![একটি সরকারি চাকরি পরীক্ষা এবং নিয়োগ যুদ্ধ...](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/04/30/shamim_137557.jpg)
একটি সরকারি চাকরি পরীক্ষা এবং নিয়োগ যুদ্ধঃ
আমাদের রেকর্ড হয়েছে। সুপারিশের ৩২ মাস পর গেজেটটা হয়েছে। কিন্ত এই ম্যারাথন শুর হয়েছে আরো অনেক আগে ২০১২ সালে। ৭৭ মাস আগে। রেকর্ডের উপর রেকর্ড।
৩৩ তম বিসিএসে অাবেদন করেছিলাম জানুয়ারি ২০১২ তে। প্রিলিমিনারি হয়েছিল জুন ২০১২ সালে। লিখিত পরীক্ষা শুরু ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ তে। ভাইভা ২০১৩ সালে। পিএসসি কতৃক খাদ্য পরিদর্শক পদে সুপারিশ ২৬ অাগস্ট ২০১৫ সালে। আর গেজেট ১১এপ্রিল ২০১৮ তে। যোগদান ১০ মে ২০১৮ তে। অবিশ্বাস্য। ৬ বছর ৫ মাস লাগবে একটি চাকরির সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে। ৭৭ মাস! এর মধ্যে ৩৪ তম, ৩৫ তম, ৩৬ তম, ৩৭ তম, ৩৮ তম বিসিএস চলে গেছে শুরু হয়েছে ৩৯ তম বিসিএসের কার্যক্রম। কত সময় চলে গেল জীবন থেকে? যত দিন চাকরি করবো তার ৫ ভাগের ১ ভাগ চলে গেছে। ব্যাংকার বলে চাকরির পড়াশুনা তেমন করতে পারিনি কিংবা ভাগ্যের সহায়তা তেমন পায়নি কিংবা অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারিনি। ভেবেছিলাম ব্যাংক থেকে এই চাকরিতে হয়তো চাপ কম তাই আরো বেশি পড়াশুনো করে আরো ভাল চাকরির চেষ্টা করবো। কিন্তু তারা আমাদের জীবন থেকে এতগুলো সময় কেড়ে নিল। এতদিন যোগদান করলে দুই তিনটা ইনক্রিমেন্ট পাইতাম। অন্যদের থেকে সিনিয়র হয়ে যেতাম। জীবনটা আরো সুন্দর হতে পারতো। চাকরি পেতে যত যুদ্ধ করতে হয়েছে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি যুদ্ধ করতে হয়েছে গেজেটের জন্য। আমাদের কর্মক্ষমতা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে এদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। কেউ যেন এরকম বিপদে না পড়ে। তবুও নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।
অালহামদুলিল্লাহ!
শামীম ইসলাম’র স্ট্যাটাস থেকে