বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

মহিলাদের কামরা

মহিলাদের কামরা

ফজলুল হক, ০৫ মার্চ, এবিনিউজ : ছেলেরা রাজনীতি করে সুখ শান্তির জন্য। নেতা হলেই সুখী হওয়া যায় না। মানুষ চাইলেই সুখী হতে পারে না। সুখী হওয়া সহজ ব্যাপার নয়। চেষ্টা করলে এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূল হলে মানুষ ধনী হতে পারে। ধনী হলেই সে সুখী হয় না। সব ধনী সুখী নয়। সব ক্ষমতাধর মানুষ সুখী নয়। রাজনীতির ব্রড বেইজড লক্ষ্য (ব্যাপক লক্ষ্য) কি? কেন শিক্ষিতদের রাজনীতি করা উচিত? কেন ভাল মানুষদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসা উচিত? এসব কথা যদি আপনি ভাবেন– আপনি দেখতে পাবেন, আপনি যদি ‘দল করা’ এবং ‘রাজনীতি করা’ এক নয়। দুটোর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বের করতে চান, তাহলে আপনার মনে হবে, দল করার চাইতে রাজনীতি করা কঠিন। রাজনীতি করতে বড় একটা মন লাগে। ক্ষমতার জন্য অনেকে দল করেন। সত্যিকার নেতা মানুষকে সুখী করার জন্য রাজনীতি করেন। রাজনীতির উদ্দেশ্য কি?

(এক) রাজনীতির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত– মানুষকে মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে বাঁচতে দেয়া। মানুষের কণ্ঠ যাতে রোধ না হয়– সেটা নিশ্চিত করা। কণ্ঠস্বরহীন মানুষ রাজনৈতিক জীব নয়। পশু খামারের (এনিমেল ফার্মের) জীবরা রাজনৈতিক জীব নয়। লৌহ যবনিকার অন্তরালে মানুষকে আটকে রাখা রাজনীতি নয়। এজন্য গণতন্ত্রের প্রশ্নে মানুষ সোচ্চার হয়। গণতন্ত্র– রাজনীতির মৌলিক ভিত্তি হওয়া উচিত। আমি বলি, গণতন্ত্রই আমার জীবনের মূল মন্ত্র।

(দুই) অনাহারী, অভুক্ত মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ নিতে পারেনা। রাজনীতির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের অর্থনৈতিক আশা আকাঙক্ষা পূরণ করা। দেশ স্বাধীন হলেই জনগণ মুক্ত হয়না। শোষকবিহীন সমাজ নাই বললেই চলে। বৈষম্য বিহীন সমাজ তো দেখতে পাইনা। আর মুক্ত জনগোষ্ঠিকে কেউ পদানত করতে পারেনা। অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ, সমৃদ্ধি– রাজনীতির অপরিহার্য্য লক্ষ্য– হওয়া উচিত। শ্রেণিহীন সমাজ কল্পনায় আছে, বাস্তবে নাই। তবুও মানুষ আশা করে সমাজে শ্রেণি বৈষম্য না থাকুক।

(তিন) অতৃপ্ত জনগোষ্ঠী রাজনীতির জন্য বিপজ্জনক। ডিসকনটেন্ট– হেলাফেলা করার মতো বিষয় নয়। অতৃপ্ত মানুষ ‘মব’ (বিক্ষুব্ধ জনতা) তৈরি করে। তারা গসিপ্‌ কে (গুজবকে) উস্কে দেয়। ‘মব্‌–সাইকোলজি’ (উচ্ছৃংখল বিক্ষুব্ধ জনতার মনস্তত্ত্ব) কোন যুক্তি মানবেনা। তাই ‘মব্‌’ তৈরি না করা বুদ্ধিমানের কাজ। মানুষকে সমৃদ্ধ করা যায়, তবে সুখী করা কঠিন। সুখী করা যায় না– বলতে পারেন। যদি আপনি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মানুষকে সুখী করতে পারেন, তার চাইতে বড় সাফল্য আর কিছু হতে পারে না।

রাজনীতিবিদদের বোঝা উচিত– রাজনীতির লক্ষ্য তালিকায় তিনটি বিষয় আপনাকে রাখতেই হবে, গণতন্ত্র, সমৃদ্ধি এবং অতৃপ্ত মানুষকে তৃপ্ত করা। দলবাজি করা– রাজনীতি নয়। রাজনীতি করতে হলে দল লাগে। রাজনীতির উদ্দেশ্য হতে হবে কল্যাণ। চাই কল্যাণ রাষ্ট্র। রাষ্ট্রকে হতে হবে কল্যাণের ঝর্নাধারা। অসীম, অফুরন্ত কল্যাণ নাগরিকের মাথার উপর ঝরছে, এমনটাই চাই। রাজনীতি করতে কলিজা লাগে। দল বিলুপ্ত হলে– রাজনীতি বিলুপ্ত হয় না। মৌলানা ভাসানী হুজুরের ন্যাপ (ন্যাপ ভাসানী এবং ন্যাপ মোজাফ্‌ফর) দল হিসেবে অনেক কমজোর হয়ে গেছে, কিন্তু বাম রাজনীতি বিলুপ্ত হয় নাই। পাকিস্তানের জন্য আন্দোলন করা মুসলিম লীগ এক সময় আমাদের এই অঞ্চলে (পুর্ব পাকিস্তানে) প্রধান রাজনৈতিক দল ছিল। সে দল অনেক আগেই ত’কালীন পুর্ব পাকিস্তান বা বর্তমান বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কিন্তু ডানপন্থী, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ হয় নাই। যিনি রাজনীতি করেন উনাকে গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে, অর্থনৈতিক ভাবে দেশকে শক্ত করতে হবে। সুশাসন দিতে হবে। দূর্নীতি হঠাতে হবে। মানুষকে সুখী করার জন্য উনাকে কাজ করতে হবে। ডিক্টেটর বা স্বৈরাচারীরা কখনো জাতিকে সুখী করতে পারেনা। অনেক ডিক্টেটর জানেই না, সে যা করেছে, তা মানুষের অপছন্দ ছিল। বিশ্ব বেহায়ারা বড় গলায় কথা বলে।

মানুষকে সুখী করা কঠিন। সুখী হওয়া সহজ কাজ নয়। একথা শুনেছেন? ‘সুখে থাকলে ভুতে কিলায়?’ শত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থাকলেও একজন রাজনৈতিক নেতার পক্ষে আপামর জনতাকে সুখী করা কঠিন। সুখী হওয়া, না হওয়া মনস্তাত্বিক ব্যাপার। এটা মাইক্রো লেভেলে (ব্যষ্টিক পর্যায়ে) ঘটে। রাজনীতি ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা নয়, সামষ্টিক চিন্তা। তবে ব্যক্তি পর্যায়ের সমস্যাকে আপনি অবহেলা করতে পারবেন না। সুখে থাকলেও বিভিন্ন কারণে ব্যক্তির মনে অতৃপ্তি ভর করে। আপনার চার পাশে নেতিবাচক (নেগেটিভ) চিন্তার মানুষ আছে। তারা আপনাকে বুঝতেই দিবে না যে আপনি ভাল আছেন। আপনি সুখে আছেন। আপনি শান্তিতে আছেন। তারা আপনার ‘আছেটাকে’ দেখে না। ‘নাইটুকুকে’ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখায়। নেতিবাচক চিন্তার মানুষেরা আপনাকে প্রভাবিত করে– ‘আপনি ভাল নেই।’ লটর ফটর জীবন। এ জীবন অর্থহীন। তারা আপনাকে টানে– তারা অন্য পথে নিয়ে যায়। রাজনীতির এজেন্ডা হতে হবে– ব্যক্তি পর্যায়ে এই ‘অতৃপ্তি’ রোধ করা। আপনার মাথায়তো চিন্তা ঢুকাইতেছে, আপনিতো ভাবতেই আছেন, ‘আরে আমি তো সুখী নই?’ আরো সুখ চাই। আপনার যাপিত জীবনকে আপনি আরেক জনের ‘বিজ্ঞাপিত’ (যা সে প্রচার করে) জীবনের সাথে তুলনা করেন। আরে আমি কেন ‘সুফী মিজান’ হলামনা? আমি কেন ‘মাসুদ’ হলাম না? আপনি সুখহীনতায় ভোগেন। এটা ‘অ–সুখ।’ এর জন্য রাজনীতিতে ‘ট্রিটমেন্ট’ থাকতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় এর ট্রিটমেন্ট ঢোকানোর দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের, যারা ক্ষমতায় থাকেন। পাবলিক ইনস্ট্রাকশন নিয়ে ভাবা রাজনৈতিক নেতার কাজ। আপনি যখন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি করতে সংসদে যাচ্ছেন। কেন জনগণ আপনাকে তাদের প্রতিনিধি বানাচ্ছে। আপনার দলের রাজনৈতিক ইশতেহার তো আছে, আপনার নিজের ও একটা প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকতে হবে। আপনার মাইন্ডসেটে গণমানুষের কথা থাকতে হবে।

যারা আপনার রাজনৈতিক কর্মী, যারা আপনাকে ভোট দেয় তাদের মনস্তত্ব আপনাকে বুঝতে হবে। আপনার যারা কর্মী তাদের আলাদা ব্যক্তিত্ব আছে, তাদের ব্যক্তিত্বের নিজস্ব ধরণ আছে। এদের মধ্যে ‘টাইপ–এ’ পার্সোনালিটি থাকতে পারে। প্রত্যেক দলে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি অন্য সকল দলে কোন্দল কনফ্লিক্ট আছে। ছাত্র সংগঠনগুলোতে কোন্দল আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতি অসহ্য হয়ে উঠেছে। এটার মনস্তাত্বিক দিক আছে। পার্সোনালিটি–এ টাইপ লোক কোন কিছুতেই তৃপ্ত হয় না। সবকিছুতে সে সেরা হবে। প্রেমে, পরীক্ষায়, ব্যবসাতে, ক্ষমতার রাজনীতিতে সে সবার আগে থাকবে। তার বাসনা সে হবে (এ–১) এ– ওয়ান। এটা মিডল ক্লাস সেন্ট্রালাইজেশন। তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি পরিচালিত হবে। এই সব বাসনা– তাদের সুখ কেড়ে নেয়। তারা নিজের এবং অন্যের সুখ কেড়ে নেয়। এরা রাজনীতির বারটা বাজাচ্ছে– এটা রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুঝতে পারে না। আমরা ষাটের দশকে যখন ছাত্র রাজনীতি করি, তখন রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য রাজনৈতিক ক্লাসের আয়োজন করা হতো। আমি নিজে রাজনৈতিক ক্লাসে অংশ নিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আবার রাজনৈতিক ক্লাসে বক্তব্য ও দিয়েছি। স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের যারা সদস্য ছিলেন, আপনি চিন্তা করে দেখুন, কি করে কোন লাভের আশা ব্যতিত দেশ স্বাধীন করার জন্য আত্মাহুতি দিতে তারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিল? ছাত্রলীগের মতো একটি সংগঠন কি যাদুমন্ত্র বলে, বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৬ দফা বাস্তবায়ন করতে জীবনপণ করে মাঠে নেমেছিল? আজ সে রাজনীতি কোথায়? এখন আপনারা নিজের জীবনের জন্য নির্ধারণ করা লক্ষ্য ক্ষনে ক্ষনে পাল্টান। অনেকে আজ এক ধরনের ব্যক্তিত্ব সংকটে ভোগেন। অস্তিত্বের সংকটে ভোগেন। সঠিক লক্ষ্য স্থির করতে পারেন না। সুখ, সোনার হরিণ, তার পেছনে ছোটেন। নিজের অর্জন করা সাফল্য এবং সুখ– পথে ঘাটে হারিয়ে ফেলেন। এখন রাজনীতি এক অদ্ভুদ ধাক্কায় কাৎ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা মাথা খাটান। কেন তরুণরা আপনাদের কথা অমান্য করছে। কেন ছাত্র রাজনীতির নামে মারামারি, চান্দাবাজি, রাহাজানি হচ্ছে? মোশারফ ভাই সরকারের একজন প্রবীণ মন্ত্রী। বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। একজন দু’সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য তিনি পেয়েছেন। সকলের মুরুব্বী যিনি। পত্রপত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উনার দু’হাত জোড় করা ছবি দেখে আমার চোখে পানি এসেছে। ছাত্রলীগকে উনি বলেছেন, বিশৃংখলা থামাও। ছাত্রলীগ থামেনি। যা ইচ্ছা তা করার নাম রাজনীতি? মোশারফ ভাইকেও মানলোনা? ছাত্রলীগ যা করছে তারা জনগণকে সুলতান সুলেমান বাদশাহ এর প্রজা ভাবছে। স্বেচ্ছাচারিতা অপরাধ। জনগণ জড় পদার্থ নয়।

আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের আর কি চাওয়া থাকতে পারে? মোশারফ ভাইকে কেন হাত জোড় করে মিনতি করতে হলো? সুখের এবং প্রাপ্তির সংজ্ঞা বুঝতে কি তরুণদের কিছু একটা অসুবিধা হচ্ছে? ক্ষমতায় থেকেও, সুখে শান্তিতে থেকেও আপনারা নিজেদের অন্তর্দৃষ্টির অভাবে অসুখী অতৃপ্ত বোধ করতে থাকেন। আপনাদের কৌতূহল জাগে। কৌতূহল বশে সাময়িক মজা পেতে এডভেঞ্চারে নামতে চান। সাময়িক মজা পেতে চান। কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ করে পেলেন। কেন নিজেদের সুখ নষ্ট করছেন?

ছাত্র রাজনীতি থেকে কি নীতি আদর্শ দূরে সরে গেছে? ছাত্র নেতারা কি ভবিষ্যত রাষ্ট্র নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন না? নাকি– তারা তাদের মূল দলের অর্থাৎ আওয়ামী লীগ নেতাদের কোন্দলের শিকার? এই প্রশ্নের উত্তর আওয়ামী লীগকেই দিতে হবে। ক্ষমতা কারো মৌরুশী পাট্টা নয়। চিরস্থায়ীও নয়। আজকের ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে তৃপ্ত হওয়ার, কনটেনটেড হওয়ার, সুখী হওয়ার, প্লিজ্‌ড হওয়ার সব উপাদান আছে। তাদের মূল দল দেশ চালাচ্ছে। আমরা যখন ছাত্রলীগ করেছি, তখন আমরা কেবল তৎকালীন সরকারের মার খেয়েছি। ষাটের দশকে অবস্থা কি ছিল খবর নিয়ে দেখুন। ছাত্রলীগের জন্য, ছাত্র ইউনিয়নের জন্য তখন মানুষের অনেক ভালবাসা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ আমাদেরকে বুকে আগলে রেখেছে। এখন অবস্থা কি? আজকের ছাত্রদের সামনে আনন্দিত হওয়ার সব উপাদান থাকা সত্ত্বেও আজকের তরুণরা উচ্ছৃংখল। তার আবেগ তাকে বিপথগামী করছে। সময় এবং সম্পদের উপর, তার ভবিষ্যত সম্ভাবনার উপর সে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। সে নিজেকে অসুখী ভাবছে। সে তার আবেগের অস্বাভাবিক প্রকাশ ঘটাচ্ছে। সে–সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পাছেনা। সম্পদের অপচয় করছে। এখন রাজনীতি সুখী ছেলেকে অসুখী করছে।

রাজনীতিতে দু’একটা ‘মাথা গরম’ যুবক থাকবে না এমন কোন কথা নাই। এক লোক ট্রেনের কামরায় বসা মেয়েদের হাতে, গালে, পিঠে, বুকে সমানে কামড়াচ্ছে। পুলিশ তাকে ধরে প্লাটফরমে নিয়ে আসে। তুমি কে? আমি কলেজের ছাত্র। মেয়েদের কামড়াচ্ছ কেন? সে বলে, ওই খানে দেখুন। বলে, সে রেলের কামরার দিকে আংগুল তুলে দেখায়। ট্রেনের বগি বা কামরায় প্রবেশ পথে বড় বড় অক্ষরে লেখা– ‘মহিলাদের কামরা’ তার লেখাপড়ার মান সম্পর্কে বুঝুন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে ভাবুন। তার বুদ্ধি শুদ্ধি সম্পর্কে মন্তব্য করুন। এদের হাতেই এই দেশ পরিচালনার ভার আমরা দিয়ে যাব। ছাত্ররা যেখানে, মারামারি সেখানে। এরাই কি আমাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ক? আগামী দিনে তরুণরা– মানুষকে কামড়াবে?

লেখক : সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ। অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

(সংগৃহীত)

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত