
কিশোরগঞ্জ, ০৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : সিলেট যাওয়ার পথে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে আসা ভৈরবের বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানায়, খালেদা জিয়ার সফরকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার থেকেই পুলিশ বেশ তৎপর ছিলো। বিকেল থেকে রাতভর ভৈরব ও কুলিয়ারচরের বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশিকালে ভৈরব শহরের দড়িচন্ডিবের এলাকার নিজবাড়ি থেকে যুবদল নেতা মাসুদ, কুলিয়ারচরের রামদি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজি মজনু মেম্বার, যুবদল নেতা পলাশ ও গোলাম রসুলকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কুলিয়ারচরের ছয়সূতি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকা এবং যুবদল নেতা ফজলু মিয়াকে কুলিয়ারচর থেকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের এত নজরদারীর মধ্যেও সকাল ১০টার পর থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি সাইফুল হক, বিএনপির সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র হাজি মো. শাহীনের নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বাক-বিতণ্ডা থেকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে মারে। এতে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে পুলিশের ওপর।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক ভিপি বাহার উল ইসলাম বাহার, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারিকুজ্জামান পার্নেলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা সৃষ্টির অভিযোগে মামলা দায়েরের পর কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এবিএন/মমিন/জসিম