বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • অপরাধ
  • শরীয়তপুরে তালা মেরে রাখা হয় ভাটা শ্রমিকদের!

শরীয়তপুরে তালা মেরে রাখা হয় ভাটা শ্রমিকদের!

শরীয়তপুরে তালা মেরে রাখা হয় ভাটা শ্রমিকদের!

শরীয়তপুর, ০৯ মার্চ, এবিনিউজ : লেবার সরদার পালিয়ে যাওয়ার অজুহাতে শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এইচ.কে.বি ব্রিক্স নামের একটি ইট ভাটায় শিশুসহ ২১ জন শ্রমিককে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত দুই মাস ধরে বেতন না দিয়ে এসব শ্রমিকদের একটি ঘরের মধ্যে আটকে নির্যাতন করে কাজ করতে বাধ্য করারও অভিযোগ রয়েছে ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার স্থানীয় সংবাদকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে এসব অভিযোগ করে ইটভাটার কর্মরত শ্রমিকরা। তবে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে ভাটার মালিকদের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী লেবার সরদারের মাধ্যমে দাদনের টাকা দিয়ে শ্রমিকদের কাজ করানো হচ্ছে।

শ্রমিকরা জানায়, গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্দা উপজেলার বড়খাতা গ্রাম থেকে ইটের ভাটার কাজের জন্য দেড় বছরের দুইটি শিশুসহ ২১ জন শ্রমিক কাজে আসেন শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার শিধুলকুড়া ইউনিয়নের বড় শিধুলকুড়া গ্রামের তালতলায় মেসার্স এইচ. কে. ব্রিকস্ নামে একটি ইটের ভাটায়। চুক্তি অনুযায়ি ভাটার তিন সরদার- মোতালেব, খলিল ও জাহাঙ্গীর মিলে এই সব শ্রমিকদের জনপ্রতি ৪০ হাজার টাকা দাদন দিবে বলে আশ্বাসে কাজ শুরু করে শ্রমিকরা। কিন্তু গত ডিসেম্বর মাসে লেবাররা দাদনের টাকা না পেয়ে ভাটার সরদারদের চাপ দেয়। একপর্যায়ে হঠাৎ করে ভাটার সরদাররা মালিকদের কাজ থেকে লেবারদের দাদনের টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার অজুহাতে গত দুই মাস ধরে এই ইটভাটার মালিকদের কাছে অসহায় হয়ে ভাটায় কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ শ্রমিকদের ।

এদের অভিযোগ, ইটভাটার মালিক মনরঞ্জন দাস ও পলাশ কর্মকারের হুকুমে লেবারদের রাতের বেলা শিকল দিয়ে বেধে রাখে ভাটায় দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। সারাদিন কাজ শেষে টাকা চাইলেও মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ তাদের।

এছাড়া এ ইট ভাটা জিম্মি শ্রমিকদের টাকা ও তিন বেলা খাবার না দিয়ে তাদের স্ত্রী-সন্তানদেরও ইট তৈরির কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। তাই এসব শ্রমিকরা ইট ভাটা থেকে মুক্তি না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করেছে।

এদিকে মেসার্স এইচ. কে. ব্রিকস্ নামের এই ভাটার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার আলম বেপারি শ্রমিকদের আটকে রাখার কথাটি অস্বীকার করে সরদার দাদনের টাকা দেয়ার হয়েছে জানিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে শ্রমিকদের আটকে রাখার ঘটনাকে মানব অধিকার লংঘন বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক এড. মাসুদুর রহমান মাসুদ।

এদিকে এসব শ্রমিকদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনআনুক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন নবগত জেলা প্রশাসক।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত