মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
logo

রামগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে বৃদ্ধ আটক

রামগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে বৃদ্ধ আটক

লক্ষ্মীপুর, ৩ অক্টোবর, এবিনিউজ : রামগঞ্জ উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামে গতকাল সোমবার বিকেলে ৭ সন্তানের জনক বৃদ্ধ ছিদ্দিক উল্যা (৬০) একই গ্রামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রীর মা কাজলী বেগমসহ স্থানীয় লোকজন মুমুর্ষ অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার করে কুমিল্লা কুচাতলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

সংবাদ পেয়ে রামগঞ্জ থানার এসআই ফারুখ আহম্মেদ রাতেই অভিযুক্ত ধর্ষক ছিদ্দিক উল্লাকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

সূত্র জানায়,উপজেলা ভাটরা ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের চন্দনী বাড়ী প্রকাশ পাটোয়ারী বাড়ীর মৃত ওজি উল্যার লম্পট ছেলে পানিয়ালা বাজারের কমার রোডের রিকসা মেকার ৭ সস্তানের জনক ছিদ্দিক উল্যা, গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে পানিয়ালা নিউ রেনেসা কিন্টার গার্টেনের ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী নির্মানাধীন পরিত্যাক্ত একটি নির্জন বাড়ীতে নিয়ে যায়।

এরপর লম্পট ছিদ্দিক ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে জোর পূর্বক অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় পাশের বাড়ীর জনৈক মহিলা মাষ্টার ঘটনাটি দেখে ফেলে। এতে সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ধর্ষিতাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পানিয়ালা বাজার দারুস সালাম সেন্ট্রাল হাসপাতাল এরপর রামগঞ্জ ফেমাস হাসপাতালে ভর্তি করে।

সেখানে অবস্থার বেগতি দেখে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার ছাত্রীকে ঢাকা রেফার্ড করে। ডাক্তারের নির্দেশ পেয়ে স্বজনরা ছাত্রীকে কুমিল্লার কুচাতলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে এ ঘটনার পর পরই স্থানীয় পানিয়ালা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ সুমন ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ নবী, জয়দেবপুরের মেম্বার মোঃ সোহেলসহ একটি মহল ধর্ষিতার অসহায় পরিবারকে থানায় না পাঠিয়ে সুষ্ঠ মিমাংসার আশ্বাস প্রদান করে এবং ঘটনাটি জানাজানি না করার জন্য ধর্ষিতার মা কাজলী বেগমকে মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দেখায়।

মেম্বার নবী উল্যা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ধর্ষক ছিদ্দিক উল্যার কাছ থেকে কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ছিদ্দিক রাজী না হওয়ায় তার দোকানে তালা মেরে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছি। সর্বশেষ রাজি না হওয়ায় তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দিয়েছি।

ধর্ষিতার মা কাজলী বেগম জানান, লম্পট ছিদ্দিক আমার মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আমি এর বিচার চাই বলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান, এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এবিএন/আবীর আকাশ/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত