বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • অপরাধ
  • নরসিংদীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে হত্যা

নরসিংদীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে হত্যা

নরসিংদীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে হত্যা

নরসিংদী, ২৭ মার্চ, এবিনিউজ : নরসিংদীতে শিলমান্দী ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শিবপুর উপজেলার ইটাখলা-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কের পাশে পুরানদিয়া জামতলা এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মাহমুদুল হাসান সৈকত (৩৩) সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে সদর উপজেলার দক্ষিণ শিলমান্দী এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে। সে রাজনীতির পাশাপাশি ঝুট ব্যাবসায় জড়িত ছিলেন।

এদিকে নিহত সৈকতের ঘনিষ্টবন্ধু সুজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ঝুট ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে সৈকতকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত সৈকত সোমবার দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে গাড়ী নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর রাতে আর বাসায় ফেরেনি। মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তাঁর বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁর সন্ধান পাননি।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার টার দিকে শিবপুরে পুরানদিয়ায় সড়কের পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরে পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।

নিহতের বড় ভাই মো. খোরশেদ আলম প্রিন্স বলেন, সৈকত রাজনীতির পাশাপাশি ঢাকা ও নরসিংদীর বিভিন্ন কারখানার ঝুট বেচাকেনা করতেন। এই ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমি আমার ভাই এর হত্যার বিচার চাই।

নিখোঁজ সুজনের ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, সৈকত ভাই ও আমার বড় ভাই সুজন দুজন ঘনিষ্ট বন্ধু। গত ৪/৫দিন আগে ব্যাবসায়ীক লেনদেনকে ঘিরে সৈকত ও সুজন ভাইরে সাথে কয়েকজনের দ্বন্দ্ব হয়। তারা বাড়িতে এসে আমার ভাইসহ সৈকত ভাইকে নানা রকম হুমকি দিয়ে ছিল। গত কয়েকদিন আগে সুজন ভাইকে তারা জোর পূর্বক ধরে নিয়ে যায়। একদিন পর ফিরে আসলেও এবার আর ফিরে আসেনি। আমাদের ধারনা তারাই সৈকত ভাইকে হত্যা করেছে। সুজন ভাইয়ের কি হয়েছে তা এখোনো জানিনা। আমি আমার নিখোঁজ ভাই এর সন্ধান চাই।

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতে অথবা ভোরের যেকোন সময় তাকে পিটিয়ে ও শাষরোধ করে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। ওইসময় লাশের দুই হাত পেছন দিক থেকে বাঁধা ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা লাশটির ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি।

এবিএন/সুমন রায়/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত