![মেহেরপুরে প্রাইমারী স্কুলে যৌন হয়রানির অভিযোগ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/25/sexual-harresment_132059.jpg)
মেহেরপুর, ২৫ মার্চ, এবিনিউজ : বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কোনভাবেই স্কুলে পাঠানো যাচ্ছিলোনা।
প্রায় এক সপ্তাহ এভাবে চলার পর অভিভাবকরা কথা বলে জানতে পারেন যে তারা স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাছেই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। খবর পেয়ে এসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের দ্বারা যৌন হয়রানির খবর পেয়ে ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলি। তারা জানান, স্কুল ছুটির পর কোচিংয়ের পর প্রধান শিক্ষক কম্পিউটার রুমে নিয়ে তাদেরকে যৌন হয়রানি করে।
মিস্টার রহমান জানান তিনি পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনকেও জানান। নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল বিবিসিকে বলেছেন তিনি ঘটনা শোনার পর দুজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে খোঁজ নিয়েছেন এবং এখন নিজেই ঘটনাটির তদন্ত করবেন।
তিনি বলেন, ভিকটিম পরিবারের সাথে আমাদের কর্মকর্তারা কথা বলেছেন তাতে অভিযোগটা কিছুটা পাওয়া গেছে। এখন আদালতও আমাদের কাছে একটা প্রতিবেদন চেয়েছে। তাই আমি নিজে ও শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করবো শিগগিরই।
এদিকে যে মেয়েরা তাদের পরিবারের কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলে বলা হচ্ছে তাদেরই একজনের পিতা বলছেন তিনি তার মেয়েকে ইতোমধ্যেই অন্য স্কুলে সরিয়ে নিয়েছেন।
তিনি বলেন তার মেয়ের বান্ধবীরা তার স্ত্রীকে ঘটনাটি জানান প্রথমে। কিন্তু তারা আর্থিক দিক থেকে ততটা সচ্ছল নন বলে বিষয়টি চেপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে চেয়ারম্যান আসলে তাকে ঘটনা খুলে বলেন আর আর মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন।
ওদিকে খবর পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা যে দুজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিতে পাঠিয়েছিলেন তাদের একজন ফয়সাল বিন হাসান বলেন তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগ পেয়েছেন তবে এর সত্যতা যাচাইয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে তদন্তেই বিস্তারিত জানা যাবে। তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ: হাফিজুর রহমান সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, স্কুলের দপ্তরি নিয়োগ নিয়ে ঝামেলা চলছিলো। আমাকেও চাপ দেয়া হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ ও ষড়যন্ত্রের শিকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবশ্য বলছেন ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথেই কথা বলে বিস্তারিত তদন্ত করবেন তারা এবং সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন তারা।
এবিএন/মমিন/জসিম