বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ : তোফায়েল আহমেদ

যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ : তোফায়েল আহমেদ

ঢাকা, ২৫ মার্চ, এবিনিউজ : আজ ২৫ মার্চ সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ অনুযায়ী বাঙালি নিধনে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। পাকিস্তান এখনো মনে করে, সেদিন তারা সঠিক কাজটি করেছিল। পাকিস্তানের জুনায়েদ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি ‘ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ : মিথস এক্সপ্লোডেড’ শিরোনামে একটি বই লিখেছে। যে বইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দোষারোপ করা হয়েছে এই বলে যে ২৫ মার্চের গণহত্যার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা দায়ী। তারাই নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে।

স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনাসভার কথা। সেই অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম প্রধান অতিথি। সেখানে শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন এই দিনটিকে কেন আমরা ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করি না সে প্রশ্ন তুলে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। সেদিনের সভায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনসহ দুজন বিদেশি উপস্থিত ছিলেন। সেদিন তাঁরা এই দিনটির যে চিত্র তুলে ধরেছিলেন তাতে আমি বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছি এই ভেবে যে কেন আমরা দিনটিকে এত দিন গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করিনি। আমি অকপটে স্বীকার করি ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত আরো আগেই নেওয়া উচিত ছিল। বহু কারণে এটি সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। সভাস্থলে জুনাইদ আহেমদ লিখিত বইটির পাতা উল্টে যখন দেখছিলাম তখন বিস্মিত হয়েছি এই ভেবে যে কিভাবে মিথ্যাচার করা হয়েছে! বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন পত্রিকায় একাত্তরের গণহত্যার যেসব ছবি মুদ্রিত হয়েছিল, সেসব ছবি বইটিতে সংকলিত হয়েছে এবং প্রতিটি ছবির নিচে লেখা হয়েছে এসব হত্যাকাণ্ড মুক্তিযোদ্ধাদের সৃষ্ট। বইটিতে আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসের এসব মিথ্যাচার দেখে আমার মন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং সেদিনই জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগদান করে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিষয়টি উত্থাপন করি এবং উক্ত বই থেকে উদ্ধৃত করে বক্তৃতায় বলি, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হোক। সেদিন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেন এবং একটি দিন নির্ধারণ করে আলোচনার জন্য প্রস্তাব করলে তা গৃহীত হয়। মাননীয় স্পিকার ১১ মার্চ শনিবার আলোচনার দিন নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত দিনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস প্রস্তাবের ওপর ৫৬ জন এমপি দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার পূর্বে পিনপতন নীরবতার মধ্যে গণহত্যার ১৮ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। নৃশংসভাবে খুন হয়ে যাওয়া নারী-পুরুষ-শিশুর লাশ দেখে জাতীয় সংসদে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে পাকিস্তানসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করে দীর্ঘ ২৫ মিনিট আবেগাপ্লুত বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আরো উন্নত হচ্ছে। কোনো অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করব না।’ অতঃপর সর্বসম্মতক্রমে রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত মহান জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।

পাকিস্তান একাত্তরের গণহত্যাকে ভিন্ন খাতে চালিত করার জন্য যে অপকর্ম করে থাকে, দুঃখজনক হলেও এ কথা সত্য যে এ জন্য আমাদের দেশের কতিপয় রাজনৈতিক নেতা দায়ী—বিশেষ করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। যেদিন তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেছেন, ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে তাঁর প্রশ্ন আছে—সেদিন থেকে পাকিস্তান এসব লেখাপত্র প্রকাশ করতে সাহস পেয়েছে। অথচ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ যে শহীদ হয়েছে তার অকাট্য প্রমাণ বহন করছে তৎকালে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো। অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকা হেরাল্ড ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুসারে ২৫ মার্চ রাতে শুধু ঢাকা শহরেই এক লাখ লোককে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন একাত্তর সালে। তিনি পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে সরাসরি গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করেন। ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞকে ২০ শতকের পাঁচটি ভয়ংকর গণহত্যার অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের ড্যান কগিন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক, একজন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেনকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘We can kill anyone for anything. We are accountable to no one.’ বিশ্বখ্যাত এই পত্রিকাটির একটি সম্পাদকীয় মন্তব্য ছিল, ‘It is the most incredible, calculated thing since the days of the Nazis in Poland’ আন্তর্জাতিক মহলের মতে একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘তিন মিলিয়ন’ বা ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে। এই সংখ্যার সমর্থন রয়েছে Encyclopedia Americana এবং National Geographic Magazine-এ। এসব রিপোর্টে লেখা আছে, বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ডে নাৎসি বাহিনীর বর্বরতার চেয়েও ভয়াবহ। এই গণহত্যা সম্পর্কে পাকিস্তানি জেনারেল রাও ফরমান আলী তাঁর ডায়েরিতে লিখেছেন, ‘Paint the green of East Pakistan red’, অর্থাৎ তিনি বাংলার সবুজ মাঠকে লাল করে দেবেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত হেরাল্ড ট্রিবিউন একাত্তরের জুন ১ তারিখে লিখেছে, ‘পাকিস্তানের গণহত্যা থেকে রেহাই পেতে লাখ লাখ উদ্বাস্তু মুসলমান এবং অন্যরা স্রোতের মতো ভারতে চলে আসছে।’ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর এক মাস পর ২৬ এপ্রিল নিউজউইক লিখছে, ‘ইসলামাবাদ হাইকমান্ডের নির্দেশে সৈন্যরা পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থী, প্রকৌশলী, চিকিৎসক এবং নেতৃত্ব প্রদানে সম্ভাবনাময় এমন সব লোককে পাইকারি হারে হত্যা করছে।’ রবার্ট পেইন তাঁর ‘Massacre’ গ্রন্থে ইয়াহিয়া খানকে উদ্ধৃত করে লেখেন, ‘Kill three million of them and the rest will eat out of our hands..’ ১৯৮১ সালে জাতিসংঘের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, Among the genocides of human history, the highest number of people killed in lower span of time is in Bangladesh in 1971. An average of 6000 (six thousand) to 12000 (twelve thousand) people were killed every single day. …This is the highest daily average in the history of genocides…’. সুতরাং খালেদা জিয়া বা তাঁর দোসররা যতই একাত্তরের গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বিতর্কিত করে অস্বীকার করার চেষ্টা করুক না কেন তাতে কোনো লাভ হবে না। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে গণহত্যা তদন্তে পাকিস্তানে যে ‘হামুদুর রহমান কমিশন’ গঠিত হয়েছিল, সেই কমিশন তাদের রিপোর্টে বাংলাদেশে গণহত্যার কথা স্বীকার করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কথা বলেছে।

বিলম্বে হলেও আমরা একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে প্রতিবছর পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মার্চের ২৫ থেকে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত কালপর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালি নিধনে ৯ মাসব্যাপী বর্বর গণহত্যা পরিচালনা করে। অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশায় ঢাকার চারটি স্থান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য ছিল। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এবং তৎকালীন পিলখানা ইপিআর (বর্তমান বিজিবি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দসহ ইকবাল হল (বর্তমানে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হলের অনেক ছাত্রকে হত্যা করা হয়। ঢাকার এই চারটি স্থান ছাড়াও রাজশাহী, যশোর, খুলনা, রংপুর-সৈয়দপুর, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম ছিল অপারেশন সার্চলাইটের আওতাভুক্ত এলাকা। ২৫ মার্চ বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘কালরাত’ হিসেবে আগে থেকেই চিহ্নিত। একাত্তরের ২৫ মার্চ দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। মনে পড়ে, ২২ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে সাবেক বাঙালি সৈনিকদের সঙ্গে বৈঠকে কর্নেল ওসমানী সাহেব বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেন, ‘ডু ইউ থিংক দ্যাট টুমরো উইল বি এ ক্রুশিয়াল ডে?’ বঙ্গবন্ধু জবাবে বলেন, ‘নো, আই থিংক, ইট উইল বি টোয়েন্টি ফিফথ।’ তখন ওসমানী সাহেব পুনরায় তীক্ষ স্বরে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘কাল তো তেইশে মার্চ। পাকিস্তান দিবস। সে উপলক্ষে ওরা কি কিছু করতে চাইবে না?’ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ওরা যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু করতে পারে। তার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। আসলে আমরা যতটা এগিয়ে গিয়েছি এবং সেই সঙ্গে শঙ্কাও বোধ করছি। সে কারণে ওরাও কম শঙ্কিত নয়। ওরা জানে অ্যাডভার্স কিছু করার অর্থই সব শেষ করে দেওয়া।’ কী নিখুঁত হিসাব বঙ্গবন্ধুর। হিসাব করেই তিনি বলেছিলেন ২৫ মার্চেই পাকিস্তানিরা ক্র্যাকডাউন করবে। ২৫ মার্চের রাতে ঢাকা নগরীর নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ট্যাংক ও ভারী অস্ত্রসহ ঝাঁপিয়ে পড়ে। কামানের গোলা, মর্টারের শেল আর মেশিনগানের ভয়াল গর্জনে রাত ১২টার পর পুরো নগরীটাই জাহান্নামে পরিণত হয়। চারদিকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণের মধ্য দিয়ে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী শুরু করে ইতিহাসের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড। শুরু হয় বাঙালি নিধনে গণহত্যা এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জন হওয়ার আগ পর্যন্ত ৩০ লক্ষাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়।

এ বছর থেকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হচ্ছে। এর ফলে তরুণ প্রজন্মের চেতনায় স্বাধীনতার সত্যিকারের চিত্র ফুটে উঠবে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বুকে ধারণ করে প্রত্যেক মানুষ বাংলাদেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে গর্বের সঙ্গে শামিল হবে। বঙ্গবন্ধু যেমন ধাপে ধাপে কর্মসূচি গ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাও তদ্রূপ জাতির পিতার আদর্শ সামনে রেখে ধাপে ধাপে জনহিতকর ঐতিহাসিক সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে এগিয়ে যাচ্ছেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরাও মনে করি, আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার শক্তি কারো নেই। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন; কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। সে কাজটিই দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে চলেছেন। ইতিমধ্যে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস ঊর্ধ্বে তুলে ধরার মাধ্যমে, লাখো শহীদের পবিত্র স্মৃতি চেতনায় ধারণ করে এবং আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে যেসব মিথ্যাচার করা হয়েছে তার কবর রচনা করে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নীত হবে এক অনন্য উচ্চতায়—যেমনটা হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের কালপর্বে! (সৌজন্যে কালের কণ্ঠ)

লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত