সাভার (ঢাকা), ০৯ এপ্রিল, এবিনিউজ : ঢাকার ধামরাইয়ে এক পোশাক শ্রমিককে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বাসের চালক ও সহকারীসহ ৭ জনকে আটক করেছে ধামরাই থানার পুলিশ।
রবিবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কচমচ এলাকা থেকে চলন্ত বাস থামিয়ে ওই নারী পোশাক শ্রমিককে উদ্ধারসহ অভিযুক্তদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাসের চালক বাবু মল্লিক (২৪), তার সহকারী (হেলপার) বলরাম দাশ (২০), মকবুল (৩৮), আব্দুল আজিজ (৩০), সোহেল (২২), আমিনুল (১৭) ও সুজন (১৭)। চালক ও হেলপার ছাড়া বাকিরাও বিভিন্ন বাসের শ্রমিক।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মলয় সাহা জানান, কারখানায় কাজ শেষে ধামরাইয়ের ইসলামপুর থেকে গতরাতে ‘যাত্রীসেবা’ নামের একটি লোকাল বাসে ওঠেন ওই পোশাক শ্রমিক। বাসটি ধামরাইয়ের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে ৫ জন যাত্রী ব্যতীত সবাই নেমে যায়। এরপর বাসের হেলপার বাসের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং চালক বাসটি মহাসড়কে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে চালাতে শুরু করে। এ সময় চালকসহ ৫ জনের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ সময় ওই নারীর ডাক ও চিৎকারে একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ধামরাই থানার পুলিশকে খবর দেন।
সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশের চারটি পৃথক দল বাসটি ধাওয়া করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কচমচ এলাকা থেকে আটক করে ও ভুক্তভোগী নারীসহ যাত্রীবেশী চালকের সহযোগী ওই ৫ জনসহ মোট ৭ জনকে আটক করে।
আটকদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পর রিমান্ড আবেদন করে দুপুরে আদালতে পাঠানো করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগেও গত বছরের আগস্টে টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসের মধ্যে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে জঙ্গলে লাশ ফেলে দেয়। টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক তরুণীর মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল। তার আত্মীয়-স্বজন ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করার পর তরুণীটিকে বাসের মধ্যে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও হত্যার এ ঘটনা ফাঁস হয়।
সেই ঘটনার ৬ মাসের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন হয় যেটা বাংলাদেশে বিরল। ওই ঘটনায় ৫ আসামির মধ্যে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড আর একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
এবিএন/সাদিক/জসিম
© আবহমান বাংলা মিডিয়া লিমিটেড কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
