![আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/05/laibary_124340.jpg)
ঢাকা, ০৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : গ্রন্থাগার হলো সভ্যতার দর্পণ। মানব জাতির শিক্ষা, রুচিবোধ ও সংস্কৃতির কালানুক্রমিক পরিবর্তনের সঙ্গে গ্রন্থাগারের নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে। গ্রন্থাগার হচ্ছে অতীত ও বর্তমান শিক্ষা সংস্কৃতির সেতুবন্ধ।
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস আজ। ১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এ কারণে ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে গত বছর মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। একুশে মেলা, একুশে ফেব্রুয়ারির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দিবস পালনের জন্য ফেব্রুয়ারি মাস নির্ধারণ করা হয়েছে।
দিবসটি পালনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘সরকারের বিরামহীন উন্নয়ন প্রয়াসে অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। গ্রন্থাগারের পড়াশোনা এখন সনাতন ধারা থেকে তথ্য প্রযুক্তির ধারায় শামিল হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাহিত্য সংস্কৃতির মূল্যবান উপাদান সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রন্থাগার হল জ্ঞানের ভান্ডার। জ্ঞানার্জন, গবেষণা, চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ, সংস্কৃতি চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষকে আলোকিত করে তোলা এবং পাঠাভ্যাস নিশ্চিতকরণে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহে বিনামূল্যে বই সরবরাহ এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর পুনর্র্নিমাণ প্রকল্পের ডিজাইন বাছাইকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়াস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ লাইব্রেরির আধুনিকায়নের কর্মসূচি অনুমোদিত হয়েছে। আমরা ডিজিটাল আর্কাইভস্ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছি।’
এবিএন/সাদিক/জসিস/এসএ