![এইসব সুবচন-বেশি বেশি প্রয়োজন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/23/cuet_122139.jpg)
ফজলুর রহমান, ২৩ জানুয়ারি, এবিনিউজ : ‘‘দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পড়াশোনার সময় বেশি পাইনি। চার দশক সংসদ সদস্য ছিলাম। ২৫ বছর মন্ত্রী ছিলাম। কাজের চাপে পড়ার সময় খুব একটা পাইনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দেখলাম প্রাসাদসম বিশাল ভবন। পরিসংখ্যানবিদদের মতে, ৩৩০ টি কক্ষ বিশিষ্ট এমন ভবন বিশ্বে আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের নেই। রাষ্ট্রপতি হলে কাজ করার সুযোগ নেই। কাজ তো করেন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সাংসদরা। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে পরামর্শ চাইবেন। বছরে একবার সাংসদদের ডেকে বক্তৃতা করব। এছাড়া, ভারতে সরকার তৈরি হয় মানুষের ভোটে। দল প্রধানমন্ত্রী ঠিক করেন। রাষ্ট্রপতির কাজ ‘নৈবেদ্যর মন্ডা’র মত বসে থাকা। তবে একটা কাজ আছে রাষ্ট্রপতির। প্রচুর বই রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রচুর কাগজ, দলিল দস্তাবেজ সেখানে। ইতিহাসের প্রচুর উপাদান। যেসব পড়তে তিনটি প্রেসিডেন্সিয়াল টার্ম লাগবে। তো, অতদিন তো সময় পাওয়া যাবে না। তার আগেই ঈশ্বর আমাকে ডেকে নেবে। তাই আমি দেরি না করে পড়তে শুরু করলাম।–রাষ্ট্রপতি ভবনে তার পাঠাভ্যাসের বিষয়ে বলছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। যিনি ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের শুরুতেই বিদেশ সফর হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। তিনি দায়িত্ব শেষের প্রথম সফরটিও তার স্ত্রীর জন্মভূমিতে।
তো এই পড়ালেখার অদম্য বাসনায় কী হলো! আমাদের সাহিত্যিক ও দার্শনিক কাজী মোতাহার হোসেন বলেছেন, ‘জীবন বৃক্ষের শাখায় যে ফুল ফোটে,তাই মনুষ্যত্ব। বৃক্ষের গোড়ায় জল ঢালতে হবে এই ফুলের দিকে লক্ষ্য করে। শুধু শুধু মাটির রস টেনে গাছটা মোটা হয়ে উঠবে, এই ভেবে কোনো মালী গাছের গোড়ায় পানি ঢালে না। সমাজব্যবস্থাকেও ঠিক করতে হবে মানুষকে খাইয়ে–দাইয়ে মোটা করে তোলার জন্য নয়, মানুষের অন্তরের মূল্যবোধ তথা সৌন্দর্য, প্রেম ও আনন্দ সম্পর্কে আনন্দ জাগিয়ে তোলার উদ্দেশে।’
জ্ঞানে ধনী প্রণব মুর্খাজির জীবনে মানুষের অন্তরের মূল্যবোধ তথা সৌন্দর্য, প্রেম ও আনন্দ সম্পর্কে আনন্দ জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যটা বেশ ভালোভাবেই প্রতিফলিত হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার একটি গ্রাম থেকে দেশটির সর্বোচ্চ কার্যালয়– সবখানেই তাঁর সমান বিচরণ। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর ১৩তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখার্জি দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রণব মুখার্জির অতিরিক্ত সেক্রেটারি থমাস ম্যাথিউ বলেছিলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে একটি সক্রিয় রাজনীতিবিদের শক্তি আনায়ন করেছেন এবং এমন কোনো ক্ষেত্র ছিল না যেখানে তার পদচারণা নেই।’ ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলবীর আরোরা এ সম্পর্কে বলেছিলেন, প্রায়ই তিনি মুক্তচিন্তা ও বাকস্বাধীনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করতেন। ক্যাম্পাস সংঘাতের বিরুদ্ধে কথা বলতেন এবং বাকস্বাধীনতা ও বিতর্ককে উৎসাহিত করতে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনের কথা বলতেন। প্রণব তাঁর পূর্বসূরিদের রেখে যাওয়া রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি জাদুঘর চালুর মাধ্যমে বেশি করে সর্বসাধারণের প্রবেশের অধিকার দিয়েছেন।
ঢাকায় পৌঁছার আগে এক টুইট বার্তায় প্রণব মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আজ বাংলাদেশে যাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে এই দেশটিতে আমি প্রথম সফরে গিয়েছিলাম। সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি প্রথম সফর করছি এই দেশটিতেই। এই দেশ ও এই দেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের নিবিড় যোগাযোগ আছে। আমাদের ইতিহাস ও ভূ–প্রকৃতির মতো আমাদের ভাগ্যও পারস্পরিক সম্পর্কিত। চিরকাল আমাদের মৈত্রী অটুট থাকুক।’ এই নান্দনিক টুইট বার্তা থেকে বিদায়কাল অবধি প্রণব মুখার্জির স্বরে ও সুরে ছিল প্রাজ্ঞতা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপমহাদেশে রাজনৈতিক হত্যার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপকদের/গবেষকদের উদ্দেশে প্রণব মুখার্জি বলেন, ‘‘এক সময় এই উপমহাদেশে যেসব নেতৃত্ব ছিল তা নিশ্চিহ্ন করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। এই ভূখন্ডে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর বারবার হিংসাত্মক আক্রমণ কেন? এই রাজনৈতিক অস্থিরতা বা নেতৃত্বকে নষ্ট করার পিছনে কোন সামাজিক অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত কাজ করছে তা এই অঞ্চলের মানুষকে জানতে হবে। আর এই বিষয়টি নিয়ে যথাযথ গবেষণা করা দরকার আপনাদের। স্বাধীনতার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি বড় আঘাত। এ রকম আঘাত আমরা ভারতের স্বাধীনতা লাভের কয়েক মাসের মাথায় পেয়েছিলাম ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে হারানোর মাধ্যমে। একটা নতুন দেশ সবে স্বাধীনতা পেয়েছে। অসংখ্য সমস্যা, দেশ গড়ার সমস্যা, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সমস্যা, দারিদ্র্য দূর করার সমস্যা, বেকারত্ব দূর করার সমস্যা। সেই সমস্যার সঙ্গে সঙ্গেই একটা জাতিকে তার জন্মলগ্নের মুহূর্তেই প্রায় সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হলো। শুধু বাংলাদেশ নয় ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি আততায়ীর গুলিতে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধিকে ঘাতক নৃশংস আক্রমণে হত্যা করে। আমেরিকা স্বাধীনতা লাভের বহুবছর পর আব্রাহাম লিংকন নিহত হয়েছিলেন। তৎকালীন ব্রহ্মদেশে (মিয়ানমার) অংসান সু চি’র পিতা জেনারেল অংসানকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। ১৯৬০ সালে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী প্রেমাদাসা নিহত হন। পাকিস্তানে জিয়াউল হক নিহত হন। জুলফিকার আলী ভুট্টোকে আইন করে ফাঁসি দেওয়া হলো। এই যে বিপুলসংখ্যক রাজনৈতিক হত্যা এর কারণ কী?’’ যেন গবেষণার নতুন রসদ ঢেলে দিলেন, যেন নতুন পটভূমির পথ বাতলে দিলেন ভারতের সাবেক এই বিজ্ঞ রাষ্ট্রপতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কমে আসার প্রবণতা বর্তমানে আশংকাজনক পর্যায়ে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রটি সবচেয়ে বড় মাইনের চাকরির জন্য না ছুটে, উপাচার্যকে এসে বলবে আমি গবেষণা করতে চাই। সরকারের দায়িত্ব একজন গবেষককে উপযুক্ত সম্মানি দেওয়া। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই পরিবেশটা তৈরি করতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের মোটা মাইনের চাকরি দিয়ে পরিবার উপকৃত হতে পারে কিন্তু সার্বিকভাবে দেশ কতটা উপকৃত হচ্ছে সেদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নজর দিতে হবে।’
ভারতের সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এ উপমহাদেশে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক স্তরে, প্রশাসনিক স্তরে আলাপ আলোচনায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবেই। কিন্তু মানুষে মানুষে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভাষার একটা বিশেষ ভূমিকা আছে। সংস্কৃতির একটা বিশেষ ভূমিকা আছে। আমরা এক একটি রাষ্ট্রের অধিবাসী। একেক ভাষায় কথা বলি। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি বড় পরিচয় আমরা মানুষ। আমাদের এক কবি প্রায় ৫০০ বছর আগে বলে গেছেন, ‘শুনো হে মানুষ ভাই, সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই।’ এই যে বিশ্বজনীনতা, আমাকে বাদ দিয়ে বিশ্ব নয়, যত ক্ষুদ্র হই না কেন। সেটাই কিন্তু আমাদের সমাজ, আমাদের রাষ্ট্র, আমাদের সংস্কৃতি ও আমাদের ঐতিহ্যকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।’
রবীন্দ্রনাথ ‘গীতবিতান’–এ আমাদের শিখিয়েছিলেন-‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে–এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।’ ১০০ বছর পর একই রকম সুর বেজেছে বাংলার আরেক বীরের মুখেও। ভারতের সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এ উপমহাদেশে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক স্তরে, প্রশাসনিক স্তরে আলাপ আলোচনায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবেই। কিন্তু মানুষে মানুষে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভাষার একটা বিশেষ ভূমিকা আছে। সংস্কৃতির একটা বিশেষ ভূমিকা আছে। আমরা এক একটি রাষ্ট্রের অধিবাসী। একেক ভাষায় কথা বলি। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি বড় পরিচয় আমরা মানুষ। আমাদের এক কবি প্রায় ৫০০ বছর আগে বলে গেছেন, ‘শুনো হে মানুষ ভাই, সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই।’ এই যে বিশ্বজনীনতা, আমাকে বাদ দিয়ে বিশ্ব নয়, যত ক্ষুদ্র হই না কেন। সেটই কিন্তু আমাদের সমাজ, আমাদের রাষ্ট্র, আমাদের সংস্কৃতি ও আমাদের ঐতিহ্যকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।’
এর আগের দিন ঢাকায় বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে প্রণব মুখার্জি বলেছেন, ‘‘কোনো কারণ ছাড়া একেকটা বড় বড় যুদ্ধে কত মানুষ মারা যাচ্ছে! গত এক দশকে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের কথা ভাবুন– হিংস্রতার শিকার হচ্ছে কত নিরীহ মানুষ! এই হিংস্র পৃথিবীতে মানুষ কী করে বাস করবে? এই হিংস্রতা প্রতিহত করতে জাতিসংঘ বা আন্তঃরাষ্ট্রীয় কোনো সম্মেলন থেকে সমাধান আসবে না। এখন পরিবেশ দূষণের চেয়ে বড় দূষণ রয়েছে মানুষের মনে ও চিন্তায়। এ কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূষণ মানুষেরই সৃষ্টি। হিংস্রতার সেই দূষণ থেকে পৃথিবীকে জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠানও মুক্ত করতে পারবে না। ভয়াবহ এই দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব স্রষ্টাদের। সাহিত্যিক, কবি ও লেখকরাই নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করবেন। যুগ যুগ ধরে মানব সভ্যতার ইতিহাস এ কথা বলে গেছে– হিটলার, মুসোলিনিরা নয়; সভ্যতার ইতিহাস নির্মাণ করে গেছেন প্রফেট, ক্রাইস্ট, বুদ্ধ। দিগ্বিজয়ী বীরেরা নয়; সভ্যতার ইতিহাসের দিক নির্মাণ করেছেন লেখক–কবি–সাহিত্যিক তথা শিল্পীরা। পরীক্ষায় পাসের জন্য দিগ্বিজয়ী বীরদের নিয়ে পড়াশোনা করা যায়; পাসের পর তা বেমালুম ভুলে যাই। কিন্তু শিল্পীর ছবি, কবির কবিতা বা প্রিয় উপন্যাস কখনও ভোলা যায় নাকি? যে গান, সানাই বা সরোদের সুর আমাদের প্রিয়; তা কখনও ভুলতে পারি আমরা?’’
নিজের বক্তব্যের শুরুতেই রসিকতার ঢঙে এ সম্মেলনে তার আগমনের ব্যাখ্যা দিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যখন এ সাহিত্য সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণ পাই, তখন মনে প্রশ্ন এলো–আমি তো লেখক নই, আমি পাঠক। আমি কেন? আমি তো স্রষ্টা নই। আমি তো দর্শক। তাহলে এই সাহিত্য সম্মেলনে আমি কেন? সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ল, যখন একটা বড় বাড়ি তৈরি হয়, তখন অনেক মানুষ কাজ করে। একজন রাজমিস্ত্রি থাকেন। তাঁকে নানা কিছুর জোগান দিতে হয়। সেই হিসেবে বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে আমি একজন জোগালি। সেই জোগালি হিসেবে, পাঠক হিসেবে এ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি।’
প্রণব মুখার্জি বলে যাচ্ছেন, আর তন্ময় হয়ে শুনছে শ্রোতামহল। এই দীর্ঘ শ্রুতিতে কোন ক্লান্তি ছিল না, তৃপ্তি ছিল। নিজেকে সমৃদ্ধ করে নেয়ার তাড়না ছিল। বাংলায় বলার কারণে তা আরো বেশি হৃদয়গ্রাহী হয়। নেলসন ম্যান্ডেলার একটি কথা ছিল, ‘ অন্যভাষাগুলো আসে মাথা থেকে, আর মাতৃভাষা আসে হৃদয় থেকে।’ হৃদয়ের সাথে তাই এখানে হলো হৃদয়ের মিলন। আসলে অতীতের মত এখনও ‘সুবচন’ খুবই প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এখনও মানুষ যে ভাল কথা একেবারে বলে না তা কিন্তু নয়। ভাল কথা এখনও মানুষ শোনে। এমন চিত্র থেকে উপলব্ধি করা যায়, মানুষের সমাজে সুবচনের চাহিদা রয়েছে।
লেখক: সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়), ভাইস চ্যান্সেলর অফিস, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।
(সংগৃহীত)