বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

বিদেশি কূটনীতিকনির্ভর রাজনীতি ও নেতৃত্বের দীনতা

বিদেশি কূটনীতিকনির্ভর রাজনীতি ও নেতৃত্বের দীনতা

ফনিন্দ্র সরকার, ১২ ফেব্রয়ারি, এবিনিউজ : বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘের ঘনত্ব ক্রমেই বাড়ছে। সংবিধান অনুসারে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অস্থিরতা আভাস দিচ্ছে, রাজনীতির কালো মেঘ টর্নেডোতে রূপ নিতে পারে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচ-ভাবে শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। আজ বলতে হচ্ছে যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের নতুন নয়।

অনেক ত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা লাভ করে আমরা বীরের জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও রাজনীতিকদের দীনতায় সে বীরত্বগাথা ইতিহাস ম্লান হতে চলেছে। দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক দীর্ঘকালীন দ¦ন্দ্ব যে কোনোদিনই শেষ হবে না তা সহজেই অনুমেয়। এর মূল কারণ হচ্ছে আদর্শিক দ্বন্দ্ব। রাজনীতিতে বহু মত থাকবেÑ এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুটি রাজনৈতিক দলের চেতনার ভিন্নতা সুষ্ঠু রাজনীতির অন্তরায়। আওয়মী লীগ অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষতাকে মূল চেতনা হিসেবে ধারণকৃত একটি রাজনৈতিক সংগঠন। অন্যদিকে বিএনপির ওই চেতনার বিপরীতে অবস্থান। ধর্মনিরপেক্ষতা অসাম্প্রদায়িক চেতনাবিরোধী রাজনৈতিক দল গঠন করার ফলেই বাংলাদেশের রাজনীতি কলুষিত হয়েছে। তারা গণতন্ত্র, গণতন্ত্র বলে যতই চিৎকার করুক না কেন, মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। তার পরও বিএনপি দেশ শাসন করেছে অনেকদিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবর্তনে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ছিল অনেকটাই নির্বাসিত। কৌশলী সৈনিক জিয়াউর রহমান ক্ষমতাগ্রহণের পর প্রকৃত রাজনীতিকদের হাতছাড়া হয়ে যায় রাজনীতি। অসাধু ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ আমলা, পাকিস্তানপ্রেমী চক্রের দখলে যাওয়া রাজনীতিকে সঠিক লাইনে ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকেই আবার আন্দোলনে নামতে হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ বছর পর পাকিস্তানপ্রেমীদের দখলমুক্ত হয় বাংলাদেশ। কিন্তু কলুষমুক্ত হয় না। কলুষিত রাজনীতির ঘোলা জলের পুকুর নিয়ন্ত্রণের সুযোগ লাভ করে বিদেশি কূটনীকিতরা। প্রসঙ্গত একটি কথা এখানে উল্লেখ করতে হচ্ছে, ক্ষমতাবিলাসী চতুর জিয়া ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ সংবাদ সম্মেলন করে নতুন দল বিএনপি গঠন করেন। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালুর নামে রাষ্ট্রবিরোধীদেরও রাজনীতির সুযোগ তৈরি করে দেন। অতিবাম, অতিডান মধ্যপন্থি সুবিধাবাদীদের তার মন্ত্রিপরিষদে স্থান দেন। প্রথিতযশা খ্যাতিমান অনেক রাজনীতিকও হালুয়া-রুটির ভাগ বসাতে জিয়ার গড়া দলে যোগ দেন অথবা বাধ্য হন। এতে তাদের অতীত নৈতিকতা যে প্রশ্নবিদ্ধ হবে সেদিকে তাকাতেও প্রয়োজনবোধ করেন না। এরা নিজেদের অস্তিত্ব এবং রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টির প্রয়াসে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের দ্বারস্ত হন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর এই গোষ্ঠী নতজানু নীতিকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। এতে তাদের যে লাভ হয় সেটি হচ্ছে বিদেশের সঙ্গে সম্পর্কের সামর্থ্য অর্জন, এমনকি ভারতও জিয়ার সঙ্গে কাজ করতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল নেতার মৃত্যুকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে ধরে নিয়ে একটা অনৈতিক সরকারকেও স্বীকৃতি দেয়। তখন যদি ভারতের স্বীকৃতি না থাকত তবে ইতিহাস অন্যরকম হতো। এই পরিস্থিতির আলোকরশ্মিতে বিদেশিরা নিজেদের তাপ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সামর্থ্যবান হন, যা থেকে এখনো রাজনীতিবিদরা বেরিয়ে আসতে পারেননি। আর পারেননি বলেই বাংলাদেশের রাজনীতি হয়ে উঠেছে বিদেশি কূটনীতিনির্ভর। এই নির্ভরতাই রাজনীতিকদের দীনতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।

বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের রাজনৈতিক সৃষ্টকৃত অস্থির পরিবেশটা বিদেশি কূটনীতিকদের উপভোগের অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে যারা রাজনীতির নেতৃত্ব দেন তাদের প্রায় প্রত্যেকেই ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে খাতির প্রণয় করতে ছুটে যান। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালের পর থেকেই রাজনীতিতে বিদেশি কূটনৈতিক আধিপত্য শুরু। কী দুর্ভাগ্য আমাদের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বিশ্ব মাপের রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বে যে দেশটি স্বাধীন হয়, সেই দেশে আজকের রাজনীতিবিদদের অবস্থা কী? অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নিজেদের মধ্যে সমাধানযোগ্য হলেও ধরনা দেওয়া হয় বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে। বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, দেশ পরিচালিত হবে, তার মতামত দেবে এ দেশের জনগণ অথচ ছুটে যেতে হয় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে। আমাদের দেশে কোন দল ক্ষমতায় আসবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব জনগণের। কিন্তু রাজনীতিবিদরা নিজ অবস্থান ধরে রাখতে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। বর্তমান রাজনৈতিক ঘোলাটে অবস্থায় দেশে একটা ভয়ানক শঙ্কা বিরাজ করছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় কারাভোগ করছেন।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিএনপির ফাইল হস্তান্তর হচ্ছে একটি হাস্যকর বিষয়। একই সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বেরও বহির্প্রকাশ। কেননা বাংলাদেশের সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে বিদেশি কোনো কূটনৈতিক মিশনের অজানা নয়। এটা তারা নিজ থেকেই জানতে পারে, তারা সব বিষয়েই অবগত। কূটনৈতিক মিশনগুলোর মধ্যে একটা বিভাগই থাকে এসব বিষয় নথিভুক্ত করার। বিএনপির এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো দেখা যাবে সরকারি দলের নেতারাও পাল্টা একটা অভিযোগনামা দাখিল করবে। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা ব্যাখ্যা করবেন যে, কূটনীতিকদের সঙ্গে এসব বিষয়ে বৈঠক হচ্ছে একটা সংস্কৃতি। নাম দেওয়া হবে কূটনৈতিক সংস্কৃতি। আর একটি বিষয় উল্লেখ করতে হয়, এ দেশে বিশেষ করে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক মিশনের একজন কেরানির বাসভবনের দাওয়াতেও বাংলাদেশের মন্ত্রী, আমলাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতারা হুমরি খেয়ে পড়েন। ভারতীয় মিশনে দ্বিতীয় সচিব পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা বাংলাদেশে যে রকম জীবনযাপন করেন তা দেখে অবাক হতে হয়। তবে ভারতীয় সরকারি টাকার শ্রাদ্ধ তারা করতেই পারে, সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু ভারতে এখনো ৪০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে এই সত্য ঢাকার অপচেষ্টা তাদের জীবনধারায় ফুটে ওঠে। সত্য বলার অধিকার পৃথিবীর সবারই রয়েছে। এদিকে আর একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, আমাদের রাজনীতিকদের মধ্যে একটা ফোবিয়া কাজ করে, তা হচ্ছে প্রভাবশালী দেশের কূটনৈতিক মিশনের কর্মচারী-কর্মকর্তা, পিয়ন-চাপরাসির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা। এটা করতে পারলে নিজ দেশে রাজনৈতিক অবস্থান পাকাপোক্ত হবে। ক্ষমতাসীন কোনো কোনো নেতা মনে করেন, ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে হয়তো মন্ত্রীর চেয়ারও পাওয়া যেতে পারে। বিরোধী নেতারাও মনে করেন ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে গভীর ভাব করতে পারলে কৌশলে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিতে পারবে। অথচ ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণÑ এ কথাটি তারা ভুলে যান। বাংলাদেশে ক্ষমতা লাভের ক্ষেত্রে ভারতের নাকি একটা নেপথ্যে ভূমিকা থাকে। এ দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ ধারণাটা বিদ্যমান। বিদেশি রাষ্ট্রের সাহায্য-সহযোগিতায় ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনৈতিক প্রবণতা দেশের জনগণকে ছোট করা। বিদেশি কূটনীতিকদের ওপর কাল্পনিক নির্ভরতা ত্যাগ করে জনগণের কল্যাণ করার চিন্তা মাথায় রেখে রাজনীতি করাই হচ্ছে রাজনীতিকদের মূল কাজ। রাজনৈতিক দুর্দশার মূল কারণ কী তা স্বাধীনতার এত বছর পরও রাজনীতিকদের বোধোদয় হচ্ছে না কেন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

একটি কথা আমরা কেন ভুলে যাচ্ছি, অসাধারণ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির বস্তুগত উদ্দেশ্য বিশ্লেষণের ভেতর দিয়ে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছিলেন। সে পথকে কণ্টকাকীর্ণ করে তুলেছেন আমাদের রাজনীতিবিদরা। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তারা বৈদেশিক বিনিয়োগের বিষয়ে বেশি মাথা ঘামান। যে সরকার যত বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে পারে কিংবা উৎসাহিত করতে পারে সে তত বেশি কৃতিত্বের দাবি করে। কিন্তু বৈদেশিক বিনিয়োগে দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন হয় না সেটা কেউ বুঝতে চায় না। বৈদেশিক বিনিয়োগ মানেই সাম্রাজ্যবাদ জেঁকে বসা। অতীতের ইতিহাসে সেটা প্রমাণিত সত্য। ব্রিটিশরা এক সময় এ উপমহাদেশে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে এসে শাসক হয়ে গিয়েছিল। ২০০ বছরেরও বেশি তারা এ উপমহাদেশকে শাসন-শোষণ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ ও সাহায্য ছাড়াও যে দেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন করা যায় তা শেখ হাসিনা নগদ দেখিয়ে দিলেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়াই পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চলেছে। কাজেই নেতৃত্বের মধ্যে যদি দৃঢ়তা, নৈতিকতা এবং সাহস থাকে তবে তা করা যায়।

দেশের মানুষের চাহিদার অন্ত নেই; মানুষ কেবলই চায়। যার আছে সেও চায়, যার নেই সেও। এটা মানবজাতির সহজাত প্রবৃত্তি। পৃথিবীর সব মানুষের ক্ষেত্রেই এটা সত্য। তবে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে নিছক চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপারটি বেশি গুরুত্ব লাভ করায় গোটা রাজনীতিই বিপাকে পড়ে গেছে। কতিপয় সৎ আদর্শবান রাজনীতিক অনেকটাই অসহায়। বেশিরভাগ রাজনীতিক আমলা বিলাসবহুল জীবনের লক্ষ্যে বৈষয়িক ও অর্থনৈতিক ভাবনার দিকে এগিয়ে চলছে। এ প্রেক্ষিতে অস্থির হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ, ঘাট, আকাশ। রাজনৈতিক জীবনের শ্রেষ্ঠত্ব¡ অর্জনে দৌড়াদৌড়ি করছে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে। এতে যে গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কারো খেয়াল নেই। ক্ষমতা যেমন চিরস্থায়ী নয়, তেমনি ভোগ্য, কোনো বস্তু কিংবা সম্পদও চিরস্থায়ী নয়। ভোগ্যবস্তু ও সম্পদ দেহপুষ্টির জন্য সৃষ্টি হয়েছে। ভোগ্যবস্তু ও সম্পদ অর্জনে একটা পরিমিতিবোধ থাকতে হবে। এই পরিমিতিবোধে রাজনীতিরও পুষ্টি সাধন হয়, যে রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে সেটা একটি রসালো ফল। এই ফল থেকে কত তাড়াতাড়ি সবটুকু রস বের করে কে কার আগে আকণ্ঠ পান করবে রাজনীতিবিদদের মধ্যে চলছে সেই প্রতিযোগিতা। রসপানের কৌশল জানতেই ছোটাছুটি বিদেশি কূটনীতিবিদদের কাছে। এটা দেশপ্রেম নয়। এটা রাজনীতির দীনতা। রাজনীতির এই দীনতা ঘোচাতে হবে। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই এই দীনতা ঘোচাতে নেতৃত¦ দিতে হবে। তিনিই পারবেন বলে দেশবাসী বিশ্বাস করে।

রাজনীতিতে যে সহিষ্ণুতার কথা বলা হচ্ছে কিংবা জনগণ যে শঙ্কার মধ্যে আছে সে শঙ্কা দূর করতে কূটনীতিকদের দ্বারস্ত হলে চলবে না। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। অতীতে এমন উদাহরণ রয়েছে অনেক। সে কথার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। তাই জনগণের হৃদয় জয় করে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। (সৌজন্যে : আমাদের সময়)

লেখক : কলাম লেখক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক

[email protected]

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত