![গোপালগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/02/gopalgonjnari-hotta_128258.jpg)
গোপালগঞ্জ, ০২ মার্চ, এবিনিউজ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে অনামিকা বৈরাগী নামে এক গৃহবধূকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষির ইউনিয়নের মহিষতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারী ওই গৃহবধুর পিতা ঝন্টু বৈরাগী গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইবুনালে জামাতা যুগল মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্য মিলন মন্ডল, প্রশান্ত মন্ডল ও কমলা মন্ডলের বিরুদ্ধে মেয়ে হত্যার অভিযোগ এনে নালিশী পিটিশন দায়ের করেছেন। ওই আদালতের বিচারক গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ দলিল উদ্দিন এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
নালিশী পিটিশনের বিবরনে জানা গেছে, মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষির ইউনিয়নের মহিষতলী গ্রামের মৃত সাধন মন্ডলের ছেলে যুগল মন্ডলের সাথে ৩ বছর আগে একই উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের কলিগ্রামের কৃষক ঝন্টু বৈরাগীর মেয়ে অনামিকার বিয়ে হয়। বিবাহর অনুষ্ঠানে বর পক্ষ মেয়ের বাবার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। বিয়ে ভেঙে যাবে আশংকায় মেয়ের বাবা নগত ১ লাখ টাকা বর পক্ষকে যৌতুক হিসেবে প্রদাণ করে। যৌতুকের পাওনা আরো ২ লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় অনামিকার উপর নির্যাতন করতো যুগল ও তার পরিবারের লোকজন।
এ দম্পত্তির দেড় বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর যুগল যৌতুকের টাকা এনে দিতে অনামিকার ওপর চাপ দেয়। অনামিকা টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় স্বামী যুগল ও তার পরিবারের লোকজন মারপিট করে। সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলে নির্যাতন কারীরা তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে তারা বিয়ষটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।
ওই গৃহবধুর পিতা ঝন্টু বৈরাগী বলেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে জামাতা ও তার পরিবারের লোকজন। আমি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।
ওই গৃহবধূর স্বামী যুগল মন্ডল ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, আদালতের আদেশ আমাদের হাতে এসে পৌঁছিয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলেই আদালতে প্রতিদবেদন দাখিল করা হবে।
এবিএন/ লিয়াকত হোসেন লিংকন/জসিম/নির্ঝর