![সদুরচরে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/23/baby_abnews_127327.jpg)
ভোলা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে সদুর চরে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর অবস্থায় আহত ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী রাফিকে ভোলা সদর হাসপাতালে র্ভতি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদুরচর কারিশাহ পুলের পাশে জমাদার বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সদুর চরের কারিশাহ ব্রিজ এলাকার জমাদার বাড়ির বাসিন্দা দিনমজুর সামসুদ্দিনের ছেলে চর জাঙ্গালিয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র মো: রাফি (১০)। আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় পাশবর্তী নানাবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় পথ রোধ করে পাশের বাড়ির সামসুদ্দিন(৪৫) সহ কয়েক জন।
কিছু বুঝার আগেই সামসুদ্দিন দা দিয়ে রাফির মাথায় কোপ মারে এবং লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে। পরে স্থানীয়রা রাফিকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে রাফি ভোলা সদর হাসপাতালের র্সাজারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আছে। মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করার কারনে রাফি অনেকটা মানসিক ভাবে ভারসাম্যহিন অবস্থায় আছে। কাউকে দেখলে সে ফ্যালফ্যলিয়ে তাকিয়ে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে যানা যায়, সদুর চরের জমাদার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা জনৈক প্রবাসি নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী ও মিস্তি বাড়ির বাসিন্দা সেকান্তর বেপারির মেয়ে ইয়ানুর বেগমের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে একই এলাকার হযরত আলি, আবদুল খালেকসহ কয়েকজনের সাথে বিরোধ আছে।
স্থানীয়দের দাবি ইয়ানুর বেগম জমাদার বাড়ির হজরত আলি ও আবদুল খালেকের জমি অবৈধ দখল করে রাস্তা নির্মান করেছে ও রাস্তা ব্যবহারকারীদের ভোগান্তিতে ফেলার জন্য রাস্তার দুই পাশে কাটা তারের বেড়া র্নিমান করেছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পাশর্বতি বাড়ির আবদুল খালেক, হজরত আলি গংসহ কয়েকটি পরিবারের সাথে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে উভয় গ্রুপই মামলা একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে ইয়ানুর বেগম এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি কর। দুপুর বেলায় আবদুল খালেকের ভাগিনা ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো: রাফি ঐ বিরোধিয় রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়া ধরলে ইয়ানুর বেগম, ইয়ানুরের স্বামী মিজান, ভাই সামসুদ্দিন, বজলুসহ কয়েকজন মিলে রাফির পথ আটকায় এবং রাস্তা দিয়ে কেন যাচ্ছে তা জানতে চায়। এক পর্যায়ে ইয়ানুরে ভাই সামসুদ্দিন দা দিয়ে রাফির মাথায় আঘাত করে। পরে রাফিকে স্থানিয়রা রাফিকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বড়দের সাথে দাবি জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে এসমস্ত বিষয় নিয়ে ১০ বছরের শিশুকে কুপিয়ে জখম করার মতো ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য। স্থানীয়রা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
ভোলা জেলা বাল্য বিয়ে ও শিশু র্নিযাতন প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি আদিল হোসেন তপু ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিযার জিলন ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানায় শিশু নির্যাতন মামলা দ্বায়ের করা হয়েছে।
এবিএন/আদিল হোসেন তপু/জসিম/এমসি