![নারীর প্রতি সম্মান ফেসবুকেও চাই](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/11/women-facebook_134772.jpg)
আজহার মাহমুদ, ১১ এপ্রিল, এবিনিউজ : বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অর্থাৎ ফেসবুকে উপকারের চেয়ে অপকারের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। যার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিশোরী এবং তরুণীরা। বলা যায় নারীরাই বেশি এই সমস্যার সম্মুখীন হয়। আমাদের দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর পরিমাণ সামনে আরো বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরাই এই ফেসবুক মাধ্যমটিকে নোংরা করে তুলছি। আমি সকল পুরুষের দোষ দিবো না। তবে কিছু কিছু পুরুষের জন্য আজ গোটা পুরুষ জাতি লজ্জিত। তারা ফেসবুকে নারীর সম্মান নিয়ে নোংরামি করে। আজকাল ফেসুবকে ভুয়া আইডির অভাবও নেই। একজন ব্যক্তির আইডি কমপক্ষে ২টা থাকে এখন। আমার এক নিকট মানুষ এর কাছ থেকে জানলাম তার নাকি ১৭টি আইডি রয়েছে। শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি, এবং এরাই মেয়েদের সাথে প্রতারণা করে। তবে এই ধরনের অপরাধীদের খুঁজে বের করা অনেকটাই মুশকিল। তাই আমার কাছে মনে হয় নারীদের সচেতনতাই পারে এই সমস্যার সমাধানে মূল ভূমিকা রাখতে। আমাকে যদি অপরিচিত কেউ ফেসবুকে বার্তা পাঠায় আমি তার উত্তর কেনো দিবো বা তার সাথে পরিচিত কেনো হবো? সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে না চিনলে কাউকে বন্ধু বানাবো কেনো? এসব কিছু যদি ভেবেচিন্তে করা যায় তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া কিছুটা হলেও সম্ভব। এছাড়া যারা ফেসবুকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে, কিংবা নোংরা মন্তব্য বা পোষ্ট করে তাদের ব্লক করে দেওয়াটাই উত্তম। আর আপনি এমন মানুষের সাথে ছবি তুলবেন না যে মানুষ সেই ছবিটা নিয়ে ফেসবুকে দিবে বলে অশ্লীল প্রস্তাব রাখতে পারে। তবুও এই ধরনের নোংরা মানুষ আমাদের সমাজে লুকিয়ে থাকে যাদের চিনা বড়ই কষ্টের। তাই কারো সাথে খোলামেলাভাবে মিশা কিংবা অন্তরঙ্গভাবে ছবি না তুলাটাই শ্রেয়। এর পরেও এই সমস্যা থেকে নারীরা পুরোপুরি সুরাক্ষা পাবে বলে আশা করা যায় না, যদি না পুরুষদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়। পুরুষদের মানসিকতা পরিবর্তন করাটাই জরুরি। আমরা যদি আমাদের মা বোন’কে অফলাইনে সম্মান দিতে পারি তবে ফেসবুকে কিংবা অনলাইনে কেনো সম্মান দিতে পারবো না। তাই নারীর প্রতি সম্মান সবখানেই অটুট থাকুক এটাই সকলের কাছে চাওয়া।
লেখক: প্রাবন্ধিক
(সংগৃহীত)