বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

ঢাকা থেকে অপহৃত শিশু ভালুকায় উদ্ধার

ঢাকা থেকে অপহৃত শিশু ভালুকায় উদ্ধার

ময়মনসিংহ, ২৮ জানুয়ারি, এবিনিউজ : ঢাকা থেকে সাড়ে তিন বছরের শিশু তাহিয়ান আলমকে অপহরণের পর ৫০লাখ টাকা দাবীর করা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কাছ থেকে অপহৃত শিশুসহ অপহরণকারীকে হাইওয়ে পুলিশের এ,এস,আই উজ্জল গ্রেফতার করে। হাইওয়ে পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানাযায়, শনিবার বিকালে ঢাকার মগবাজার এলাকার ৬৭৫নং বাসা থেকে বাসার কাজের লোক ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার হরিপূর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (২১) বাসার মালিক ব্যবসায়ী আশরাফুল আলমের মেয়েকে কৌশলে অপরহৃণ করে নিয়ে এসে ৫০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

আশারফুল আলম বলেন, ফারুকের স্ত্রী রাফিয়া খাতুন আমার বাসায় গত দুই বছর যাবত কাজের বোয়া হিসেবে কাজ করছে।গত দুই মাস পূর্বে রাফিয়ার স্বামী ফারুককে আমার বাসায় কাজের লোক হিসেবে নিয়োগ দেই। ঘটনার দিন(শনিবার) দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা তাহিয়ানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। বিকাল ৫টার দিকে তাহিয়ানকে দুধ খাওয়ানোর জন্য রাফিয়া আমাদের কাছ থেকে ডেকে নিয়ে যায়। দুধ খাওয়ানো পর ফারুক তাহিয়ানকে ছাদে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাফিয়ার কাছে থেকে নিয়ে যায়।

প্রায় ঘন্টাখানেক অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর ফারুক আমার মেয়েকে নিয়ে বাসায় না ফিরলে আমার স্ত্রী সামিয়া আলম ছাদে গিয়ে দেখে সেখানে ফারুক নেই। তাৎক্ষণিক নিচতলায় নিরাপত্তা কর্মীদেরকে বিষয়টি অবগত করলে তারা জানায় ফারুক তাহিয়ানকে নিয়ে বের হয়ে গেছে। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় সময় ফারুক তাঁর মোবাইল থেকে ফোন করে আমার কাছে ৫০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ফারুক ব্যবসায়ী আশরাফুল আলমের কাছে বলে তাদেরকে ছিনতাইকারীরা অপরহণ করেছে। ছিনতাই কারীদেরকে ৫০লাখ টাকা না দিলে রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে তারা তাহিয়ানকে খুন করে ফেলবে।

এ ঘটনায় আশরাফুল আলম বাদী হয়ে রাতে রমনা থানায় ফরুকের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০/সংশোধনী ২০০৩এ একটি মামলা করেন যার নং ৩৯ তারিখ ২৭/০১/২০১৮ইং। মামলা করার পর রমনা থানা পুলিশ ফারুকের স্ত্রী রাফিয়াকে আটক করে।

ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস,আই আব্দুস ছালাম বলেন,আমরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়কে টহল দেয়ার সময় আমাদের ফাঁড়ির কাছে একটি লেগুনার ভিতরে একটি শিশুসহ একজন লোককে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকায় সন্দেহ হয়। পরে তাঁকে ফাড়িতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে ফারুক অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে। ফারুক তার জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, তার বাসার মালিকের মেয়েকে কৌশলে নিয়ে আসে। ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে হালুয়াঘাটের একটি বাসে ওঠে। রাস্তায় তাহিয়ান তার পড়নের প্যান্টের মাঝে পায়খানা-প্রশ্রাব করে দিলে দুর্গন্ধের কারণে ভরাডোবা এসে নেমে পড়ে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা রমনা থানার উপ পরিদর্শক সুদ্বীপ কুমার গোপ মুঠোফোনে বলেন, অপহৃত শিশুটি যেহেতু উদ্ধার হয়েছে। তাই গ্রেফতারকৃত আসামী ফারুককে রিমান্ড না চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এবিএন/মোঃ মঈন উদ্দিন রায়হান /জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত