বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

যারা করে প্রশ্ন ফাঁস, তাদের মাথায় ভাঙ্গ বাঁশ

যারা করে প্রশ্ন ফাঁস, তাদের মাথায় ভাঙ্গ বাঁশ

ফজলুল হক, ১২ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : এই শহরে আমাকে কেউ বক্তৃতা দিতে ডাকেনা। ডাকে না, কারণ আমাকে চিনেনা, প্রচারণার অভাবে। আমি বক্তৃতা দিতে চাই না। গুছিয়ে বলতে পারিনা। আমাদের বক্তাদের বক্তৃতার ধরন আমার পছন্দের না। ধরুন, প্রেস ক্লাবে তরুণ, যুব উদ্যোক্তারা সভা করছে। নাগরিক কমিটি, সংগ্রাম পরিষদ, অধিকার বাস্তবায়ন ফোরাম– ইত্যাদি নামে। একজন নামকরা অধ্যাপককে প্রধান অতিথি করেছেন। কিংবা একজন বিদগ্ধ লেখক বা রাজনীতিবিদ আসলেন প্রধান অতিথি হয়ে। ৩টার সভা শুরু করলো বেলা ৫টায়। একের পর এক বক্তা মঞ্চে এসে দীর্ঘ বক্তব্য দিচ্ছে। মঞ্চে চেয়ার আছে ৫টা, পেছনে দাঁড়িয়ে আছে, সাত জন। সবাই খুশি মত বক্তৃতা দিচ্ছে। উপস্থাপক নিজে উনার বক্তব্য উপস্থাপনের সময় দীর্ঘ কথাবার্তা বলে চলেছেন। কথার নাম লতা। উপস্থাপক এক পর্যায়ে বক্তাকে বলছে, আপনারা সংক্ষেপ করুন। সময় সীমিত। প্রধান অতিথি চলে যাবেন। উনার জরুরি কাজ আছে। শেষ পর্যন্ত মাগরিব বা এশা নামাজের আজান হয়। দর্শক নামাজ পড়তে বের হয়। দশ পনের জন দর্শক থাকে, এখন প্রধান অতিথিকে ডায়াসে ডাকা হবে মূল্যবান ভাষণ দিতে। আপনি দেখুন বিদেশে, টনি ব্লেয়ার, বিল ক্লিন্টন, ওবামা, ড. ইউনূস– উনাদের ডাকা হয় ভাষণ দিতে। অনেকে ডলার ব্যয় করে বক্তৃতা শুনতে আসেন। বক্তাদেরও বড় অংকের সম্মানী দেয়া হয়। আমি যদি কোন অনুষ্ঠানে ড. রেহমান সোবহান বা ড. আনিসুজ্জামানের বক্তৃতা শোনার সুযোগ পাই– নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতেও করবো। চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানে ড. অনুপম সেন, প্রফেসর সিকান্দার খান, ড. জামাল নজরুল (প্রয়াত) কে উদ্যোক্তারা এনেছেন বক্তৃতা দিতে। উনাদের প্রতি সুবিচার করেননি। উনাদের বক্তব্য বৈশ্বিক সভা সেমিনারে মূল্যায়িত হয়, অনেকে এটার ধার ধারেনি। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আমাকে উদ্যোক্তারা ডাকেনা। ভালই করে। কিন্তু এক সভার আয়োজক আমাকে ফোন করেছে। স্যার, আপনাকে আসতে হবে। সভার বিষয় কি? বিষয় “পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস।” আমি বল্লাম, আমি যাবো না। কেন যাবেন না? ওই রোগের ওষুধ আমি জানিনা। স্যার, বলেন কি? আমার দুঃখ হয় “প্রশ্ন ফাঁস করে যারা, দেশ ও জাতির শত্রু তারা।” “মানবতার শত্রু তারা।” “যারা করে প্রশ্ন ফাঁস, তাদের মাথায় ভাঙ্গ বাঁশ।” আমি বলি, এই রকম স্লোগান দিয়ে মিছিল কর। পোস্টার লাগাও। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার কর– প্রশ্ন ফাঁসকারীর হাত কেটে দেয়ার আইন করা হোক। তোমাদের সভা– মিকশ্চার দাওয়াইর মতো। এতে কাজ হবে না। কঠিন পদক্ষেপ লাগবে। এভাবে প্রশ্ন ফাঁস হতে থাকলে এই জাতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। অযোগ্যরা জিপিএ– ৫ পাবে। সকল ক্ষেত্রে কোয়ালিটি বরবাদ হবে। নদীর নিচে ট্যানেল ধসে যাবে। পদ্মা সেতু বাঁকা হয়ে যাবে। মেধা নষ্ট– মানে জাতি নষ্ট। প্রশ্ন ফাঁস– মেধাহীনের প্রকোপ বাড়াবে।

ফেসবুকে একটা পোস্ট পড়েছি, একটা সংগৃহীত গল্প। সম্ভবত আমার অনেক পুরোনো ছাত্র মুকিত এটা লিখেছে। এক রাজা ভ্রমণে গেছেন। দেখেন, রাস্তার পাশে লম্বা লাইন দিয়ে গাধারা যাচ্ছে। শয়ে শয়ে গাধা, গর্দভ। কোন হুড়োহুড়ি নেই। কোন বিশৃংখলা নেই। চুপচাপ শান্তিপূর্ণ মিছিল। রাজা দেখেন, এক রাখাল বাঁশের লাঠি নিয়ে যাচ্ছে পেছনে। রাজা তাকে ডাকলেন। ওহে রাখাল? তুমি কি করিয়া গাধাকে মানুষ করিলে? রাখাল বল্ল, মহাশয় এইটা কাঁচা ভাইজ্যা বাঁশ। এর নাম লাঠি। ওষুধ খাঁটি। আগে গাধা ধাক্কাধাক্কি ও বিশৃংখলা করত। মাইর দিছি, চামড়া উঠাইয়া ফেলছি, মহাশয় এখন গাধা সুশৃংখল। শান্ত। তো, বাদশাহ রাখালকে রাজধানীতে নিয়ে আসলেন। তাকে দেশের প্রধান বিচারপতির আসনে বসালেন। এক লোক চুরিতে হাতে নাতে ধরা পড়েছে। সাক্ষী–সাবুদসহ আনা হলো প্রধান বিচারকের (রাখাল) দরবারে। চোর হাসে। “কেলা চুরিতে ফাঁসি হয় নাকি?” প্রধান বিচারপতি রায় দিলেন, তার এক হাত কেটে ফেল। এক মন্ত্রী এসে বল্লেন, একি করছ তুমি? তুমি জান সে মহারাজের আত্মীয়? তোমার গদি থাকবে? সে বলে, হাকিম নড়বে, হুকুম নড়বে না। আরেক মন্ত্রী এলেন। জান রাজার আত্মীয় আইনের ঊর্ধ্বে? বিচারক অনড়। আরেক মন্ত্রী এলো, বল্ল, তোমার পিঠের ছাল তুলে ফেলব। “রাখাল– বিচারক” আদেশ দিল, চোরের হাত কাট। হাত কাটা হলো। এই তিন মন্ত্রীর জিহ্বা কাট। জিহ্বা কাটা হলো। সে দেশে চুরি বন্ধ হলো। চুরির নাম পর্যন্ত কেউ মুখে আনে না। চোর এখন ট্রেনে। যাচ্ছে নির্বাসনে। দেশ চোর মুক্ত।

মুকিতের পোস্টে একটা “টীকা” “দ্রষ্টব্য” আছে। ইরানের কোন এক শহরে নাকি এক যুবক এক কিশোরীকে প্রকাশ্য ধর্ষণ করেছে, তারপর মেয়ের উপর পাশবিক বর্বরতা চালিয়ে তাকে খুন করেছে। বিচারক রায় দিলেন, প্রকাশ্য স্থানে তাকে দড়িতে ঝুলিয়ে ফাঁসি দাও। হাজার হাজার লোক– লম্বা ক্রেনে তুলে ধর্ষককে তাদের সামনে ঝুলিয়ে মারা হয়। সেই শহরে আর ধর্ষণের নাম শোনা যায়নি। যেমন কুত্তা– তেমন ডাণ্ডা লাগে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর।

তাহলে প্রতি বছর আমাদের পরীক্ষার প্রশ্ন কিভাবে লিকেজ হয়? আমরা কথাবার্তা বলি। লাভ হচ্ছে কিছু? এদের ঠেকানো এতই কঠিন? আমি সভার উদ্যোক্তাকে বল্লাম, তোমাদের সভায় গেলে, আমি যা বলব তা তোমাদের পছন্দ হবে? পছন্দ হবে না। কারণ তোমরা আমাকে যা বলতে বলবে, আমি তা বলব না। কেন প্রশ্নফাঁস অপ্রতিরোধ্য হয়েছে? কে আছে এর পেছনে? কেন ইয়াবা ব্যবসা অপ্রতিরোধ্য? কেন ছিনতাই বন্ধ করা যাচ্ছে না? প্রশ্ন ফাঁসকারী কারা? কেন তাদের ধরা যাচ্ছে না? আমি কথা বললে, তোমরা বিব্রত বোধ করবে। ভারতীয় মারদাঙ্গা সিনেমার কতগুলো চরিত্র তরুণরা পছন্দ করে। ‘ফাটাকেস্ট’, ‘একদিন কা সিএম’– এসব কেন পছন্দ করে? তরুণরা কেন ভাবে এদের এখন এখানে দরকার?

কেউ কি সরকারকে বিব্রত করতে চাচ্ছে? হার্ড লাইন ছাড়া উপায় নাই। আচ্ছা, আপনি প্রশ্নফাঁস বন্ধ করবেন, এক কাজ করেন, পরীক্ষা নেয়া বন্ধ করে দেন। পাস ফেল না থাকুক। যারা ভর্তি হবে সবাই উতরে যাবে, সবাই পাস করবে। পরিমাপের অন্য কোন উপায় বের করুন? “ওপেন বুক একজাম” বা পরিমাপের আরো প্রসেস থাকতেই পারে। পারবেন পরীক্ষা বন্ধ করতে? পারবেন– না। গতানুগতিকতার বাইরে যেতে পারবেন না। পরীক্ষা এখন জিপিএ–৫ এর নির্যাতনে পরিণত হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের কাজ চলছেই।

মোবাইল নেটওয়ার্ক– পরীক্ষার সময় সম্পূর্ণ বন্ধ রাখুন। পারবেন? পারবেন না। মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করলে– দেশের ব্যবসা বাণিজ্য চলবে না। পরীক্ষার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের কথা ভাববে কে? ফেসবুক বন্ধ করতে পারবেন? তাও বন্ধ করতে পারবেননা। কোচিং সেন্টার বন্ধ করেছেন। তবে তা সাময়িক। কিন্তু কোচিং সেন্টার তো স্থায়ীভাবে বন্ধ করা উচিত। এর দরকার কি? কোচিং সেন্টার, নোট বই, গাইড বই, প্রাইভেট টিউশনির দরকার কি? কোচিং সেন্টার মানে, ক্লাস আওয়ারের পর শিশুকে পড়ার ঘানি টানানো। গাইড বই মানে শিশুর পিঠে বইয়ের বোঝা, যাতে সে না করতে পারে কোমর সোজা। জিপিএ– ৫ এর নির্যাতন– আমাদের শিক্ষার অঘোষিত লক্ষ্য। প্রশ্ন ফাঁসে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এটা এখন বড় মাথা ব্যথা। শিক্ষকদের কোচিং টিউশন বন্ধ হচ্ছে না। এটা শিক্ষা ব্যবস্থার আপদ। শিক্ষক– শিক্ষা বেঁচে।

গণমাধ্যম বলছে, ফেসবুকে সপ্তাহ জুড়ে ঘোষণা দিয়ে এস এস সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চলছে। মন্ত্রণালয় অসহায়। কঠোর হতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব চেষ্টা চ্যালেঞ্জ করে প্রশ্নফাঁসকারীরা ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্নের বিনিময়ে টাকা চাইছে। ফাঁসকারীদের ধরা যাচ্ছে না। দু’একজন ধরা পড়লেও পুলিশ তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পায়নি। দৈনিক প্রথম আলো (৭/২/১৮) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, যারা আগাম ঘোষণা দিয়ে এসব করছে, তাদের আসল উদ্দেশ্য প্রশ্নফাঁস নয়। তাহলে আসল উদ্দেশ্য কি? কি চায় তারা? তাদের পেছনে কে আছে? তারা সরকারকে দুর্বল করতে চাচ্ছে। শিক্ষাতে এই সরকারের সাফল্য অনেক। ডিজিটালাইজেশনে এই সরকারের সাফল্য অনেক। অথচ দেখুন, ডিজিটাল আপগ্রেডেশন ব্যবহার করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বরবাদ করে দিচ্ছে। শিক্ষাতে কিছু তালগোল পাকানো অবস্থা তৈরি হচ্ছে। কোচিংওয়ালা, কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন স্কুল মালিক– তারা কেবল পয়সার লোভে এখানে এসেছে। দেখুন, স্কুলে টিসি জালিয়াতি হচ্ছে। অতিরিক্ত ফিস নিচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে স্কুল খুলে চটকদার প্রচারণার ফাঁদে ফেলছে শিক্ষার্থীকে। এদের ধরা যাচ্ছে না। কারণ, মন্ত্রণালয়ে, অধিদপ্তরে, শিক্ষা বোর্ডে জালিয়াত চক্রের দোসর আছে। এদের ফুল ক্লিন করতে হবে। কিছু “টাউট”– বড় শিক্ষাবিদ সেজে বড় বড় লোকদের সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে নিজেকে জাহির করে। প্রশ্নফাঁসকারী চক্র কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সরকার এত কড়াকড়ি করছে, তার মধ্যেও বুধবার ইংরেজি ২য় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে, আগাম ঘোষণা দেয়া হয়েছে ফেসবুকে। “এসএসসি একজাম কোশ্চেন এন্ড সাজেশন ২০১৮” (ইংলিশে লেখা) নামে একটি গ্রুপে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ইংরেজি প্রথম পত্র প্রশ্ন দিলাম সবার আগে, আবারো এটা প্রমাণ দিলাম, কারো ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন লাগলে ইনবক্সে ৫০০ টাকা লাগবে। অবশ্যই অগ্রিম করতে হবে। (সূত্র ঃ দৈনিক প্রথম আলো ৭/২/১৮)। অন্য এক পত্রিকার রিপোর্ট, এক ব্যক্তি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে প্রশ্ন দেয়ার কথা বলে, ৫০০ টাকা চেয়ে একটি বিকাশ নাম্বার দিয়েছে। এভাবে প্রতিদিন আগাম ঘোষণা দিয়ে জাতির শক্রুরা প্রচারণা চালালেও এই চক্রকে ধরতে পারছে না। কারা এই চক্রকে ধরার কথা?

দেখুন, মানিকগঞ্জে সিঙ্গাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ইংরেজি প্রথম পত্র প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে ফ্রেন্ডস কোচিং সেন্টারের শিক্ষক রুবেল হোসেন এবং শরীফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজিব নামে ঢাকার এক ব্যক্তির ফেসবুক থেকে তারা এই প্রশ্নপত্র নিয়েছে। রাজিব এখনো রহস্যাবৃত। তারা সরকারকে বিপদে ফেলতে চাইছে নাকি? গ্রেপ্তারের সময় তাদের মোবাইলে ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্ন ছিল। দৈনিক প্রথম আলোর (৭/২/১৮) রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নের সাথে এটা হুবহু মিলে যায়। পরীক্ষা শুরুর পর এটা দেখা গেছে। কেন্দ্র সচিব মো. আকরাম হোসেন মামলার এজাহারে এসব কথা বলেছেন। দেখুন, প্রশ্নফাঁসে ফেসবুক ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির ভূমিকা দরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একা পারবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা দরকার। অধিদপ্তর, শিক্ষাবোর্ড ও কেন্দ্রসমূহের ওপর কঠোর নজরদারী দরকার। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতেই হবে।

সভায় বক্তব্য দেয়ার জন্য যে লোক আমাকে ফোন করেছিল, তাকে বল্লাম, তোমাদের সভায় গিয়ে কি বলব? “রাখাল”– গাধা পিটিয়ে গাধাদের মধ্যে শৃংখলা এনেছিল। এখন বুঝতে পারছ, মিষ্টি কথায় চিড়ে ভিজবে না। ভারতীয় মারদাঙ্গা সিনেমা “একদিন কা সিএম” দেখেছ? তুমি তো সাংবাদিক। সাংবাদিকের অভিনয়কারী অনিল কাপুর একদিনের জন্য ভারতের এক রাজ্যের চিফ্‌ মিনিস্টার হয়েছিলেন। একই দিনে মেরে সব দুর্নীতিবাজকে তক্তা বানিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর সত্যি সত্যিই জনতা উনাকে চিফ মিনিস্টার নির্বাচিত করেছিলেন অমরেশপুরীকে (ভিলেন) সরিয়ে। একজন রিপোর্টার হয়েছিলেন চিফ মিনিস্টার।

প্রিয় ভাই, আমাকে একদিনের জন্য “শিক্ষামন্ত্রী” বানিয়ে দিন। আমার হাতে একটি “বাঁশ” দিন। আমার বুকে োগান দিন “যারা করে প্রশ্ন ফাঁস তাদের মাথায় ভাঙ্গ বাঁশ।” আমাদের বাচ্চাদের পরীক্ষার নির্যাতন থেকে বাঁচাতে হবে। আমি গল্পের “রাখালকে” অনুসরণ করব। চুরি করলে হাত কাটব। সুপারিশ করলে জিহ্বা কাটব।

এটা ফান করার জন্য বল্লাম। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ভাল। তবে উনাকে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, শিক্ষাবোর্ড থেকে খারাপ লোক সরাতে হবে। এই ব্যর্থতা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। মানুষ বোকা নয়। প্রশ্নফাঁসের মতো অপরাধ দমনে কঠিন হোন। মাননীয় সরকার প্রধান, এদের জন্য নো মারসি।

লেখক : সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও

অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

(সংগৃহীত)

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত