ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, এবিনিউজ : বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে আর কোনো বন্ধুরাষ্ট্র আসবে না, এটা নিশ্চিত থাকুন।’
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম, খুলনা’এর প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সকল বন্ধুরাষ্ট্রের দাবি, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। চীন কখনো কোনো দেশের বিষয়ে কথা বলে না। কিন্তু বাংলাদেশের চীনা রাষ্ট্রদূতও সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। তাই কোনো বন্ধুর কথা বলে লাভ হবে না।
মোশাররফ বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আর বেগম খালেদা জিয়া এবং ২০ দল ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ যদি গতবারের মতো পথে অগ্রসর হয়, তাহলে জনগণ তাদের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমে আসবে। বাঁশি বাজিয়ে গণআন্দোলন হয় না। যখন হবে সরকার বুঝতেও পারবে না।’
এ সময় মোশাররফ বলেন, ‘গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। এখানে যদি ভোট দিতে না পারে তাহলে জাতীয় নির্বাচনে কীভাবে দেবে? কাজেই জেনে রাখুন, আগামী নির্বাচন গতবারের মতো করা যাবে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতেই হবে।’
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বলতে গিয়ে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে দেশের বেসরকারি উন্নত হাসপাতালে। তার মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতাল অন্যতম।
সরকারের কাছে প্রতিনিধি পাঠানো হলেও সরকার কর্ণপাত করছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, উল্টো খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে উপহাস করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
‘এর কারণ আছে। সরকার চায় খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে আগামী নির্বাচনও একদলীয় করতে। ক্ষমতা দখল করতে চায় সরকার। কিন্তু তা আর হবে না। খালেদা জিয়া, গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার একসূত্রে গাঁথা।’
এসময় সরকারি গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে এই নেতা বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে আমাদের ঘরোয়া রাজনীতিরও সুযোগ নেই। সামরিক শাসনেও এমন ছিল না। এটার একমাত্র নাম স্বৈরাচারী শাসন। অলিখিত বাকশাল এটি। সরকারের প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে এ বাকশাল চালাচ্ছেন শেখ হাসিনা।’
‘আজ বাংলাদেশের গণতন্ত্র কারাগারে। তাই আমরা যতই দাবি করি না কেন স্বৈরাচারী সরকারের কানে এটি ঢুকবে না। তবু আমরা দাবি জানাই, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ইউনাইটেড হাসপাতালে করার ব্যবস্থা করুন,’ বলেন তিনি।
এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি