![গাধাদের সাথে বন্ধুত্ব করবেন না](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/19/fazlul-haq_131170.jpg)
ফজলুল হক, ১৯ মার্চ, এবিনিউজ : নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, মহাবীর আলেকজান্ডার– ইনারা মহাশক্তিধর শাসক ছিলেন। ইতিহাসে বহু নৃপতির দেখা মেলে, যাদের শৌর্য্য, বীরত্ব, ক্ষমতার দাপট এখন অনুমান করাও কঠিন। অটোমান সম্রাট সুলতান সুলেমানের বাহিনী আমরা টেলিভিশনে দেখি। মোগল সম্রাট বাবর, আকবরের বীরত্বের ইতিহাস আমরা পাঠ্য বইয়ে পড়েছি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ূব খান, ইয়াহিয়া খানের দুঃশাসনের ভুক্তভোগী আমরা। বিপরীতে আমরা দেখি জ্ঞানীদের নম্রতা, তাদের মধ্যে অনেকে জীবন জীবিকার জন্য বা পদক, পুরস্কারের লোভে শক্তিধরদের কাছে নতি স্বীকার করেছেন। অনেকে তা করেননি। প্রতিভাবানরা বিরল। তারা পাদপ্রদীপের সামনে যাবার রাস্তা পায়না। আসতে চায়ও না। প্রতিভাবান সে– যেই হোন, কখনো নতি স্বীকার করে না। কোন কারণে সে মাথা নত করেনা। প্রতিভা– পদলেহন করতে জানেনা। প্রতিভাবানরা বিনয়ী হন কিন্তু দৃঢ়। এইযে আমরা এখানে বসে আছি, আমরা খাই দাই, মায়ের ভাষায় কথা বলি, স্বাধীনভাবে চলি, এজন্য আমাদের উচিৎ দৃঢ়চেতা, চির উন্নত মম শির মানুষদের কৃতজ্ঞতা জানানো। এক মহাবীর খবর পেলেন উনার রাজ্যের এক প্রত্যন্ত এলাকায় একজন জ্ঞানী বাস করেন। মহাবীর স্থির করলেন তিনি জ্ঞানীর সাথে সাক্ষাত করতে যাবেন। মহাবীর সেখানে গিয়ে দেখতে পেলেন জ্ঞানী লোকটি একটি পাইপের উপর বসে রোদ পোহাচ্ছেন। মহাবীরের সৈন্যরা বল্লেন, ওহে জ্ঞানী? দেখতে পাচ্ছো কে এসেছেন? এখন তুমি কিছু প্রার্থনা কর, আমাদের প্রভু মহাবীরের কাছে। তুমি কিছু একটা চাইতে পার। জাহাপনা তোমার সব অভাব দূর করে দেবেন। জ্ঞানী লোকটির গায়ে দামি জামা কাপড় ছিলনা। প্রচণ্ড শীত থেকে বাঁচার জন্য উনি রোদে বসেছিলেন। বল্লেন, জাঁহাপনা? আমি যা চাইব তা আমাকে দিবেন? মহাবীর বল্লেন, অবশ্যই দিব। জ্ঞানী লোকটি বল্লেন, তাহলে জনাব আপনি দয়া করে সরে দাঁড়ান। আপনি এমনভাবে দাঁড়িয়েছেন, আপনার শরীরের এবং আপনার সৈন্যদের শরীরের ছায়া আমার গায়ে পড়েছে। তাতে আমি রোদের উত্তাপ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আপনি সরে দাঁড়ান। এইটুকু দয়া ছাড়া আমি আর কিছু চাইনা। আমার টাকা পয়সার কোন প্রয়োজন নাই। (আমরা আমাদের মহান শাসকদের কাছে কিছু চাই না। কিছু চাওয়ার বয়স নাই।)
এক বাদশাহ উনার উজিরকে বল্লেন, বলতো, আমার সাম্রাজ্যে মানুষ কেন অসুখী? আমার এত সম্পদ, আমি সকল প্রজাকে সাধ্যমত সম্পদ বিলি বণ্টন করে দিই। তারপরও মানুষ কেন অতৃপ্ত? উজির বল্লেন, মানুষকে আপনি কোটি কোটি টাকা দেন, তবুও সে অসুখী থাকবে। কোন কিছুতেই সে সুখী হবে না। রাজা বল্লেন, এর কারণ কি? উজির বল্ল, জ্ঞানের অভাব। রাজা বল্লেন, তার প্রমাণ কি? উজির বল্লেন, মহারাজ আপনি একটি থলেতে ১০০ স্বর্ণমুদ্রা ভরুন। সেখান থেকে একটি স্বর্ণমুদ্রা সরিয়ে ফেলুন। তারপর থলেটি বেঁধে, মুখে লিখে দিন ১০০ স্বর্ণমুদ্রা। এবার থলের মুখ বন্ধ করে আপনার সেনাপতির ঘরের সামনে রেখে দিন। ভোর বেলায় ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সেনাপতি দেখলেন একটি থলে পড়ে আছে। উনি সেটি হাতে নিলেন। খুললেন। ভেতরে স্বর্ণমুদ্রা। গুনলেন। খুব খুশি হলেন। ৯৯ টি স্বর্ণমুদ্রা। খাঁটি। নির্ভেজাল। আল্লাহ সব দেতা হ্যায়, ছপ্পর ফাড়কে দেতা হ্যায়। ৯৯ তোলা সোনা ঘরের দুয়ারে। থলের মুখে একটি স্টিকার। তাতে লেখা ১০০টি স্বর্ণমুদ্রা। তার মানে থলেতে একটি মুদ্রা কম। নিশ্চয় কেউ মেরে দিয়েছে। কে মেরে দিয়েছে? রাজ সেনাপতির ঘরের সামনে কে এসেছিল? সেনাপতি ঘরের চাকর বাকর নফরদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন। কে একটি স্বর্ণমুদ্রা চুরি করেছ? জলদি কবুল কর। সৈন্যরা হারানো স্বর্ণমুদ্রা খুঁজতে তৎপর হলো। উজির ও বাদশাহ আড়ালে বসে সব কিছু লক্ষ্য করলেন। উজির বল্লেন, হুজুর? মুফতে ৯৯টি স্বর্ণমুদ্রা পেয়ে সেনাপতি খুশি নয়। একটি স্বর্ণমুদ্রার জন্য তিনি অতৃপ্ত। আল্লাহ মানুষকে অনেক নেয়ামত দান করেছেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে মানুষ আরো দু একটি তোহফা পাবার জন্য হয়রান হয়। যা পায়না তার জন্য মানুষ পাগল। মহারাজ এই মানুষকে আপনি কি ভাবে তৃপ্ত করবেন? কিছু মানুষ আছে দুনিয়ার সকল সম্পদ পেলেও সে তৃপ্ত হবেনা। তারা গাধাদের দলে। জ্ঞানীরা অল্পে তুষ্ট হয়। আমি জ্ঞানীদের কথা বলব বলে– এই ভূমিকা দিয়েছি। কিন্তু গাধার ব্যাপারে শেষ কথাটা বলে নিই। এটি পেয়েছি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। (এডভোকেট রাশেদ) ফেসবুকে সুন্দর জোক দিয়েছেন। আমার দুঃখ হলো, যা নাই, তার জন্য আমরা পাগল হই। আমরা গাধা। প্রিয় আইনজীবী এই জোকটি পোস্ট করেছেন। (ঈষৎ পরিবর্তিত)
ঘাসের রং কি? শেয়াল বল্ল, সবুজ। গাধা বল্ল, লাল। ঘাসের রং লাল? বিচার গেল বাঘের কাছে। বিচার করে বাঘ বল্ল, গাধাকে এক মাসের জন্য অন্তরীণ করো। বাঘ অবাক হলো, ঘাসের রং লাল নাকি? শালা গাধা। গাধা তো গাধাই। গাধা গিয়ে সিংহের কাছে আপীল করলো। আমাকে কেন এক মাস অন্তরীণ রাখা হবে? আমার কি দোষ? অন্তরীণ করলে আমাকে কোথায় রাখা হবে? কর্াশিমপুরে? না, বখশি বাজারে? আমাকে ডিভিশন দেয়া হবে কি? সিংহ বল্ল, গাধাকে ছেড়ে দাও। সে মুক্ত হোক। আর শিয়ালকে এক মাস অন্তরীণ রাখো। কাশিমপুরে না। বখশী বাজারে না। ডিভিশনও না। একেবারে প্রত্যন্ত বনে নিয়ে যাও। শেয়াল বলে, মামা? সিংহ জবাব দেয়, হুঁ, ভাগ্নে? ঘাসের রং কি? সিংহ বলে, সবুজ। মামা, তাহলে আমাকে শাস্তি দিলা কেন? সিংহ বলে, তোকে তো ভুল উত্তরের জন্য শাস্তি দিই নাই। তাহলে কি কারণে মামা শাস্তি দিলা? সিংহ বলে, গাধার সাথে তর্ক করছস সে জন্য। কোন জ্ঞানী গাধার সাথে তর্ক করে? করলে শাস্তি অনিবার্য। বুঝছ ভাগ্নে?
স্টিফেন হকিং– উনার নাম শুনেছেন? নিশ্চয় শুনেছেন। উনি বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী। তবে স্টিফেন উইলিয়াম হকিং বিখ্যাত হওয়ার বহু আগে থেকে আরেক বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ড. জামাল নজরুল ইসলামের বন্ধু ছিলেন। জামাল নজরুল চট্টগ্রামের মানুষ। তিনি ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাট বেতনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যোগ দেন। এরকম একজন দুজন জ্ঞানী মানুষ পুরো চট্টগ্রামের ইমেজ বদলে দিয়েছে। জ্ঞান বিজ্ঞানে চট্টগ্রাম গ্লোবাল স্টান্ডার্ড– এ উঠাবসা করতে পারে। হকিং এর ডাক নাম স্টিভ। জামাল নজরুল এবং সুরাইয়া থাকতেন কেমব্রিজের ১২ বোয়ার্স ক্রফটে। জামাল নজরুল ইসলাম এবং সুরাইয়া নৈশ ভোজে স্টিভ ও জেন ওয়াইল্ডকে ডাকতেন। স্টিভের বাড়ি ছিল, কেমব্রিজের নিউ হ্যাম কলেজের সড়কে। ওই বাড়িতে জামাল নজরুল যেতেন পরিবারসহ। শুনেছি ওই বাড়ির বাগান ছিল দেখার মতো। বাড়ির সুন্দর আঙ্গিনা গাছে ছাওয়া। জ্ঞানীদের নিবাস থাকে ভালবাসার প্রাচুর্য্যে উষ্ণ। সদা হাসি খুশিতে ভরা। অতৃপ্তি, অশান্তি সেখানে খেলা করেনা। স্টিভ এর ছেলে রবার্ট হকিং, জামাল নজরুলের ছেলে সাদাফ, স্টিভের মেয়ে লুসি এরা ছিল সমবয়সী। জামাল নজরুলের ছেলের লেখা একটা নিবন্ধ পড়েছি। সাদাফ বলেছেন, মিড্ ওয়েলস এর গ্লেগানগে সম্মেলনে আমরা যখন যাই, তখন আমার বয়স ৯/১০। সুন্দর প্রাসাদোপম বাড়িটাতে সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জামাল পরিবারের বাচ্চারা ছিল। চড়ুই ভাতির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছোটদের কাছে ব্যাপারটি ছিল মনোরম দৃশ্যপটের ভেতরে ছুটি কাটানোর মতো। ওই এলাকা ছিল পাহাড়ি। প্রচুর গাছ ছিল। ছিল হ্রদ। সাদাফ লিখেছেন, স্টিভের (হকিং) ছেলে রবার্ট একটা রাবারের ডিঙ্গি সংগ্রহ করেছিল। এটা একটি নৈমিত্তিক ছুটির মতো ব্যাপার ছিল। ছুটির দিনের মতো পদার্থবিদদের সন্তানেরা জানেন, সম্মেলন বা যেখানে যেখানে তাদের বাবা মায়েদের পক্ষে সমপর্যায়ের ব্যক্তিদের সংগে (পদার্থ বিদ্যা) নিয়ে কথা বলা সম্ভব, সেসব জায়গা ছাড়া তাঁদের সাধারণ কোন ছুটির দিন থাকে না। আমার অনেক আগ্রহ আছে হকিং এর মেয়ে যে শিশু সাহিত্য নিয়ে কাজ করে, লুসি হকিং, হকিং এর ছেলে রবার্ট হকিং এবং আমার প্রিয় জামালের ছেলে সাদাফ সম্পর্কে আরো বেশি করে জানার।
আমার নাতি আমার সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকে। তার বয়স ছয় এবং সে শিশুদের ক্লাসে পড়ে। বয়সের তুলনায় পাক্কা। আমার বাসার এক পাশে ড. আলাউদ্দিনের বাসা। অন্য পাশে ড. মুনিরের বাসা। দুজনেই বিজ্ঞানী। মুনির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান। আলাউদ্দিন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। পর পর দুই মেয়াদে কাজ করে যাচ্ছেন ড. আলাউদ্দিন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসাবে। তিনি ডেপুটেশনে থাকায় মূল চাকরিস্থলে চবিতে উনার বাসা। বিজ্ঞানীরা কেমন উদার হয় দেখুন। আমার নাতি বাগানে ড. আলাউদ্দিনকে দেখে প্রশ্ন করে, দাদা? তুমি কি আমার দাদার বন্ধু? ড. আলাউদ্দিন জবাব দেন, না না তোমার দাদা, আমার বড় ভাই। (দেখুন, কেমন মহৎ মন বিজ্ঞানীদের।)
চাটগাঁর মরতবা বুঝতে পারছেন? ড. জামাল নজরুলেরা চাটগাঁকে কোন্ হাইটে নিয়ে গেছেন? কেমব্রিজ এবং চট্টলা পাশাপাশি বসতে পেরেছে স্টিভ এবং জামালের জন্য। সাদাফ এবং লুসিও রবার্টের জন্য। জেন ওয়াইল্ড ও সুরাইয়ার জন্য। আমরা চাটগাঁইয়ারা কি কখনো ভেবে দেখেছি, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের দিক থেকে আমরা কত উন্নত? আমাদের চট্টগ্রামে কত উপাচার্য আছেন? ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, প্রফেসর মান্নান, ড. আবু ইউসুফ আলম, প্রফেসর নুরুদ্দিন চৌধুরী, ড. মোহীত উল আলম, ড. অনুপম সেন, প্রফেসর সিকান্দার খান, (প্রো–ভিসি) ড. শিরীণ আখতার, (প্রো–ভিসি) ড. শামসুদ্দিন, (ভিসি) ড. করিম, ড. আলমগীর সিরাজউদ্দিন– ড. সোলায়মান, প্রফেসর মান্নান ইউজিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে চট্টগ্রামের এই অগ্রসরমান অবস্থান কেন আমরা অনুভব করতে পারি না?
স্টিফেন হকিং বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী, উনার মেয়ে লুসি হকিং এবং বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের ছেলে সাদাফ কেমব্রিজের পার্স স্কুলে পড়ত। লুসি বয়সে কিছুটা ছোট। সাদাফ একজন কবি। তার মা বাবা এমনকি স্টিভ– সংগীত অনুরাগী ছিলেন। সাদাফ ঢাক লিট ফেস্টের পরিচালক। সাদাফ লিখেছেন, অনেক বছর পর ওয়েলস এ হে ফেস্টিভেলে লুসির সাথে আমার দেখা হয়। ততদিনে লুসি শিশুসাহিত্যিক হয়ে উঠেছে। তার বাবা স্টিফেন উইলিয়াম হকিং এর সাথে মিলে লুসি বিজ্ঞান ও বিশ্ব নিয়ে লিখছে। শুনে রোমাঞ্চিত হয়েছি।
নতুন প্রজন্মের শিশুরা রূপকথার গল্প শুনতে চায়না। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক। শিশুদের মনে লেখার মাধ্যমে বিজ্ঞানের বিস্ময় জাগাতে চাই। বিজ্ঞানের উদ্দীপনা দরকার। জ্ঞানের সাধনা দরকার। কি ভাবে কি হয়? এটাই শিশুর প্রশ্ন। পৃথিবী ও মহাবিশ্ব কেমন? বিজ্ঞানের প্রতি শিশুর এই আবেগ বুঝতে হবে। জামাল নজরুল এটি বুঝতেন। হকিং এটা বুঝতেন। এই অনুভূতি চট্টগ্রামের শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক এটা চাই। শিশুদের বিজ্ঞান লেখক ছিলেন চাটগাঁর জামাল এবং কেমব্রিজের স্টিভ। অবাক ব্যাপার না? চাটগাঁ কত উপরে?
চট্টগ্রামের সকল শিশুসাহিত্যিক, কবি সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, জ্ঞানী, বিজ্ঞানীকে বলব, আপনারা কিছু করতে পারবেন। আপনারা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করুন। আমি তত জ্ঞান রাখিনা। আপনারা রাখেন। জ্ঞান অপরাজেয়। তবে গাধাদের সাথে বন্ধুত্ব করলে তার কোন দাম থাকে না। যা আপনি পান নাই, তার জন্য উতলা না হয়ে, যা পেয়েছেন, তা কাজে লাগান।
লেখক : সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
(সংগৃহীত)