শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • বিনোদন
  • বিদেশি সিনেমার কেন বিরোধিতা করছে শিল্পীরা

বিদেশি সিনেমার কেন বিরোধিতা করছে শিল্পীরা

বিদেশি সিনেমার কেন বিরোধিতা করছে শিল্পীরা

ঢাকা, ০৩ এপ্রিল, এবিনিউজ : বাংলাদেশে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে বিভিন্ন উৎসবের সময় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র প্রচার ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হওয়ার দাবী জানাচ্ছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পীরা।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট একাধিক সংগঠনের সমন্বয়ে গড়া চলচ্চিত্র পরিবারের আহবায়ক চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, ঈদ, পূজা, বড়দিনর মত ধর্মীয় উৎসব ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক উৎসবের সময় মানুষ পরিবার নিয়ে হলে সিনমো দেখতে যায়। এ সময় সিনেমা হলগুলোত বিদেশী চলচ্চিত্র প্রচার যেন বন্ধ রাখা হয়।

মি. ফারুক বলেন, "বিভিন্ন উৎসব পার্বণের সময় যেন হলগুলোতে আমাদের দেশীয় পণ্য অগ্রাধিকার পায় তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে আমরা অনুরোধ করছি।"

যৌথ প্রযোজনার পুরোনো নীতিমালা নিয়ে একসময় চলচ্চিত্র শিল্পীদের আপত্তি থাকলেও নতুন নীতিমালা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

মি.ফারুক বলেন, "যৌথ প্রযোজনার নিয়মনীতি মেনে সিনেমা তৈরীর ক্ষেত্রে শিল্পীদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে শিল্পীরা বঞ্চিত হয়ে থাকেন। সেসব বিষয়ে নজর দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।"

দক্ষিণ এশীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি সাফটা'র আওতায় গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমাদনি ও প্রদর্শন করা হচ্ছে বাংলাদশের হলগুলোতে। বাংলাদেশের সিনেমাও রপ্তানি করা হয়েছে ভারতের হলে। তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, উৎসবের সময় কোনো অবস্থাতেই হলে বিদেশী চলচ্চিত্র প্রদর্শন কাম্য নয়।

মি. খান বলেন, "সাফটা চুক্তি অনুযায়ী আমাদের প্রয়োজন মিটিয়ে যদি বিদেশী চলচ্চিত্র আমদানি করা প্রয়োজন হয় তাহলেই আমরা আমদানি করবো।"

"কিন্তু যখন আমাদের নিজেদেরই পণ্য আছে, তখন বৈশাখে বা ঈদে সেই পণ্য রেখে দিয়ে আমরা কেন বিদেশী পণ্য বাজারে এনে আমাদের সংস্কৃতি নষ্ট করবো।"

বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের একজন পরিবশেক সৈকত সালাউদ্দিন বিবিসি'কে জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে চলচ্চিত্র শিল্পীদের এই দাবী যথেষ্ট যৌক্তিক।

মি.সালাউদ্দিন বলেন, "অনেকদিন পর এক মাসে একসাথে তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী তারা কিছু হলও পেয়েছে। এখন হঠাৎ করে যদি সাফটার আওতায় বিদেশী একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় তাহলে ঐ সিনেমাগুলোর বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"

তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেন বলেন, বর্তমান প্রযুক্তি ও প্রতিযোগিতার বাজারে বিদেশী চলচ্চিত্র আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ অযৌক্তিক।

মি.হোসেন বলেন, "বিদেশে সিনেমা মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে ইন্টারনেটে তা দেখতে পাওয়া যায়, টিভি চ্যানেলে দেখা যায়। তাছাড়া প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কমদামে ভাল পণ্য যেখান থেকে পাওয়া যাবে মানুষ সেই পণ্যই কিনবে।"

"একসময় বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ছিল। মানুষ পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখতে যেত। হলের টিকিট পাওয়া যেত না। আমাদের নির্মাতাদের ভাল সিনেমা বানাতে হবে।"

মি. হোসেন জানান, হল মালিকদের সাথে যৌথ উদ্যোগে বেশ কয়েকটি সিনেমা হল আধুনিকায়ণের জন্য কাজ করছে এফডিসি। প্রাথমিকভাবে এই পরিকল্পনা সফল হলে ভবিষ্যতে আরো সিনেমা হল আধুনিকায়ণের জন্য কাজ করবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত