![বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০১৮ : একান্ত ভাবনা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/04/world-cancer-day_124231.jpg)
ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর চৌধুরী, ০৪ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ: অঞ্জনা ১২ বছরের দূরন্ত কিশোরী। ৯ বছর বয়সে যখন সে দুরারোগ্য জুভেনাইল ডাকটাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, সে প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি এর ভয়াবহতা। নিদারুণ উপলব্ধিতে তার আর্তনাত ছিল, আমি বাঁচতে চাই। সে সৌভাগ্যবতী, সুদূর আমেরিকাতে গিয়ে চিকিৎসার অভাবনীয় সুযোগ পেয়ে এখন সে অনেকটাই সুস্থ জীবনে ফিরেছে।
আরিফ, ২৭ বছরের টগবগে তরুণ স্বাস্থ্যকর্মী। কলোরেক্টাল ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধে ধীরে ধীরে যখন ফুরিয়ে যাচ্ছিল, সে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, আমার কি দোষ? নির্বাক আমি চোখের পানি লুকিয়েছি।
শিউলি নামের অনিন্দ্য সুন্দর মেয়েটি এসেছিল পাকস্থলীর ক্যান্সার নিয়ে। কম বয়সের মেয়েকে অল্প দিনের মধ্যে শুকিয়ে হাড্ডিসার। আমি শেষের দিকে ওর দিকে চাইতে পারতাম না।
অসংখ্য মুখ, অসংখ্য স্মৃতি, কালে অকালে ঝরে যাওয়া অজস্র প্রাণের আকুতি, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের চলমান সংগ্রামকে আরো বেগবান আর অর্থবহ করার সাহস যোগায়। আজ ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যান্সার জয়ের আলোকবর্তিকা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা নিয়ে ফিরে এলো এই দিন। বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের ভয়াবহতা যেমন বাড়ছে, তেমন পালহ্মা দিয়ে বাড়ছে চিকিৎসার সক্ষমতা ও ক্যান্সার জয়ী মানুষের সংখ্যা। উন্নত বিশ্ব্ কে্যান্সার জনিত মৃত্যু হ্রাস পাচ্ছে। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে যেমন নতুন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তেমন বাড়ছে ক্যান্সার জনিত মৃত্যুহার।
২০১২ সালের এক হিসাবে দেখা যায় সারা পৃথিবীতে ১৪ মিলিয়ন মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ক্যান্সারের কারণে মৃত্যু বরণ করেছেন ৮.২ মিলিয়ন মানুষ। নতুন করে আক্রান্তদের ৬০% এর বাস হল এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্য আমেরিকাতে। ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর ৭০% গড়ে এই অঞ্চল সমূহ। ২০১৭ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০ এবং তদুর্ধ বয়সের মানুষের নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে ১৩% এর বিরল ক্যান্সার হয়েছে। ৩১.৫ মিলিয়ন মানুষ সারা বিশ্বে ক্যান্সারের সাথে বসবাস করছে। বিশ্বের প্রধান ৪টি প্রাণঘাতী ক্যান্সার হল: ফুসফুস (১.৮ মিলিয়ন, মোট ক্যান্সারের ১৩%), স্তন (১.৭ মিলিয়ন মোট ক্যান্সারের ১১.৯ %), কলোরেক্টাল (০.৮ মিলিয়ন মোট ক্যান্সারের ৯.১%) এবং পাকস্থলী (০.৭ মিলিয়ন মোট ক্যান্সারের ৮.৮%)।
২০১২ সালের গ্লোবক্যান এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি বছর ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ১৯.৩ মিলিয়নে দাঁড়াবে। ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর হার ৫০% বেড়ে ২০২০ সালের মধ্যে ১৫ মিলিয়নে দাঁড়াবে। স্তন ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী আশংকাজনক ভাবে বেড়ে চলেছে। ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১২ সালের স্তন ক্যান্সার ২০% বেশী মহিলা আক্রান্ত হয়েছে। এ কারণে মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৪% । বিশ্বের ১৮৪ টি দেশের মধ্যে ১৪০ টি দেশে স্তন ক্যান্সার মেয়েদের ক্যান্সারের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। মেয়েদের মোট ক্যান্সারের এক–চতুর্থাংশ হলো স্তন ক্যান্সার। প্রতিবছর ৫ লাখ ২৮ হাজার জন মহিলা নতুন করে সারাবিশ্বে জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত যা আশংকা জনক। আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে এর প্রকোপ বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ৭০ দশকের দিকে গড় আয়ু ছিল ৪৫ এর কাছাকাছি তা বর্তমানে ৭০ ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের জন্মহার ও মৃত্যুহার দুটোই কমেছে, সে সাথে বাড়ছে ক্যান্সার সহ অসংক্রমণ জনিত রোগে মৃত্যুর হার যা মোট মৃত্যুর ৫৯% ঘটাচ্ছে। এর মধ্যে হৃদরোগ ১৭%, ফুসফুস জনিত রোগ ১১%, ক্যান্সার ১০% দুর্ঘটনা জনিত কারণে ৯%, ডায়াবেটিস ৩% ও অন্যান্য কারণে ১০%। এ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের দেশের ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশে দাঁড়াবে, যার অর্থ ক্যান্সার সহ অসংক্রমণ জনিত রোগের প্রকোপ ও ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ২০০৮ সালে ক্যান্সার জনিত চিকিৎসায় বিশ্বব্যাপী খরচ হয়েছে ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার যা ছিল সারা বিশ্বের মোট জিডিপির ১.৫%। ক্যান্সার জনিত ব্যয় হৃদরোগ চিকিৎসার চেয়ে ১৯% বেশি ছিল (যথাক্রমে ৮৯৫ বিলিয়ন ও ৭৫৩ বিলিয়ন)। প্রকৃতপক্ষে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় এর চেয়েও বেশি হবে বলে অনুমান করা হয়। মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে আমাদের দেশ, পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যয় যা আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে। সারা বিশ্বের তামাকের ব্যবহার কমে আসলেও বাংলাদেশে এর ব্যবহার আশংকাজনক বেড়ে চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের ২ কোটিরও বেশি মানুষ নানা তামাক ব্যবহারে অভ্যস্ত, যার আনুমানিক ২৫% মহিলা। প্রতি বছর তামাক জনিত রোগে মারা যায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ধূমপায়ীদের শতকরা ৪১ ভাগ ১৫ বছরের উর্ধ্বের পুরুষ। ১৫ বছরের উর্ধ্বের ধূমপায়ী মহিলার সংখ্যা ১৮%। পান, বিড়ি, জর্দায় আসক্ত মানুষের ২৫% হল মহিলা অর্থাৎ ২৫ বছরের অধিক বয়সের মহিলা। ৬২% পুরুষ ও ৪১ % মহিলা (সম্বিলিত ভাবে ৫২ %) মানুষ কমবেশী ধূমপান অথবা জর্দা ও সাদাপাতা এসবে অভ্যস্ত।
বাংলাদেশের অর্ধেক স্কুল ছাত্র/ছাত্রী অন্য মানুষের ধূমপানের ধোয়ায় শিকার। তামাক জনিত ৮টি রোগ হল: হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, স্ট্রোক, মুখগহ্বরের ক্যান্সার, শ্বাস নালীর ক্যান্সার, যা, ফুসফুসের অন্যান্য অসুখ এবং শিরা বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই সব রোগের কারণে ৩০ বছরের উপরের মোট মৃত্যুর ১৬% ঘটে এবং শুধুমাত্র তামাকের কারণে ঘটে ৯%। তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় আনুমানিক ব্যয় ৬০ বিলিয়ন টাকা, বিপরীতে তামাক সেক্টরে বাৎসরিক লাভ হচ্ছে ২৫ বিলিয়ন টাকা।
স্তন ক্যান্সার ও জরায়ু ক্যান্সার আমাদের দেশের মহিলাদের মধ্যে আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্তদের হার ও মৃত্যু পৃথিবীর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে। বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের প্রতি লাখ মহিলাদের মধ্যে ২৫–৩০ জন মহিলার জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরায়ু ক্যান্সারের মূল কারণ হল কম বয়সে বিয়ে, কম বয়সে সন্তান নেয়া, অনিয়ন্ত্রিত জন্মদান, বহুগামীতা, দারিদ্রতা ও জনন স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসে সংক্রমণে আমাদের ৪.১% মহিলা আক্রান্ত। আমাদের জনসংখ্যার ৯০% এইচ পাইলোরিতে আক্রান্ত। হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসের কারণে লিভার রোগ ও ক্যান্সারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর্সেনিক দূষিত পানির কারণে চর্ম, মুত্রথলী, কিডনি ও ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। আমাদের পানির উৎসগুলো টেনারি বর্জ্য, খামারের বর্জ্য ও সার দ্বারা দূষিত হচ্ছে। এর দ্বারা পাকস্থলী ও খাদ্যনালীর নানান ক্যান্সার হতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারে নাজুক। আমাদের অধিকাংশ খাদ্য যা প্রস্তুতকৃত বা প্রক্রিয়াজাতকৃত স্বাস্থ্য সম্মত নয়। ফর্মালিনযুক্ত খাদ্য, রাসায়নিক দ্রব্য মিশানো শুটকি, খাদ্যে ব্যবহৃত রং, সার মিশ্রিত মুড়ি সকল মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের সোনালী প্রজন্মের মূলশক্তি হল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী, যাদের বয়স ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। আমাদের ক্যান্সার রোগীদের ৬৫% এর বয়স ৩০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যায় ক্যান্সারজনিত রোগে নারী মৃত্যুর অধিকাংশই ঘটে ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। বাংলাদেশের ক্যান্সার গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের গবেষণা পত্রে দেখা যায় আমাদের দেশে ক্যান্সার রোগীদের ৪% এর বয়স শূন্য থেকে ১৫ বছরের মধ্যে, ১৯% বৃদ্ধ অর্থাৎ অধিকাংশ বয়স কম বয়স সীমার মধ্যে। অধিকাংশ ক্যান্সার রোগীর বয়স ৩০ থেকে ৬৫ বছর সীমার মধ্যে যা মোট রোগের ৬৬%। আরেক ক্যান্সার গবেষণায় দেখা যায় এক তৃতীয়াংশ ক্যান্সার রোগীর বয়স ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা যায় বৃদ্ধদের মধ্যে ক্যান্সারের হার বেড়েছে প্রায় ২৩%। ২০৪০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের হার হবে ৩ গুণ অর্থাৎ মোট বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৭৭ ভাগ নানান ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে। আমাদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকিও। প্রয়োজন দ্রুত সনাক্তকরণ ও যথাযথ চিকিৎসার সুব্যবস্থা। সিডিসি আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী আমাদের দেশে ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর হার মোট মৃত্যুর ১৩%। বিভিন্ন ধরনের ফুসফুস জনিত রোগে সম্মিলিত মৃত্যুর হার ১৮%। আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে ক্যান্সার রোগে মৃত্যু মোট মৃত্যুর তালিকায় ৬ষ্ঠ তম। আমাদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী অচল হয়ে পড়লে জাতীয় উৎপাদন হ্রাস পাবে। অন্যদিকে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পেলে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন কর্মসূচী ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
একটি শক্তিশালী জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, ক্যান্সার চিকিৎসার গাইড লাইনের উন্নয়ন, বয়স ভিত্তিক ও বাস্তবভিক্তিক ক্যান্সার রেজিষ্ট্রি চালু, দ্রুত সনাক্ত সম্ভব এমন ক্যান্সারের জন্য আলাদা গুরুত্ব আরোপ, সহজে নিরাময়যোগ্য ক্যান্সারের চিকিৎসা সহজীকরণ, ক্যান্সারের ঔষুধ সমূহ সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ–আমাদের ক্যান্সার ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রেডিওথেরাপী মেশিনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রেডিওথেরাপী চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজীকরণ নিশ্চিত করা।
আপনি সচেতন হন, পাশের মানুষটিকে সচেতন করুন, সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টিতে অংশ নিন। ধূমপান পরিহার করুন, কায়িক পরিশ্রম বাড়ান, খাদ্যাভাসের পরিবর্তন আনুন, পোড়া ভাজা ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন, খাবারকে রঙ্গিন করুন অর্থাৎ গাজর, টমেটো, শালগম জাতীয় সবজি ও সবুজ শাকসবজি বেশি করে খান। তাজা ফলমূল খাদ্য তালিকায় যোগ করুন। প্রচুর পানি পান করুন এতে শুধু ক্যান্সার নয় অন্য রোগের ঝুঁকিও কমবে। দীর্ঘ দিনের কাশি ভাল না হলে হঠাৎ কাশি দিয়ে রক্ত গেলে, গলায় বা শরীরের কোথাও অস্বাভাবিক চাকা দেখা গেলে, স্তনে কোনো রকম অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে, মেয়েদের মাসিকের অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে, হঠাৎ করে ক্ষুধামন্দা, অরুচি বা শুকিয়ে গেলে, পায়খানার ধরন পাল্টে গেলে, এ ধরনের কোনো সমস্যা হলেই সাথে সাথে অভিজ্ঞ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। হয়ত সব উপসর্গই ক্যান্সার নয়, তবে দ্রুত শনাক্তকরণ সাফল্যজনক চিকিৎসার পূর্ব শর্ত। ২০ বছরের সেলিনা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। অনেক চিকিৎসার পর অসুখ তার মস্তিস্কে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বামী, শ্বশুর বাড়ি তার খোঁজ না নিলেও হতভাগ্য বাবা সেলিনার হাত ধরে নির্বাক চেয়ে থাকে। অশ্রু শুকিয়ে গেছে, অন্তহীন মায়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে যায়। ক্যান্সার রোগ মানে অসংখ্য আনন্দ বেদনার অনুকাব্য, অকালে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য মানুষের করুণ স্বপ্ন ভঙ্গ, নির্মম যন্ত্রণায় ধুঁকে ধুঁকে মরা। আমাদের সম্মিলিত চেষ্টায় রচিত হতে পারে নতুন কোন ইতিহাস। সব ক্যান্সারে জয় সম্ভব নয়, কিন্তু প্রতিরোধী আলোক শিখায় বেঁচে যেতে পারে লক্ষ প্রাণ।
লেখক : ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ
(সংগৃহীত)