বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • অপরাধ
  • চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন
মামলা তুলে নিতে খুনিদের হুমকি

চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম, ২৯ এপ্রিল, এবিনিউজ: চট্টগ্রামে ডিস ব্যবসায়ী যুবলীগ কর্মী ফরিদ হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষ। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে নিহতের পরিবার। আজ রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা ফরিদের হত্যাকারী রিয়াজ চৌধুরী রাসেল, মুরাদ, সারোয়ার, মজনু, মাসুদ ও মুছাসহ সকলকে গ্রেফতারের দাবী জানান। তারা বলেন, খুনের ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ও হত্যাকান্ডে ইন্দনদাতা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রশাসনের ছত্র ছায়ায় এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে বলেও দাবী নিহতের পরিবারের।

মানববন্ধনে নিহত ফরিদের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, খুনের ঘটনার দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো খুনিদের গ্রেফতার করেনি। অথচ খুনিরা প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগার উপরে এলাকায় বিচরন করছে। এছাড়া খুনিরা হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নিহতের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার।

মানববন্ধনে নিহত ফরিদের মা ছালেহা বেগম, স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, চাচা আবু তালেব, ১৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এলাকাবাসীর চোখের সামনে প্রকাশ্যে ফরিদ হত্যাকান্ডে খুনের নেতৃত্বে দেন যুবলীগ সন্ত্রাসী ফয়সাল ও ছাত্রলীগ নামদারী সন্ত্রাসী রাসেল। তারা বলেন, যুবলীগ সন্ত্রাসী ফয়সালের নামে এর আগেও একটি খুনের মামলা রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা স্বর্ত্বে ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, গত ২০১৪ সালের ৪ মে নগরীর ডিসি রোড়ে ইমন নামে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করেছিল ফয়সাল। মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমনকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে ঢাকায় ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৭মে ইমন মারা যায়। এ মামলায় ১৭ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীর্ট হলে বাকলিয়া থানা পুলিশ ফয়সালকে গ্রেফতার করে। পরে সে জামিনে বেরিয়ে আবারও পুনরায় খুনের নেশায় জড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার দুপুরে ডিস ক্যাবল ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় যুবলীগ কর্মী ফরিদ। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নারীসহ চারজন। নগরীর ডিসি রোডের কালাম কলোনীতে ক্যাবল ব্যবসায়ি যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফয়সালের অনুসারীদের মধ্যে ক্যাবল ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংগঠিত সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পরদিন শনিবার যুবলীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম ফরিদ খুনের ঘটনায় নগরীর চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন ফরিদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। এতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ মোট ৯ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামীর তালিকায় রাখা হয়।

মামলায় যাদের নাম উল্লেখ আছে তারা হলেন, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মুছা, দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রাসেল ও ফয়সাল এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জানে আলম, নবী, ইকবাল, তৌহিদুল আলম, মাসুদ এবং মুরাদ। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত