![আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই : সজীব ওয়াজেদ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/24/joy_136623.jpg)
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, এবিনিউজ : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এবং খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, তার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, ‘সবার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে। গর্বের সাথে আমার সবুজ বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই আমি যাতায়াত করি।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে উদ্ধৃত করে রবিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে বিএনপি নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্ট হস্তান্তর করে তার নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন।
এর পর শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। তারেক রহমানের ‘নাগরিকত্ব বর্জন’ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।
এরপর সোমবার রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার বাসায় পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে তার পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন।
শাহরিয়ার আলম প্রশ্ন তোলেন, ‘এর অর্থ কী দাঁড়ায়? ... আমি মনে করি এটি হচ্ছে নাগরিকত্বকে অস্বীকার করা।’
এনিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন নিজের ফেসবুক পেজে সজীব ওয়াজেদ বিএনপির কড়া সমালোচনা করেছেন।
ওয়াজেদ মন্তব্য করেন, বিএনপির কোনো কথা ‘বিশ্বাসযোগ্য’ নয়।
এদিকে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং তারেক রহমানের আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।
এ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে তারেক রহমানের আইনজীবীর পক্ষ থেকে।
লিগ্যাল নোটিস পাওয়ার কয়েক-ঘণ্টা পরেই সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ব্রিটেনে যাওয়ার পরই তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিতর্ক সামনে আসে।
এবিএন/সাদিক/জসিম