![পত্নীতলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/10/patnitala_134538.gif)
পত্নীতলা (নওগাঁ), ১০ এপ্রিল, এবিনিউজ : নওগাঁর পত্নীতলায় আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিকার চাইলেও স্থানীয় পুলিশ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় রেজাউল মাসুদ সেখানে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।
ঘটনায় উত্তম কুমার ও গৌতম কুমার নামের দুই ভাই নওগাঁ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। পত্নীতলা উপজেলা হরিরামপুর মৌজায় পৈত্রিকসুত্রে দীর্ঘদিন ধরে ১৫ শতক জমি ভোগদখল করে আসছেন ওই গ্রামের মৃত মনোরঞ্জনের ছেলে উত্তম কুমার ও গৌতম কুমার।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার নজিপুর সরদারপাড়ার বাসিন্দা মৃত জব্বার মন্ডলের ছেলে রেজাউল মাসুদ স্বপন ও মোজাহারুল ইসলাম চঞ্চল ওই জমি ১৯৬৯ সালের একটি জাল দলিল সৃষ্টি করে মালিকানা দাবি করলে ২০১৭ সালে নওগাঁ আদালতে এ বিষয়ে মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে ওই জাল দলিলের বিরুদ্ধে পতœীতলা সহকারী জজ আদালতে বাদী পক্ষ মামলা দায়ের করেন (১১৭/১৭)।
গত ৪ এপ্রিল আদালত ওই মামলায় উভয় পক্ষকে বিবাদমান জমির ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। এমতাবস্তায় গত কয়েক দিন থেকে রেজাউল মাসুদ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিবাদমান ওই জমি জোর করে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
এ ঘটনায় পত্নীতলা থানায় ওই সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করলেও থানা পুলিশ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা করেনি। এ সুযোগে রেজাউল মাসুদ সেখানে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ৮ এপ্রিল একটি লিখিত আবেদন জানান উত্তম কুমার ও গৌতম কুমার।
অভিযোগকারী উত্তম কুমার বলেন, ‘ওই সম্পত্তি নিয়ে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি করলে তিনি আমাকে প্রাণে মারার হুমকিও পর্যন্ত দিয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে রেজাউল মাসুদের সাথে বিবাদমান জমিতে স্থাপনা নির্মাণ ঘটনায় কথা বলার জন্য তার ব্যবহারকৃত সেল ফোনে যোগযোগ করা হলেও রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহার হোসেন জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নওগাঁ পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে উভয়পক্ষকে আমার কার্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাদের নিয়ে বসবেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এবিএন/নয়ন বাবু/জসিম/এমসি