![রাজনৈতিক খেলার বল এখন আওয়ামী লীগের কোর্টে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/27/gaffer_127795.jpg)
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, ২৭ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : বাংলাদেশে রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগের যুদ্ধে বিএনপি এখন পরাজিত, আন্দোলনের মাঠে নামার ক্ষেত্রেও তারা প্রতিহত, এ কথা কোনো তর্কের অপেক্ষা না করে বলা যায়। বিস্ময়কর কথা, খালেদা জিয়ার কারাবন্দি হওয়ার ব্যাপারে বিদেশিদের দরবারে বারবার ধরনা দিয়েও বিএনপি নেতারা কোনো সাড়া পাননি। খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানোর পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও ঢাকায় কোনো দেশের দূতাবাস কিংবা সেসব দেশের রাজধানী থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো বা বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
তারা বলছে, আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য করার খুব সুযোগ নেই। তারা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিএনপির আমন্ত্রণে দুই দফা ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকরা। কিন্তু তাঁরা বিএনপি নেত্রীর কারাদণ্ড হওয়া সম্পর্কে স্পিকটি নট। বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের পরদিনই দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে হৃদ্যতাপূর্ণ আলোচনা করেছেন, লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসে বিএনপি নেতাকর্মীদের গুণ্ডামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার কারাগমন সম্পর্কে একটি কথাও বলেননি। তাঁর সফরের সময় আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে রোহিঙ্গা সংকট। লন্ডনে বিএনপির নয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান দীর্ঘকাল ধরে অবস্থান করা সত্ত্বেও কোনো ব্রিটিশ পত্রিকায় খালেদা জিয়ার বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে কোনো মন্তব্য বের হয়নি।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে তিন দিনের সফর শেষে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতেও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের বিষয়টি আসেনি। পরে সাংবাদিকরা এ সম্পর্কে প্রশ্ন তুললে প্রতিনিধিদলের নেতা জিন ল্যাম্বার্ট বলেছেন, এটি আদালতের বিষয়। আদালতের রায় নিয়ে তাঁরা কোনো কথা বলতে পারেন না। তিনি উল্টো বলেছেন, ‘এই রায় বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং বিদ্যমান আইন মেনেই বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত।’ অর্থাৎ বর্তমান হাসিনা সরকারের অধীনে তাদের ব্যবস্থার মধ্যেই বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। এককথায় শুধু দেশের রাজনীতির মাঠে নয়, বিদেশিদেরও ‘হৃদয় জয়ের’ খেলার মাঠে বিএনপি এখন পর্যন্ত পরাজিত দল।
এদিক থেকে বিএনপির রাজনৈতিক পার্টনার জামায়াত অনেক বেশি সৌভাগ্যবান দল। ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ ও গণহত্যায় অংশগ্রহণ করা সত্ত্বেও তাদের বিচারের সময় ইউরোপ-আমেরিকায় তাদের সমর্থক একটি আইনজীবী ও কূটনীতিক গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল। জামায়াতের এই যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সুষ্ঠু বিচার হওয়া সত্ত্বেও এই গোষ্ঠী এমনকি কোনো কোনো পশ্চিমা দেশের এক শ্রেণির সরকারি নেতা, এক শ্রেণির বিগ মিডিয়া বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল ও তার বিচারের স্বচ্ছতা সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন তুলেছিল। যুদ্ধাপরাধীদের প্রাণদণ্ডের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য হাসিনা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছিল।
বিএনপির মন্দ কপাল। জামায়াতের চুনোপুঁটি নেতাদের পর্যন্ত শাস্তি থেকে বাঁচানোর জন্য একটি বিদেশি কূটনীতিক ও দেশি রাজনৈতিক চক্র সক্রিয় ও সরব ছিল। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেত্রী ও দেশটির তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর কারাদণ্ডের ব্যাপারে তারা এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নীরব ও নিষ্ক্রিয়। তারা আদালতের রায়ের দোহাই পেড়ে মুখরক্ষা করতে চাইছে।
১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দণ্ডও কি আদালতের রায় ছিল না? ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের তো আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও যোগাযোগ অত্যন্ত শক্তিশালী। সেই মওদুদ আহমদও কেন তাঁর নেত্রীকে রক্ষায় তাঁর আন্তর্জাতিক প্রভাব কাজে লাগাতে পারলেন না, শুধু ঘরে বসে গোঙাচ্ছেন? তাঁর রাজনৈতিক প্রভু বদলের ইতিহাসে দেখা যায়, তাঁর সাবেক প্রভু জেনারেল এরশাদের পতনের সময় তিনি যেমন নিরোর মতো বাঁশি বাজাচ্ছিলেন, এখন বেগম জিয়া ও দলের দুর্দিনেও তেমনি বাঁশি বাজাচ্ছেন। শুধু সুরটাই গরল-রাগিণী।
যা হোক, সব কথার শেষ কথা হলো, রাজনীতির কূটকৌশলে এবং বিদেশে পলাতক দলের হঠকারী এক শীর্ষ নেতার হঠকারিতার জন্য বিএনপি আজ আপাতত পরাজিতপক্ষ হলেও আওয়ামী লীগ সরকার বা দলের তাতে আহ্লাদিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সরকারের এক শ্রেণির মন্ত্রী ও নেতা আহ্লাদিত হয়ে দায়িত্বহীন কিছু কথাবার্তা বলছেন। এটাও রাজনৈতিক হঠকারিতা। তাঁরা অবশ্যই খালেদা জিয়ার বিচার নিয়ে বিএনপির অসত্য প্রচারণার জবাব দেবেন, কিন্তু দলটির নেত্রীর বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে উল্লাস প্রকাশ ও দায়িত্বহীন কথাবার্তা বলা থেকে নিরত থাকা উচিত। এটা আদালতের বিষয় এবং আদালতের রায় সম্পর্কে তাঁদের কিছু বলার নেই। এটাই ইউরোপিয়ান কূটনীতিকদের মতো তাঁদের ভূমিকা হওয়া উচিত। বেশি কথা বলে তাঁরা বিএনপির অসত্য প্রচারণাকেই সত্য প্রমাণ করতে চান কেন?
পরিস্থিতির বাস্তবতা অনেক আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীও বুঝতে পারছেন বলে আমার মনে হয় না। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ায় মাঠ ফাঁকা, বিএনপি বিপর্যস্ত, প্রয়োজনে দলটিকে ভেঙে একাংশকে নির্বাচনে এনে সবার অংশগ্রহণে অবাধ নির্বাচন হয়েছে, এই প্রচার চালিয়ে বাজিমাত করার চেষ্টা করা হলে তা সফল হবে না। ইউরোপিয়ান কূটনীতিকরা, এমনকি ভারতও এখানে একটি চতুর খেলা খেলেছে। তাঁরা খালেদা জিয়ার আদালতের বিচারে দণ্ডিত হওয়া সম্পর্কে নির্বাক থেকে আওয়ামী লীগকে আশ্বস্ত করেছেন, কিন্তু কৌশলে রাজনীতির মাঠের খেলার বলটি আওয়ামী লীগের কোর্টে ঢুকিয়ে দিয়ে গেছেন।
এখন বল আওয়ামী লীগের কোর্টে। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ ও আগামী নির্বাচনে তার জয়ী হওয়া নির্ভর করে এই ফল নিয়ে দলের নেতারা দূরদর্শিতার সঙ্গে কোন দিকে ছুটবেন তার ওপর। যদি তাঁরা ভুল করেন, তাহলে বিএনপি নেত্রীহীন অবস্থায় নির্বাচনে গেলেও লাভের কড়ি গুনবে। আমার ধারণা, বেগম জিয়া কারাগার থেকে ছাড়া পান, আর না পান, তাঁর নির্দেশেই, বিএনপি এখন যাই বলুক, নির্বাচনে যাবে।
এখন প্রশ্ন, বিদেশি কূটনীতিকরা কিভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্রীড়াঙ্গনের খেলার বলটি আওয়ামী লীগের কোর্টে ঢুকিয়ে দিয়ে গেলেন? তাঁরা বলেছেন, বেগম জিয়ার বিচার ও দণ্ড আদালতের বিষয়। এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু বলার নেই। তাতে আওয়ামী লীগ সরকার অবশ্যই স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে এই বিদেশি কূটনীতিকরা ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে যে কথাটি বলছেন তা হলো, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে তাঁদের আগ্রহ রয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা পর্যবেক্ষণ করবেন, দ্বিতীয়ত, সব দেশের কূটনীতিকরা মায় জাতিসংঘ বলেছেন, এবার তাঁরা সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এই আশা করছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো নির্বাচন তাঁরা আশা করছেন না।
বলা বাহুল্য, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠান বলতে তাঁরা বোঝাচ্ছেন, বিএনপিকেও নির্বাচনে টেনে আনা। এখন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা, তাতে বিএনপিকে নির্বাচনে টেনে আনার মূল দায়িত্ব ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ওপর বর্তেছে। বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠান দ্বারা আন্তর্জাতিক মহলে তার বৈধতার স্বীকৃতি পাওয়া এবার সহজ হবে না। বিএনপি এই সত্যটি জেনে নিজের নাক কেটে হলেও আওয়ামী লীগের যাত্রাভঙ্গের চেষ্টা করতে পারে। অর্থাৎ নির্বাচন বর্জন করলে নিজেদের দল ভেঙে যেতে পারে, অস্তিত্ব হারাতে পারে তা জেনেও নির্বাচন বর্জন দ্বারা আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা চালাতে পারে। আমার ধারণা, এটা হবে তাদের কৌশল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।
আমার ধারণাটি সঠিক হবে কি না জানি না, তবে আমার ইনটিউশন বলে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে জামিন পাবেন এবং জেল থেকে বেরিয়ে এসে দলের ঐক্য ও অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি যদি জেল থেকে বেরোতে না পারেন, কিংবা নিজে নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সুযোগ না পান, তাহলেও দলকে নির্বাচনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেবেন। তিনি জানেন, বিএনপির গণ-আন্দোলন করার শক্তি নেই। নির্বাচনে দলের জয়-পরাজয় যাই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণই হচ্ছে বিএনপির অস্তিত্ব ও নেত্রীর নেতৃত্ব রক্ষার একমাত্র পথ।
আমার এ ধারণা যদি সঠিক না হয়, অর্থাৎ বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার আত্মঘাতী নীতি গ্রহণ করে তখন আওয়ামী লীগের ওপর আরো বেশি দরকার হবে এই রাজনৈতিক বল খেলায় ধৈর্য ও কৌশলপূর্ণ নীতি গ্রহণ করার। কারণ বলটি এখন তার কোর্টে। আওয়ামী লীগ যদি ভাবে, বিএনপিতে তারেক রহমানবিরোধী যে সিনিয়র গ্রুপের নেতাকর্মী আছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগ সরকারের একটু নীলসংকেত পেলেই পাল্টা বিএনপি গঠন করবেন এবং তাঁদের আসল বিএনপি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিলে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রমাণ করা যাবে, সেটি ভ্রান্ত ধারণা। দেশে ও বিদেশেও খালেদাবিহীন বিএনপি আসল বিএনপি বলে স্বীকৃতি পাবে না। যেমন এক-এগারোর সরকার সংস্কারপন্থী নেতাদের দ্বারা হাসিনাবিহীন আওয়ামী লীগ ও খালেদাবিহীন বিএনপি গড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। জিয়াউর রহমান ও এরশাদের আমলেও আওয়ামী লীগ ভাঙার চেষ্টা হয়েছে, সফল হয়নি। ড. কামাল হোসেন ও আবদুর রাজ্জাকের মতো প্রভাবশালী নেতারা দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব বিলীন করতে পারেননি। ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, কর্নেল অলির মতো নেতারা বিএনপির নেতৃত্ব থেকে খালেদা জিয়াকে হটাতে পারেননি।
বর্তমানেও বিএনপি হয়তো ভাঙা যাবে, কিন্তু খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে অংশটি থাকবে সেটিই আসল বিএনপি বলে স্বীকৃতি পাবে এবং এই বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে—এটা বিদেশিদের কাছে প্রমাণ করা যাবে না। জেল গমনে বেগম জিয়ার নেতৃত্ব ধ্বংস হবে না। তাঁর নেতৃত্ব ধ্বংস হবে যদি মুসলিম লীগের নেতাদের মতো তিনি অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী পন্থায় দল চালাতে চান এবং পুত্র তারেক রহমানকে অতিরিক্ত প্রশ্রয় দিতে থাকেন, তাহলে কোনো কোনো লৌহমানবীর মতো তাঁর পতন ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।
আওয়ামী লীগ সরকারকে এ সত্যটি জেনে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভেঙে যাবে এবং নতুন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে—এই আশায় বসে না থেকে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপিকে কী করে তাদের অন্যায় আবদার না মেনে নির্বাচনে ডেকে আনা যায়, তার উপায় ও কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। সে জন্য দরকার হবে বর্তমানের কঠোর দমন নীতি থেকে সরকারের একটু সরে আসা। বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি একটু উদারনীতি গ্রহণ করা এবং তাদের বুঝতে দেওয়া নির্বাচনে অংশ নিলেই তারা লাভবান হবে, নইলে তাদের অস্তিত্বই সংকটাপন্ন হবে। বেগম জিয়ার জেল গমন সম্পর্কেও আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির মন্ত্রী-নেতাকে কটাক্ষ ও বিদ্রুপ করা থেকে বিরত রাখতে হবে। কারো কাটা ঘায়ে কখনো লবণ ছিটাতে নেই।
বাংলাদেশে বিএনপি, এমনকি জামায়াতেরও এখন আন্দোলন করার মতো শক্তি নেই, জনসমর্থনও নেই। বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে। এ ব্যাপারে তাদের মুখ রক্ষা করার ব্যবস্থা করে নির্বাচনে টেনে আনার মুখ্য দায়িত্ব সরকারের। কারণ তারা এখন ক্ষমতায়, রাজনৈতিক খেলার বলটিও এখন তাদের কোর্টে। এই বল নিয়ে তারা কোন দিকে ছুটবে, তার ওপর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে মনে রাখতে হবে, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বার্থেই আগামী সাধারণ নির্বাচনেও তাদের জয়ী হতে হবে এবং ক্ষমতায় থাকতে হবে। এটা এখন নির্ভর করছে তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার ওপর। (কালের কণ্ঠ থেকে সংগৃহীত)
লন্ডন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮