ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, এবিনিউজ : সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য সদ্য প্রয়াত এম শামসুল ইসলামের জানাজা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ১১ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেক জানাজা পরিচালনা করেন।
এতে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মিজানুর রহমান মিনু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী।
ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন এম শামসুল ইসলাম। শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে গত ১৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য এম শামসুল ইসলাম জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ইন্দোনেশিয়ার হাই কমিশনার ছিলেন। মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন থেকে তিনবার তিনি সংসদ সদস্য হন।
১৯৯১-১৯৯৬ মেয়াদে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারে বাণিজ্য, টেলি যোগাযোগ ও পরে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এম শামসুল ইসলাম। ২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে তাকে প্রথমে ভূমি ও পরে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
১৯৯৭ সালের শেষে দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হন এম শামসুল ইসলাম। ২০১৬ সালে দলের কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে এম শামসুল ইসলামের জানাজা হয়। এরপর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয় শামসুল ইসলামের মরদেহ।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার পর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে সকাল ১১টার পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
সকাল সোয়া ১১ টায় নয়া পল্টনে তৃতীয় দফা জানাজার পর বিএনপি এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দুপুরে এম শামসুল ইসলামের কফিন নিয়ে যাওয়া হবে মুন্সিগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার তিনসুড়িতে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। ২০১৫ সালের জুন মাসে এম শামসুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ার ইসলাম মারা যান। তার দুই ছেলে এম সাইফুল ইসলাম ও মোনাদির ইসলাম আছেন।
এবিএন/মমিন/জসিম