![‘কেএমপি কমিশনার ও গাজীপুরের এসপিকে প্রত্যাহার করুন’](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/05/03/bnp_137936.jpg)
ঢাকা, ০৩ মে, এবিনিউজ : বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তুলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে গাজীপুরের পুলিশ সুপারকেও প্রত্যাহারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বিএনপির ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
এর আগে মইন খানের নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিকাল তিনটা থেকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্ল্যাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বৈঠক শেষে ড. মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, তফসিল ঘোষণার পর গাজীপুর ও খুলনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও গত দুইদিনে নতুন কার্যক্রম আমরা দেখতে পাচ্ছি। খুলনায় গতকাল নির্বাচনের দায়িত্বরত আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, অনেককে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের স্থায়ী কমিটির দু’জন সদস্য প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য খুলনায় গিয়েছেন। তারা যে হোটেলে অবস্থান করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কার্যত সেই হোটলটিকে ঘিরে রেখেছে। পুলিশ হোটেলটির ফ্লোরে ফ্লোরে অবস্থান নিয়েছে। আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর সকল ক্ষমতার ধারক বাহক ইসি। কিন্তু, পুলিশ যদি সেখানে সমস্যার সৃষ্টি করে, শান্তি শৃঙ্খলার অজুহাতে ভয় ভীতি দেখায়, নির্বাচনের প্রচারণায় বাধার সৃষ্টি করে, এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক ভোট হতে পারে সেটা আমার বোধগম্য নয়। খুলনায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার দায় দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারকে নিতে হবে। আমরা কমিশনের কাছে কেএমপি’র কমিশনারকে নির্বাচনকালীন সময়ে প্রত্যাহারের দাবি করেছি।
এসময় মঈন খান গাজীপুরেও তাদের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনি কাজে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে উল্লেখ করে অযাচিতভাবে বাধা দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এজন্য আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে গাজীপুরের এসপির প্রত্যাহার চেয়েছি।
নির্বাচন কমিশন আপনাদের কোনও আশ্বাস দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আশ্বাসের বিষয় নয়। তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা আশা করি, কমিশন সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবে। কাজের মাধ্যমে বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করবে।
এবিএন/মমিন/জসিম