাঁড় করিয়েছে সৌধ বেদীতে, রাজপথে যে যুবক একুশ আগস্টের ঘাতককে তাড়া করে, পিছু নিয়ে দৌঁড়েছে মাইলের পর মাইল, যে যুবক ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে গলা ফাটিয়ে ফেলেছে, আকাশ আর সমুদ্রের মাঝখানে তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না– বলে, আমি তাকে ভুলে গেছি, অনেক দিন হয়ে গেলো ওর কোন পাত্তা টাত্তা নাই। কবে যেন তাকে শেষ দেখেছিলাম? দাঁড়াও ভেবে দেখি। মনে করতে পারছিনা। বাদ দাও ওসব কথা। কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা হবে। আকাশ আর সমুদ্রের ব্যবধান দুর হয়ে যাবে। আরেক নতুন যুবকের সাথে দেখা হবে। তার আলো মাখা মুখ নতুন বার্তা দেবে। নেতিবাচক(?) ভাবনা সমূহ সে মুছে দেবে। সে আমার হাইব্রিড ভাই। সে বলবে আগের সব নেতিবাচক (?) ছিল। আমি ভুলে যাব, পঁচাত্তরের নির্মম ঘটনা। আমার লেখক স্বত্বা ভীত মানুষের মতো জড়সড় জবুথবু হয়ে থাকুক– আমি তা চাই না। লেখা মানে স্বাধীনতা, লেখক– মুক্তির চেতনা। লেখা যতদিন আছে– আমার হাতে অস্ত্র সমুন্নত থাকবে। কলম– কম অস্ত্র নয়। কলম দিয়ে মানুষ হত্যা করা যায়না। শোষকের কবর খোঁড়া যায়। হাইব্রিড ট্রিড– কলমের কাছে কিছু না। লেখকের যুদ্ধ ফেক্‌– প্রগতিশীলের বিরুদ্ধে। লেখক ও বিপ্লব– হাত ধরা ধরি করে পাশাপাশি হাঁটে। ত্যাগী রাজনৈতিক কর্মী আর রাজনৈতিক হাইব্রিড আগাছাকে আমরা এক করতে পারি না।

লেখক এবং তার লেখা প্রকাশের ব্যাপারে দুতিন দিন আগে সুন্দর একটা আর্টিকেল পড়েছি, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায়, ওয়াসি আহমদের লেখাটি আমি বার বার পড়েছি। আমরা লেখকরা মাগনা লিখি। আমাদের লেখার কোন আর্থিক মূল্য নাই। সশ্রম কারণদণ্ড ভোগীর মতো– লেখক লিখে যান। আর পত্রিকাওয়ালা এবং প্রকাশক তা ছেপে যান। ওয়াসি আহমদের ভাষায় স্রেফ ‘চুমকুড়ির’ বিনিময়ে, লেখক তার শ্রম সার্থক করবেন। মাগনা লেখার বিনিময়ে পাওয়া যায় উষ্ণ উষ্ণ ভাব, লেখক আমি– আহা এই প্রীতি। অনেকে বলেন, আমাদের যুবক, তরুণরা বই পড়ে না। পড়ে না– একথা ঠিক। ইয়াবা খাইতে মানা করি– লুকিয়ে খায়। পুলিশের ভয়, তবুও খায়। ড্রাগ নিতে মানা করি– নেয়। মারলেও নেয়। পর্নো দেখতে মানা করি, মানা শোনেনা– দেখে। বই পড়তে বলি। আমাদের প্রিয় সহকর্মী আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সাহেব আন্দোলন গড়ে তুললেন। বই পড়া আন্দোলন। বই পড়া ভাল কাজ শোনে না। আরে ভাই অনেক বয়স্ক লোকও পড়ে না। মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এক রাজনীতিবিদ, আমার ঘনিষ্ঠজন, সম্প্রতি আমার লেখা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ‘ফজলুল হক ভাই, আপনার লেখায় কান্না, আপনি শুধু কাঁদেন।’ আমার ধারণা, মহিউদ্দিন ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমার যে লেখা বের হয়েছে, তিনি কেবল আমার সে লেখাগুলোই পাঠ করেছেন। আমি দীর্ঘ দিন ধরে লিখছি। তিনি আমার সঠিক মুল্যায়ন করতে পারতেন। খণ্ডিত মুল্যায়ন করলেন, কারণ তিনি পড়েন না। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ যতই ‘বই পড়া’ আন্দোলন করুন, বাস্তবে ছেলে বুড়ো, কেউ বই পড়ে না। কিন্তু হুমায়ূন আহমদের বই পড়ে। ‘মাসুদ রানা’ গোয়েন্দা সিরিজের বই বা ‘জিরো জিরো সেভেন’– থ্রিলার বই পড়ে। কল্পকাহিনী পড়ে। বই কেন পড়ে না? কারণ, আমরা লেখকরা ভাল বই দিতে পারি না। কেন দিতে পারি না? বই লিখে আমরা প্রকাশকের কাছ থেকে কিছু পাই না। মাগনা লিখি। অনেকে বিনা সম্মানীতে পত্রিকায় লিখেন, নিজের টাকা প্রকাশককে দিয়ে বই ছাপেন। একজন মন্তব্য করেছেন, বিনা সম্মানীতে যারা লিখে থাকেন, তারা নিজেদের আত্মমর্যাদা বোধ বিসর্জন দেন না, উপরন্তু বেগার খাটার অনুকূলে এক ধরনের শ্রেণি পক্ষপাত তৈরি করেন। এটা কাঙিক্ষত নয়। প্রকাশনা কোন সৌখিন কাজ নয়। প্রকাশক সাহিত্য সংস্কৃতির সেবক নন। উৎপাদনের সব উপাদান এখানে বর্তমান। এটা একটা ব্যবসা। এর কাঁচামাল মুফতে আকাশ থেকে আসবে না। ওয়াসি আহমদ অনেক ভেবে চিন্তে এই প্রবন্ধ লিখেছেন। অনেক লেখক, প্রকাশকের সাথে চুক্তি নামায় সই সাবুদ করেও প্রাপ্য রয়ালটি পান না। পেলেও ঠিকমত পান না। তবে ব্যতিক্রম আছে, হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন। আসলে প্রকাশকই ভরসা, বই বের করবে কে? প্রকাশকের যুক্তি এ রকম হতে পারে, আমি কি লেখককে জোর করে তার লেখা ছাপতে নিয়েছি? ভাল বই পাওয়া যায় না বলে পাঠক বই পাঠে অনাগ্রহী। সম্মানী পাওয়া যায় না বলে, ভাল লেখক লিখতে অনাগ্রহী।

অর্নেস্ট হেমিংওয়েকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিছু লেখক মাগনা লেখা পাঠায়। মাগনা লেখাকে কিভাবে দেখেন? তিনি বলেছিলেন, লেখক নিজে উদ্যোগী হয়ে সম্মানী, সম্মানী– পারিশ্রমিক ছাড়াই লেখা ছাপতে দিতে পারেন, কিন্তু আপনি যদি সম্পাদক বা প্রকাশক হোন, আর উন্নত মানের লেখা আশা করেন, তাহলে টাকার ব্যাপারটা গোড়াতেই আপনার মাথায় রাখতে হবে। আমি ছোটকালে দেখেছি, হুজুরের কাছে দোয়ার জন্য গেলে টাকা লাগত না, গ্রাম্য ডাক্তার মাগনায় হোমিও ওষুধ দিতেন। এখন দুই হাজার টাকা পকেটে ভরে হোমিও ডাক্তারের চেম্বারে যেতে হয়। ভাল হুজুরকে ২ হাজার টাকা হাদিয়া না দিলে উনি মাথায় ফু দেবেন না। এখন সব ক্ষেত্রেই অর্থের যোগাযোগ বেড়েছে। লেখালেখিটা এখনো মাগনায় চলে। আর আফসোস– আমি সে লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। এখন আর লেখালেখি ভাল লাগে না। এটা সৃজনশীল কাজ নয়। ক্রিয়েটিভ কাজ হলে– এর আর্থিক মূল্য নাই কেন? আমি খুব বেকায়দায় পড়ি, প্রতিদিন অনেকে আমাকে লেখার জন্য ফোন করে। লেখা দেন। লেখা দেন। আমার হাতে তো ‘আশ্চর্য্য প্রদীপ’ নেই? লিখতে সময় লাগবে না? এক লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক বল্লেন, পত্রিকা চলছে না– একটা লেখা দেন। আপনার অনেক পাঠক। আপনার লেখা দেখলে পাঠক আমার ম্যাগাজিন কিনবে। লিটল ম্যাগ– ভাবলাম একটি প্রেমের মিনি গল্প লিখে দিব। অনেক সাময়িকী তো ভাল চলে। তবুও লেখককে পয়সা দেয় না। লিটল ম্যাগের জন্য গল্প বানালাম। সংগ্রহ বলতে পারেন:

গল্প : রাত এখন শেষ অংকে। তোমাকে দেখতে পাচ্ছি। লাল টিপ। লাল শাড়ি। গাঢ় লাল লিপস্টিকে ঠোঁট লাল করেছ। চোখে টানা টানা কাজল। চুলের বাঁধন শাড়ির সাথে অপরূপ দেখাচ্ছে। এ রকম সাঁজে তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম। তবে সে সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারিনি। এখনো পারছি না। তোমার পা দেখতে পাচ্ছি না। পায়েও গাঢ় আলতা মেখেছ? যেটুকু দেখেছি তাতে সুন্দর লাগছে। অনেকক্ষণ তাকিয়ে দেখছি তোমাকে। বুকের মধ্যে মোচড় অনুভব করছি। এত সাজ কেন? কার জন্য এই সাজ? তুমি তো আমার কাছে আসো না? তুমি চলে গেলে। ঘড়ি দেখি। রাত চারটা। কতদিন হল আমি রাতে ঘুমাই না। কোথায় গেলে তোমাকে পাব? (মিনি গল্প, ফজলুল হক)। আমি গল্প টল্প লিখতে পারি না। লিটল ম্যাগ সম্পাদক তা জানে না। সংগ্রহ টংগ্রহ করে গল্প লিখে তাকে দিই। গল্পের শুরুটা আপনারা পড়লেন। সে পড়ে চমৎকৃত হয়। বলে, প্রতি সপ্তাহে একটা মিনি প্রেমের গল্প লিখে দিবেন। আমি বলি, সম্মানী দেবেন না? সে আকাশ থেকে পড়ে। লেখার জন্য সম্মানী দিতে হয়, একথা তো জীবনে শুনিনি? কত লেখক আমার লিটল ম্যাগে লেখার ছাপার জন্য আমাকে টাকা দিতে চায়। লেখক টাকা দিয়ে কি করবে? আমরা প্রকাশক– সম্পাদকরা তো লেখক বানাই।

লেখক : সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ। অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

(সংগৃহীত)

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত